Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ই-কমার্স খাতে অস্থিরতা

ইভ্যালি-আলেশা মার্টে নষ্ট হচ্ছে সম্ভাবনাময় বাজার বাংলাদেশে আসতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে অ্যামাজন-ওয়ালমার্টের মতো গ্লোবাল কোম্পানিগুলো

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছর ধরে অনলাইন কেনাকাটার অভ্যাস গড়ে উঠছে। এজন্য ই-কমার্স সাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও গড়ে উঠেছে এফ-কমার্স। শহরকেন্দ্রীক ই-কমার্সের বিস্তার থাকলে গতবছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হলে তা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে-গঞ্জে। বড় শহরগুলোতেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান থেকে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও বাড়তি গুরুত্ব দিতে থাকে অনলাইন বেচাকেনায়। বাংলাদেশে ই-কমার্সের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি দেখে আকৃষ্ট হয় বিশ্বখ্যাত অনলাইন কোম্পানি অ্যামাজন, আলিবাবা, ওয়ালমার্ট, টেন সেন্ট, ফ্লিপকার্ড, কিউভিসহ আরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। চাইনিজ কোম্পানি আলিবাবা ইতোমধ্যে দারাজ ডটকমে বিনিয়োগ করেছে। ২০১৮ সাল থেকেই বাজার পর্যবেক্ষণ করছে অ্যামাজন ও ওয়ালমার্ট। কিন্তু দেশিয় কয়েকটি ই-কমার্স কোম্পানি টালমাটাল অবস্থা তৈরি করে দিয়েছে এই খাতে। যার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ইভ্যালি ও আলেশামার্টের মতো হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তাদের কারণে ই-কমার্সের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের আস্থা ফেরাতে ও মার্কেট স্থিতিশীল রাখতে নানা উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানালেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে এসব করার কারণে অসহায় তারা।

জানা যায়, বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতটি দ্রæত জনপ্রিয়তা অর্জন করায় ২০১৭-১৮ সাল থেকেই বিশ্বের ই-কমার্স জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার পর্যবেক্ষণ শুরু করে। ওই সময় দারাজ ডটকমের সাথে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করে অন্যতম জায়ান্ট ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবা। অ্যামাজন ও ওয়ালমার্ট বাংলাদেশে নিয়োগ করে কনসালটেন্ট। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ অ্যামাজন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে অফিস করারও কথা ছিল। এটি হলে একদিকে যেমন দেশের ভাবমূর্তি সারাবিশ্বে উজ্জ্বল হতো, পাশাপাশি বাংলাদেশের ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য বিশ্ব বাজারে জায়গা করে নেয়ার সুযোগ পেতো। এতে শুধু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিই নয়, সৃষ্টি হতো প্রচুর কর্মসংস্থান। বাংলাদেশের অসংখ্য পণ্য পরিচিতি পেতে বিশ্বের দরবারে। কিন্তু ই-কমার্স খাতের হাতেগোনা দু’একটি প্রতিষ্ঠানের অসদুপায় অবলম্বন, গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার কারণে এখন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে এই খাতে। সাম্প্রতিক সময়ে সম্ভাবনাময় এই খাতটিকে নষ্টের ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ও আলেশা মার্ট। এই দুই প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের অবিশ্বাস্য ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি করছে। তবে কোম্পানিগুলোকে আগে টাকা পরিশোধ করতে হয় এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর পণ্য সরবরাহ করে। টাকা নিয়েও পণ্য সরবরাহে বারবার সময়ক্ষেপণের অভিযোগ আছে। আবার তাদের ব্যবসার কৌশলটিও স্পষ্ট নয়। এ কারণে নানা সন্দেহ-সংশয় আছে জনগণের মধ্যে। এর মধ্যেই কমার্স সাইট ইভ্যালিকে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক স¤প্রতি একটি তদন্ত চালিয়েছে; যাতে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি এক টাকা আয় করতে সাড়ে তিন টাকার বেশি ব্যয় করে। আবার তাদের সম্পদের তুলনায় দেনা ছয় গুণ। ফলে তারা এই টাকা আদৌ পরিশোধ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। এর মধ্যে তিনটি ব্যাংক তার গ্রাহকদের জানিয়ে দিয়েছে কার্ড দিয়ে ১০টি ই-কমার্স সাইটে টাকা পরিশোধ করতে পারবে না। আরও দুটি ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের সতর্ক করেছে। এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, কোনো প্রতিষ্ঠান পণ্য পৌঁছে দেয়ার আগে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা পাবে না। ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয় নীতিমালায়। কিন্তু এখনো সেই নীতিমালা মানছে না ইভ্যালি।

