পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : জাপানিদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনে সেনাবাহিনী নিয়োগের কথা ভাবছে সরকার। বাংলাদেশের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে জাপানি বিনিয়োগ ধরে রাখতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি জাপান সরকারকেও জানানো হয়েছে। এরই আলোকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগকৃত জাপানিদের চিঠি দিয়ে এই নিশ্চয়তার কথা জানিয়ে দিয়েছে। গতকাল (বুধবার) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
মন্ত্রণালয় জানায়, মহেশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সব প্রকল্পে আগের মতোই বিনিয়োগ করবে জাপান। তবে এ জন্য তাদের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ এই নিরাপত্তা দিতে সম্মত হয়েছে। প্রয়োজনে সেনাসদস্য দিয়ে জাপানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে জাইকার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা বৈঠকও করেছেন।
বৈঠকে তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পাশে থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
গত বছরের আগস্টে মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র করার অনুমোদন দেয় সরকার। একই সাথে কয়লা ওঠানামা করানোর জন্য গভীর সমুদ্রবন্দর করার কথা। এই কাজে প্রয়োজন হবে ৩৬ হাজার কোটি টাকা। জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা ২৯ হাজার কোটি টাকা দেবে। এর মধ্যে চার হাজার ৯২৪ কোটি টাকা সরকারের তহবিল থেকে এবং সিপিজিসিবিএল দেবে দুই হাজার ১১৯ কোটি টাকা।
হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলায় জাইকা কর্মকর্তা, প্রকৌশলীসহ সাতজন মারা যাওয়ার পর বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মহেশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরপত্র প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করল জাইকা।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, জাপান বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে আগের মতোই বিনিয়োগ করবে। বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে থাকবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে আগের মতোই অংশীদার হবে। সন্ত্রাসী কোনো হুমকিতে তারা দমে যাবে না। হুমকি প্রতিহত করেই বাংলাদেশে থাকবে। তিনি বলেন, আমরাও তাদের সব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
মহেশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছে জাইকা প্রতিনিধি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে বিশেষ স্থাপনা বিবেচনায় জাপানিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে বলে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।
মহেশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরপত্র জমা দেয়ার নির্ধারিত তারিখ ছিল গত ২৪ জুলাই। কিন্তু ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর দরপত্র জমা দেয়ার তারিখ এক মাসের জন্য পিছিয়ে ২৪ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়। পরে ওই সময় বাড়িয়ে ২৪ অক্টোবর করা হয়।
ওই সময় এ প্রকল্প বাস্তবায়নাকারী কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম আগ্রহী কোম্পানিগুলোর অনুরোধে সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানান।
মহেশখালীর এই কেন্দ্র স্থাপনে জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশন ও মারুবেনি করপোরেশন প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
হলি আর্টিসানের ঘটনার পর নিরাপত্তা জোরদার করতে মাতারবাড়ীর ওই প্রকল্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নিয়োগ করা হয়েছে। এ প্রকল্পে জাইকার ৪৩ জন কর্মী এখন মাতারবাড়ীতে কাজ করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।