পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভুল পরিকল্পনার কারণে ঢাকার মোহাম্মদপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত শহীদ বুদ্ধিজীবী (বসিলা ব্রিজ) সেতুসহ দেশের ৮০৫টি সেতু ভাঙতে হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট হওয়ায় গুরুতর এই ভুল পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এত বড় ভুল পরিকল্পনার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
বলা হয়, যথেষ্ট উচ্চতা অনুযায়ী নির্মাণ না করায় বর্ষার সময় ব্রিজের নীচ দিয়ে কার্গো চলাচল করতে না পারার কারণে এসব ব্রিজ ভেঙ্গে পুণনির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বুধবার (২৮ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ২ হাজার ৫৭৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২ হাজার ১৫০ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ৪২৫ কোটি টাকা।
এমন গুরুতর ভুল পরিকল্পনার সমালোচনা করে মনসুর আহমেদ লাহিন লিখেছেন, ‘‘এই ঘটনার দ্বারা প্রমাণিত হল যারা আমাদের নীতিনির্ধারক তারা একেবারেই দূরদর্শী নয় | নির্মাণের ১১ বছরের মাথাই বড় ধরণের ত্রুটি ধরা পড়ল। ভেঙে হয়তো আরেকটি নির্মাণ করা যাবে ,তবে এই আর্থিক ক্ষতির দায় কে নেবে?’’
ক্ষোভ প্রকাশ করে জোবায়ের আহাম্মেদ লিখেছেন, ‘‘ভাই এটাই বাস্তব। বাংলাদেশের প্লান অস্থায়ী যেকোন সময় ভেঙ্গে যায় বা ভাঙ্গা হয়। আর উন্নত দেশের প্লান দীর্ঘস্থায়ী। কারণ, আমাদের দেশের আর্কিটেক্ট যারা ব্রিজে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করে। এত সুন্দর প্রযুক্তি বিশ্বে আর কোন দেশ আবিষ্কার করতে পারেনি। বাংলাদেশেই প্রথম। আমাদের সরকার কোন খাতে তো কম বরাদ্ধ দেননি। তাহলে ,,,,।’’
মনজুর আলমের মন্তব্য, ‘‘কোন প্রকার ভাঙ্গা ভাঙ্গি করা যাবে না। আমার ধারনা ছিলো বাংলাদেশের কাজ গুলোর প্লান বেশি ভাগেই ভুল হচ্ছে আমার ধারনাই ঠিক হলো। তাই বলছি যা করেছেন করেছেন আর করিয়েন না। ভাঙ্গা ভাঙ্গি করার দরকার নাই যেমনই আছে তেমনই থাক পয়সা নষ্ট করার দরকার নাই। যদি ভুল হয়েই থাকে তাহলে নতুন করে সঠিক প্লান করে মানসম্মত যুগ উপযোগী মজবুত ও টেকসই হিসেবে তৈরি করুন। দেশের পয়সা আর অহেতুক নষ্ট করবেন না। দেশের মানুষের মন জয় করুন সবাইকে ভালোবাসতে শিখুন এতেই জাতির মঙ্গল বয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ।’’
মাসুদ করিম ক্ষোভ জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘আরে সরকার নিজেদের লোকদের সুবিধা দিতে গিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি করছে এখন আবার ভাঙচুর করে নতুন করে আবার নিজেদের লোকদের খাওয়ানোর জন্য এই কাজ।’’
মোঃ মনোয়ার হোনাইন লিখেছেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখজনক.বাংলাদেশের মানুষের কষ্টের টাকা এভাবে অপচয় হবে, যারা এই (৮০৫) সেতু নকশা বা ডিজাইন করেছে এবং জড়িত তাদের সকলের লাইসেন্স এবং পদ বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’’
মোহাম্মদ আরিফ লিখেছেন, ‘‘টাকা যখন জনগণের ভাঙতে কার বা কি আসে যাই।ঘুরেফিরে সেই আবার জনগণের পকেটিই কাটা হবে।তাদের ঝুলি ভরা হবে।আমরা জনগণ চেয়ে চেয়ে দেখেই যাবো।’’
রাজু আহমেদের পরামর্শ, ‘‘ভাঙ্গতে এবং গড়তে যে টাকা খরচ হবে,সেটা হিসাব করে,যদি মাঝ খানে হাইড্রলিক্স জ্যাক লাগনো হয় প্রয়োজনে অতিরিক্ত চারটি ফিলার বানিয়ে,তাতে কেমন খরচ হবে,হিসাব করে ভাঙ্গলে ভাল ফল আশা করা যাবে।কিন্তু সে সময় কি দেবে সিন্ডিকেট টেন্ডার বাজরা,দুর্নীতি করতে হলে হিসাব কিতাব বাদ।’’
তবে ব্রিজ ভেঙ্গে পুণনির্মাণ করার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে আখতার জাহিদ লিখেছেন, ‘‘ভালো উদ্যোগ, দেশের নদীপথ ব্যবহার বাড়াতে হবে। দ্রব্যমূল্য কমাতে ও অর্থনৈতিক গতিশীলতা বাড়াতে এর বিকল্প নেই। শুধু ব্রীজের উচ্চতা সমস্যা তাই নয়, ব্রীজের দৈর্ঘ্য ও প্রস্ত নিয়েও ডিজাইনে সমস্যা আছে। সড়ক পথে চলাচলের সময় যে কেউ লক্ষ করলে দেখতে পাবেন।আর একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি, যেদিন পিচের রাস্তায় দুই পাশে রেইনট্রি এর পরিবর্তে তাল গাছ দেখতে পাবো।পিচের রাস্তায় পানি পড়ে, পানি জমে অতি দ্রুত পিচের কার্পেট নষ্ট হয়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ রাস্তা নষ্ট হয়ে যাওয়া। উন্নত দেশে এক ধরণের গাড়ি আছে গাছের ডাল ছাটাই করার জন্য।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।