ই-কমার্স খাতের অভিজ্ঞরা আশংকা প্রকাশ করছেন, দেশের ই-কমার্স খাত এখনো স্পর্শকাতর অবস্থায় আছে। এর মধ্যে বিদেশি জায়ান্টরা চলে আসছে। দারাজের দরজা দিয়ে আলিবাবা ঢুকে পড়েছে। বাংলাদেশের বাজার নিয়ে কয়েক বছর ধরে কাজ করছে অ্যামাজন। সেক্ষেত্রে দেশি একটি ই-কমার্সের নামে ইভ্যালি যা করছে তাতে করে দেশি ই-কমার্স খাত আরো সংকটে পড়বে। কেউ কেউ মনে করছেন, ইভ্যালি মার্কেটে তাদের নাম ছড়িয়ে কোনো বিদেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিশাল ফান্ড নেয়ার চেষ্টা করছে।

মাহদী হাসান সাজেদ নামে এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, পাঁচ মাস আগে ঈদের পণ্য অর্ডার করেছিলাম ইভ্যালিতে। ৪৫ দিনের কথা বলে ১৪৪ দিন শেষ হয়েছে কিন্তু এখনো প্রোডাক্টগুলোর কোন হদিস নেই। রোজার ঈদের জন্য ৫টি পণ্য অর্ডার করেছিলাম এখন কোরবানিও শেষ হয়ে গেছে। দুইবার অভিযোগও করেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এখন ফোনও ধরে না।

পুষ্পিতা নাঈম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ইভ্যালি প্রায়োরিটি সেবা নামে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচারণা চালালো যে, ঢাকা মেট্রোপলিটনের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ডেলিভারি দিবে। কিন্তু আমি রিয়েলমি-৮ মোবাইল গত ১১ জুলাই অর্ডার করেছি কিন্তু ২৬ জুলাই পর্যন্ত তা হাতে পায়নি।

এমএম নাসিম আরাফাত বলেন, সাত মাস আগে দুইটি পণ্য অর্ডার করেছি। এখনো পণ্য হাতে না পেলেও তারা ডেলিভারি দেখাচ্ছে। বার বার যোগাযোগ করলেও বলছে সময় দেন। ৪৫ দিনে দেয়ার কথা থাকলেও সাত মাস সময় দিয়েছি। আর কত সময় দিবো?

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ই-কমার্স মার্কেটে আসার পর থেকেই ইভ্যালি পণ্যভেদে ২০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ব্যাক অফার দেয়। মূল টাকাও ফেরত পাবে আবার জিনিসও পাবে এই আশায় অনেকেই ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডার করতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এই রকম বিজনেস মডেল বিশ্বে বিরল! কারণ চায়নায় জ্যাক মা যখন আলিবাবা শুরু করেন তখন একটা দীর্ঘ সময় সার্ভিস চার্জ নেন নি। কিন্তু প্রডাক্টের দাম গ্রহণ করেছেন।

