পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত বেসরকারিখাতের এনআরবিসি ব্যাংকের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে নিট সম্পদ (এনএভি)। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) পরিচালনা পরিষদের সভায় ব্যাংকের চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। এতে দেখা যায়, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১১ পয়সায়। গত বছরের এপ্রিল-জুনে যা ছিল ৪৯ পয়সা। আলোচ্য সময়ে এককভাবে ইপিএস ৪৮ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। এক বছরে ইপিএস বৃদ্ধির হার ১২৬ শতাংশ।
চলতি বছরের জুন শেষে সমন্বিত হিসেবে ব্যাংকটির ব্যালান্সশিটের (অফ ব্যালান্সশিটসহ) আকার দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। যা গত বছরের জুনে ছিল ১৩ হাজার ৩৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। এছাড়া সমন্বিতভাবে চলতি বছরের জুনে ব্যাংকটির নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১২৮ কোটি ৭৩ লাখ ২ হাজার ৯০৩ টাকা। গতবছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ৯৮৩ কোটি ৫০ লাখ ৬৭ হাজার ১৭২ টাকা। এককভাবে এনএভি হয়েছে ১ হাজার ১২০ কোটি ৬৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭ টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে ছিল ৯৭৯ কোটি ৭৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭১০ টাকা।
এছাড়া সমন্বিতভাবে ২০২১ সালের জুনে শেয়ার প্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৩০ পয়সায়। গত বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা। আর এককভাবে শেয়ারপ্রতি এনএভি ১৫ টাকা ১৯ পয়সা। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ১৩ টাকা ২৮ পয়সা।
পরিচালনা পরিষদের সভায় জানানো হয়, করোনাকালের মধ্যে ব্যাংকটি তার নেটওয়ার্ক বিস্তার এবং ব্যাংকিং সেবার প্রসার ঘটিয়েছে। সাধারণ ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংকিং ও মাইক্রোক্রেডিটের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ জোরদার করা হয়েছে। ফলে এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বিতরণ বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। ২০২১ সালের জুনে ঋণের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময় র্ছিল ৬ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। পাশাপাশি আমানত সংগ্রহ সাড়ে ২৫ শতাংশ বেড়ে প্রথমবারের মত ১০ হাজার কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করে। জুনে আমানতের পরিমান দাাঁড়ায় ১০ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। গত বছরের জুনে ব্যাংকের শাখা ছিল ৭৫টি, যা এ বছরের জুনে তা বেড়ে হয়েছে ৮৩টি। উপশাখা ছিল ১৮২ টি এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪৫০টি। নতুন শাখাগুলোতে প্রত্যক্ষভাবে ২ হাজার ৫০০ জনের নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত এই পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম, এ এম সাইদুর রহমান, আবু বকর চৌধুরী, মোহাম্মদ ওলিউর রহমান, লকিয়ত উল্লাহ, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ নাজিম, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, এয়ার চিফ মার্শাল (অব.) আবু এশরার ও রাদ মুজিব লালন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম আউলিয়া, এএমডি কাজী মো. তালহা, ডিএমডি ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।