পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং সম্পর্কের নতুন বার্তা নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসছেন ১৪ অক্টোবর। আর এজন্য ইতিমধ্যেই ঢাকায় ্এসে গেছে তার অগ্রবর্তী নিরাপত্তা দল। তারা তার ভ্রমণের মধ্যে রয়েছে এমন এলাকাগুলো ঘুরে দেখছেন এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছেন। চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফরকালে তিনি দু’দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক বার্তা দেবেন বলে মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। যার ফলে দু’দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ সফরের নিরাপত্তা ও প্রটোকলের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখেছে ঢাকায় আসা অগ্রবর্তী দল। গতকাল পর্যন্ত দেশটির রাষ্ট্রাচার বিভাগের মহাপরিচালক কিন গ্যাংয়ের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের অগ্রবর্তী দল ঢাকায় ঘুরে গেছে। তারা বিমানবন্দর, সাভারস্থ জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বর (পুরাতন) সড়কস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সরজমিন ঘুরে দেখেছেন। বঙ্গভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চীনের প্রেসিডেন্টের মিটিং ভেন্যুগুলো পরিদর্শন এবং সেখানকার প্রটোকালের বিষয়েও অবহিত হয়েছেন দায়িতপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথেও। তবে আগামী সপ্তাহে এ দলের আরও কয়েকজন আসবেন বলে জানা গেছে। সেখানে নিরাপত্তা ও প্রটোকল বিভাগের কর্মকর্তারা থাকবেন। এভাবেই সফরটির চূড়ান্ত প্রস্তুুতি সম্পন্ন হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে চীনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রথম বাংলাদেশ সফর করেন। এরপর কোন প্রেসিডেন্টের সফর হয়নি। ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় শি জিন পিং ২০১০ সালের ১৪ই জুন দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। সেই সময়ে সাভারস্থ স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি বৃক্ষও রোপণ করেছিলেন। কাজেই প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার আসন্ন সফরটির সার্বাত্মক সফলতায় বাংলাদেশ সরকারের নিবিড় প্রচেষ্টা রয়েছে।
চীনা প্রেসিডেন্টের সফর নিয়ে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফায়েজ আহমেদ বলেন, কৌশলগত কারণে চীনের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন। এ সফরের মাধ্যমে দু’দেশের নেতৃত্ব আরও ঘনিষ্ঠ হবে।
সাবেক এই কূটনীতিকের মতে, তিনটি দেশ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির জন্য সবচেয়ে জরুরি। দেশগুলো হলো ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য চীনের অবদানের কারণে ঢাকার কাছে বেইজিং গুরুত্বপূর্ণ।
সাবেক কূটনীতিক মুন্সী ফায়েজ বলেন, যখন কোনও চীনের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ সফর করে, তখন একটি বড় অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করে। তার মতে, বিবেচনায় এবারের বাংলাদেশ সফরের সময়ে এর ব্যতিক্রম হবে না। আমরা আশা করি, এ সফরের সময়ে অনেকগুলো চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। একটি বড় প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য।
অন্যদিকে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত লিয়াকত আলী চৌধুরীর মতে, চীন অত্যন্ত বাস্তববাদী। বাংলাদেশ চায় না এমন কোনও কিছুর জন্য তারা আমাদের বলবে না। তিনি আরও বলেন, চীনের রাষ্ট্রপতির সফর প্রমাণ করে বাংলাদেশের গুরুত্ব। শি জিনপিং এ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলবেন।
লিয়াকত আলী চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন এবং ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়বে। বেইজিং তার দীর্ঘমেয়াদি কৌশল পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডনীতি অনুসরণ করছে। বাংলাদেশ এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলাদেশকে আস্থায় নেয়ার জন্য যা-যা করা দরকার, চীন তাই করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যান। সে সময় চীনের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। পররর্তীতে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের তরফে প্রেসিডেন্ট শিং জিন পিং বরাবর আনুষ্ঠানিক আনুষ্ঠানিক পত্র পাঠানো হয়। এসব আমন্ত্রণের জবাবে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরে কথা জানিয়েছিলেন শি জিন পিং।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।