বিজনেস মডেল হিসেবে ইভ্যালির পদ্ধতি কতোটা বাস্তব সম্মত এমন প্রশ্ন কয়েকজন বিশেষজ্ঞর জানান, এটা কোনো বিজনেস মডেল হতে পারে না। কেননা এই অফারের কারণে অনেকেই ইভ্যালিতে টাকা জমা দিচ্ছে। দুই তিন মাস পরে হয়তো কিছু সংখ্যক গ্রাহককে প্রডাক্ট দেয়া হচ্ছে কিন্তু এই সময়ের মধ্যে আরো অফার ঘোষণা করে প্রচুর টাকা তাদের কাছে চলে যাচ্ছে। এক সাথে যদি সব গ্রাহক তাদের প্রডাক্ট চায় তবে ইভ্যালি পুরোপুরি ফেল করবে। এখন যে অবস্থায় তারা দাঁড়িয়েছে। এখন হয় তারা নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করবে অথবা পালাবে। মাথায় বাড়ি পড়বে যারা সেখানে টাকা দিয়ে প্রডাক্ট কিনতে চেয়েছেন তাদের ওপর।

স¤প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে, ইভ্যালি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়েও যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ করছে না। যেসব মার্চেন্টের কাছ থেকে পণ্য নেওয়া হয়েছিল, তাদেরও অর্থ পরিশোধ করছে না ইভ্যালি। এসব কার্যকলাপের ফলে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা এবং বিক্রেতার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৬ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দিয়েছে যে, গ্রাহকের কাছে ২১৪ কোটি এবং মার্চেন্টের কাছে ১৯০ কোটি টাকার দায় রয়েছে ইভ্যালির। এ দায়ের বিপরীতে ইভ্যালির মোট সম্পদ ৯২ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৬৫ কোটি টাকা মাত্র চলতি মূলধন।

গ্রাহকদের অভিযোগ, বাজারে বড় ধরণের অস্থিরতা তৈরির পরও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একের পর এক চিঠি চালাচালি করে নানাভাবেই তাদেরকে সুযোগ দেয়া হচ্ছে। সর্বশেষ গত ১৯ জুলাই গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সুরক্ষা এবং ডিজিটাল কমার্স খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধের লক্ষ্যে ইভ্যালির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় পাশাপাশি কোম্পানিটির ব্যবসা পদ্ধতিও জানতে চেয়েছে। ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলকে নোটিশের জবাব ও ব্যবসা পদ্ধতি জানানোর সময় দেওয়া হয়েছে আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত।

ইভ্যালি নিয়ে যখন অনলাইন মার্কেট তোলপাড় তখন একই সময়ে ইভ্যালির পথেই হাঁটছে নতুন আরেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট। প্রতিষ্ঠানটি অন্য পণ্যে ছাড় না দিলেও মোটরবাইকে দিচ্ছে অভিশাস্য ছাড়। ইভ্যালিতে যেমনি করে প্রথম দিকে ক্রেতারা পণ্য ডেলিভারি পেয়েছেন কিন্তু এখন আর পাচ্ছেন না। আলেশা মার্টেও এখন অনেকে পণ্য হাতে পাচ্ছেন। তবে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানও ইভ্যালির পথে হাঁটবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যার ছাপ পাওয়া গেছে তাদের অর্থিক তথ্যেই। আলেশা মার্ট চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যক্রম শুরুর পর ছয় মাসেই ৩৫০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। ভর্তুকির পুরোটাই দিয়েছে বড় ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রি করে। আর ছয় মাসে অন্য পণ্য বিক্রি করে ১৪০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। ফলে ছয় মাসে নিট ভর্তুকি হয়েছে ২১০ কোটি টাকা। আর পণ্য বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার।

