পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিবারের সঙ্গে নিজের ৬৯তম জন্মদিন উদযাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ঊনসত্তর বছর পেরিয়ে ৭০ বছরে পা রাখলেন তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রথম সন্তান শেখ হাসিনার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়। দলীয় প্রধানের ৬৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হলেও লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে মূল কর্মসূচিগুলো স্থগিত ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। গত কয়েক বছরের মতো এবারও জন্মদিনে দেশের বাইরে রয়েছেন শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় পুত্র-পুত্রবধূ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করছেন তিনি। কানাডায় গ্লোবাল ফান্ড সম্মেলন এবং জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে তার ২৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা থাকলেও পরে তা পেছানো হয়। তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা হয়ে পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর বিকালে ঢাকা পৌঁছাবেন।
১৯৬৮ সালে বিজ্ঞানী এম ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি এক ছেলে (সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়) ও এক মেয়ের (সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) জননী।
১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে দলীয় প্রধান নির্বাচিত করা হয়। ওই বছরের ১৭ মে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন তিনি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তিন মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে দলটি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসনে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠিত হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুযারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
দলীয় সভানেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি নিলেও মঙ্গলবার বিকালে লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে সেসব কর্মসূচি বাতিল করা হয়। তবে সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া-মিলাদ করে যুবলীগ। এছাড়া সকাল ১০টায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এবং প্যাগোডা, গির্জাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। বিভিন্ন এতিমখানাসহ দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করে আওয়ামী লীগ।
মহানগর দক্ষিণ আ’লীগের উদ্যোগে
বায়তুল মোকাররমে দোয়া মাহফিল
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল বুধবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে তার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এ্যাড. ফজলে রাব্বি মিয়া, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মিরাজ হোসেন, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মামুন রশিদ শুভ্রসহ নেতাকর্মী ও বিপুল সংখ্যক মুসল্লি মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। দোয়ায় শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনার পাশাপাশি ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নিহত সকল শহীদদের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গতকাল বুধবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় কোরআনখানি শুরু হয়ে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে মিলাদ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতী মাওলানা এহসানুল হক।
মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা হয়। সকল ধরনের ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে হেফাজতের জন্য দোয়া করা হয়। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়।
মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদেরও রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। এসময় দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে দোয়া করা হয়।
মোনাজাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কয়েকজন পরিচালক, উপ-পরিচালকসহ ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।