যদিও আলেশা মার্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম শিকদার বলেন, প্রথম মাসে আমাদের সেভাবে কোনো পণ্য বিক্রি হয়নি। এরপর আমরা ভর্তুকি দিয়ে মোটরসাইকেল বিক্রি শুরু করি। তবে অন্য পণ্যে ভর্তুকি দেওয়া হয়নি। এই সাত মাসে আমরা দেশের তিনটি শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের একটি হয়েছি। ইদানীং ই-কমার্স নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠছে। দেখতে একই রকম বলে মনে হতে পারে সবাই এক। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। কোনো পণ্য সরবরাহকারী টাকা পাবেন না। আমাদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদেরও কোনো অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, আমাজন, আলিবাবাসহ বিশ্বের অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এভাবে ছাড় দেয়। বছরের পর বছর লোকসান করে। তারা এখন ই-কমার্সে শীর্ষ।

এই ধরনের অফার বা প্রডাক্ট দেখিয়ে টাকা নেয়ার ঘটনা বাংলাদেশে প্রথম নয়। এক সময় ডেসটিনি নামের সংগঠনটি ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে দুই বোতল কালোজিরার তেল ধরিয়ে দিয়েছে। ডেসটিনির সদস্য হওয়ার আনন্দে অনেকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য গাছ কিনেছেন। একই গাছ বিক্রি হয়েছে অনেকের কাছে। ক্রেতাদের একমাত্র সান্ত¡না হলো তাদের কাছে গাছ না থাকুক, গাছ কেনার সার্টিফিকেট আছে!

আর্থ ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০০৬ সালে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছিল মূলধারার মিডিয়ায়। অনেক পরিচিতি বুদ্ধিজীবীর নাম ব্যবহার করে তারা। পরবর্তীতে আর্থ ফাউন্ডেশনের প্রতারণা ছিল আলোচিত একটি বিষয়। তাদের নির্মমতার শিকার হন বাংলাদেশের মানচিত্র প্রকাশনার পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান গ্রাফোসম্যানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোসাররফ হোসেন। কয়েক কোটি টাকার প্রকাশনা বিল বাকি রেখে তাকে ধীরে ধীরে অসুস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় এই প্রতারক চক্র।

জিজিএন, যুবক, ইউনিপে টু এমন অনেক নাম প্রতারণার ডালি সাজিয়ে হাজির হয়েছে নানা সময়ে। অসংখ্য মানুষের চোখের পানি এই সময় পড়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রতারণাও এখন ডিজিটালি হচ্ছে।
সময় পেলে আগের সব অর্ডার গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দিতে পারবেন বলে দাবি করেছেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল।

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, নীতিমালা অনুযায়ি গ্রাহককে ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে। অন্যত্থায় অর্থ ফেরত দিতে হবে। এটি লঙ্ঘন করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইভ্যালির বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা ফেরত বা টাকার বিপরীতে তাদের কাছে পণ্য পৌঁছানোর কী উপায় অবলম্বন করবে ইভ্যালি, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ জন্য ইভ্যালিকে ১০ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কেউ কেউ বলেছেন, ডিজিটাল কমার্স আইন প্রণয়ন করার জন্য। এখন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে নীতিমালার আওতায়। শিগগিরই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটা বৈঠক করে এ বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করা হবে।



 

Show all comments
  • Atiqur Rahman ২৮ জুলাই, ২০২১, ১:৪৭ এএম says : 0
    ই-কমার্স খাতের জন্য একটি পুর্ণাঙ্গ এবং কঠোর নীতিমালা প্রয়োজন
    Total Reply(0) Reply
  • Mahbubur Rhman Fahim ২৮ জুলাই, ২০২১, ২:২৫ এএম says : 0
    ইভ্যালির ম্যানেজমেন্ট টিম কে বেশি সচেতন হতে হবে, তাদের ব্যাবসায়িক দিক দেখতে হবে, শুধু লাগামছাড়া অফার দিয়ে নিজেদের নাম শীর্ষে রাখা নয়,সেবা, ব্যবসা, নৈতিকতা,প্রতিযোগিতা, একটি স্থায়ী মার্কেটপ্লেস তৈরি করতে হবে। মানুষের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে, মার্কেটিং সাইট টা তে তারা এগিয়েছিল,কিন্তু ভোক্তা অভিযোগের ব্যাপারে তারা সচেতন ছিল না,তাদের উচিৎ হবে ক্রেতা,ভোক্তাদের ব্যপারে আরো বেশি মনোযোগী হওয়া,তাদের সমস্যা গুলো আমলে নেওয়া। শুভ কামনা রইল ইভ্যালির জন্য, আশা করছি তারা ভাল একটা মার্কেটপ্লেস তৈরি করবে। বিনিয়োগ টা যথাযথ কাজে লাগবে। শুভ কামনা নিরন্তর।
    Total Reply(0) Reply
  • জান্নাতুল নাঈম মনি ২৮ জুলাই, ২০২১, ২:২৫ এএম says : 1
    ইভ্যালির বিজনেস পলিসি যথেষ্ট বিপদজনক। আশা করছি ভবিষ্যতে আরো পরিপক্ব হয়ে এগুবে।
    Total Reply(0) Reply
  • হেদায়েতুর রহমান ২৮ জুলাই, ২০২১, ২:২৭ এএম says : 3
    ইভলি প্রতি মানুষের আস্থা ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে ভুল ত্রুটি থাকতে পারে ভুলত্রুটি শুধরে আশা করি বাংলাদেশের ই কমার্স প্ল্যাটফর্মের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান ইভিলি ভবিষ্যতে অ্যামাজন আলী বাবার মত প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিবে
    Total Reply(0) Reply
  • Md Iqbal ২৮ জুলাই, ২০২১, ২:৩১ এএম says : 2
    The e-commerce sector is still sensitive. Meanwhile, foreign giants are coming.
    Total Reply(0) Reply
  • Shaheen ২৮ জুলাই, ২০২১, ৩:১০ এএম says : 1
    এই সরকারের উচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা।।।। জনগণের সরকার হলে এটা করবে আমরা আশা রাখি
    Total Reply(0) Reply
  • Md Arman ২৮ জুলাই, ২০২১, ৩:১১ এএম says : 1
    মানুষের কষ্টের টাকা জলে গেলে এই দায় বার কে নিবে। প্রশাসনের উচিৎ ছিলো আগে থেকেই নজর দারি রাখার
    Total Reply(0) Reply
  • Akhter Hossain Akhter ২৮ জুলাই, ২০২১, ৩:১১ এএম says : 1
    ইভ্যালির ভবিষ্যৎ আর একটি ডেসটিনির মত হবে না এই গ্যারান্টি কোথায়?
    Total Reply(0) Reply
  • Md Asad ২৮ জুলাই, ২০২১, ৩:১৩ এএম says : 1
    ইভ্যালি টিকে থাকুক দেশ ও জাতীর কল্যাণে, এই কামনা করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Sahjalal Rashed ২৮ জুলাই, ২০২১, ৩:১৪ এএম says : 1
    ই কমার্স দেশ থেকে প্রায় খতম, কিছু মুনাফালোভী উদ্যোক্তাদের জন্য
    Total Reply(0) Reply
  • Abu Toyab Emon ২৮ জুলাই, ২০২১, ৯:৫০ এএম says : 1
    ইভ্যালি ছিলো আছে থাকবে। দুই একটা মিসটেক থাকবেই,দারাজে মেক্সিমাম প্রোডাক্ট ই আমি ফেক পাই। ইভ্যালি না থাকলে কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতো না।
    Total Reply(0) Reply
  • নিসাদ ২৮ জুলাই, ২০২১, ৯:৫৭ এএম says : 0
    ইভ্যালি টিকে থাকুক নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে। পক্ষ পাত মুলক রিপোর্টের জন্য কি বলবো আপনাকে। আইনি পদক্ষেপ চাইলেন যেন সব মানুষের টাকা মাইর যায়। কি সুন্দর রিপোর্ট রে ভাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Fi Leyon ২৮ জুলাই, ২০২১, ১২:১৫ পিএম says : 1
    সব ষরযন্ত্রকে মোকাবেলা কর‌েই ইভেলী এগিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Fi Leyon ২৮ জুলাই, ২০২১, ১২:১৫ পিএম says : 1
    সব ষরযন্ত্রকে মোকাবেলা কর‌েই ইভেলী এগিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Shamim sheikh ২৮ জুলাই, ২০২১, ১:১৭ পিএম says : 0
    ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলির উচিত হবে সব ধরনের রিসেলার অপশন বন্ধ রাখা অথবা টাকা রিফান্ড করার সময় যেন এমন মূল্য দেওয়া হয় যাতে করে ওই পণ্যের ওপর কোম্পানির ভর্তুকি না দিতে হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • SATARA BEGUM ২৮ জুলাই, ২০২১, ১:৪৮ পিএম says : 0
    .. এটা নিঃশন্দে পক্ষ পাত মোলক । একটি দেশীয় ই কমার্স কিভাবে টিকিয়ে রাখা যায় তার সঠিক দিক নির্দেশা গুলা উল্যক্ষ করতে পারতো। যাতে সাধারন মানুষ গুলার ক্ষতি না হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Parvez Ibrahim ২৮ জুলাই, ২০২১, ১০:৪৪ পিএম says : 0
    Let Amazon and Walmart come, then we will see how Evaly and rest behaving with their valued customers . This is the high time for our local E commerce player to shape up and give up monkey business.
    Total Reply(0) Reply
  • Md MOHIN ২৮ জুলাই, ২০২১, ১০:৪৬ পিএম says : 0
    উদেশ্য প্রনোদিত কথা,দেশীয় ই কমার্স কিভাবে টিকিয়ে রাখা যায় তার সঠিক দিক নির্দেশা গুলা উল্যক্ষ করা রেখে। কি ভাবে নষ্ট করবে এই চিন্তা দ্বারা।।।
    Total Reply(0) Reply
  • Md sipon ২৮ জুলাই, ২০২১, ১১:২৫ পিএম says : 0
    আলিবাবা,আমাজন,ওয়ালমার্ট এগুলো কিভাবে সৃষ্টি হলো?নিজ দেশেই তো হয়েছে।ইভ্যালিও আমাদের দেশিয় প্রতিষ্ঠান।তাই আমাদের উচিৎ এসব প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়ার, তবে অবশ্যই আইনের মধ্যে রেখে।এভাবে এক তরফা কুৎসা রটালে কোন দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানই টিকবেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Ak khan ২৮ জুলাই, ২০২১, ১১:৩৫ পিএম says : 0
    ইভ্যালির যে রকম বিজনেস মডেলে চলছে এতে করে বর্হিবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে নষ্ট হচ্ছে।প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এখনই সঠিক ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক
    Total Reply(0) Reply
  • Md Humaiun Kabir ২৯ জুলাই, ২০২১, ৩:২৯ এএম says : 0
    বাংগালী হয়ে বাংলাদেশি কোম্পানি আমাদের জন্য ভালো। আমাজন ওয়ালমার্ট এর কাজ নাই বাংলাদেশে যেখানে বাংলাদেশে ইভ্যালি আলিশার মত ই-কমার্স প্লাটফর্ম আছে সেখানে বহিরাগতদের দরকার নাই
    Total Reply(0) Reply
  • Md Humaiun Kabir ২৯ জুলাই, ২০২১, ৩:৫২ এএম says : 0
    বাংগালী হয়ে বাংলাদেশি কোম্পানি আমাদের জন্য ভালো। আমাজন ওয়ালমার্ট এর কাজ নাই বাংলাদেশে যেখানে বাংলাদেশে ইভ্যালি আলিশার মত ই-কমার্স প্লাটফর্ম আছে সেখানে বহিরাগতদের দরকার নাই
    Total Reply(0) Reply
  • Md Abu Taher ২৯ জুলাই, ২০২১, ৬:৩৫ এএম says : 0
    দেশের সম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা কইরেন না। দেশকে ভালো বাসুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Anwar Hossain ২৯ জুলাই, ২০২১, ১:০৯ পিএম says : 0
    সব নিউজ দেখে পরিষ্কার বুঝা যায় রাঘব বোয়ালেরা চায় না দেশীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করুক, দেশটাকে অন্যের কাছে তুলে দিলেই তারা খুশি। কারন দিনশেষে ওনারা ঘুমাবে বেগম পাড়ায় গিয়ে।
    Total Reply(0) Reply
  • ইশতিয়াক ২৯ জুলাই, ২০২১, ২:০৫ পিএম says : 0
    ইভ্যালিতে আমার দামি একটি গ্যাসের চুলা ১৮৫ দিন শেষ এভাবে ফ্যান, কাপড়, ফ্রাই প্যান, ব্লেন্ডার, জুতা শ ৯ টা অর্ডার এর হদিস মিলছে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Hasan Mahamud ৩০ জুলাই, ২০২১, ৩:৩৬ পিএম says : 0
    আমি মনে করি সরকারের ই-কর্মাস নিয়ে একটা দ্রুত নীতিমালা তৈরি করা উচিত।আমি মনে করি ইভ্যালি, আলিমার্ট এর মত আরও অনেক ই-কর্মাস আছে।তারা সবাই যে খারপ তা কিন্তু নয়।এই সম্ভাবনাময় খাত কে মানুষের মনে আস্তা তৈরি করতে হলে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। তাহলে গ্রহক টাকা কাটাতে ভরশা পাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md.Jafar Ahmed ৩০ জুলাই, ২০২১, ৪:০২ পিএম says : 0
    ইভ্যালির বড় সমস্যা হল ডেলিভারি ডেডলাইন এ পাওয়া যায় না!লোভনীয় ছাড় দিয়ে স্টকের অধিক পন্য অর্ডার নেই ২৫% ডেডলাইন এর মধ্যে ডেলিভারি পেয়ে ফেসবুক এ রিভিউ দেই, তা দেখে পরের সপ্তাহে আবার কাস্টমার অর্ডার দেই,বাকি ২৫-৫০% ডেলিভারি করে ৩-৪ মাস পর, বাকি ২৫% অর্ডার কেনসেল করে ১০-৩০% এপুলজি বোনাস দিয়ে আরও ২-৩ মাস ঘুরায়, এইভাবে একটা ই-কমার্স চলতে পারে না! আমার এমন অনেক অর্ডার আছে, #EVL341520477, #EVL314028722,#EVL186906890,#EVL946593300,#EVL963942910,#EVL553699560,#EVL714935357,#EVL061044180,#EVL177430577,#EVL125977518,#EVL076835625,#EVL53605456,আরও অর্ডার আছে, শুধু এগুলো দিলাম, এই সব অর্ডার ডেলিভারি ও রিফান্ড পেন্ডিং। ডেডলাইন ক্রস করেছে সব অর্ডারের, প্রমান সহ দিতে পারব।
    Total Reply(0) Reply
  • শরিফুল ইসলাম ৩০ জুলাই, ২০২১, ৮:১২ পিএম says : 0
    এসব আজেবাজে ধ্যান ধারণা বাদ দেন ।আর নিজো দেশীয় ই-কমার্স কে সহায়তা করে, উপরে ওঠানোর চেষ্টা করুন। কিছু ভুল-ত্রুটি সবারই থাকে ইভ্যালিসহ সকল ই-কমার্সের ই আছে । দেশের ই-কমার্সকে ভালোবাসুন। দেশকে ভালোবাসুন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ই-কমার্স খাতে অস্থিরতা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