পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কল্যাণপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত নয় জঙ্গির লাশও বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে গতকাল (বুধবার) জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে জঙ্গিদের লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে ছিল।
গত ২৬ জুলাই কল্যাণপুর পাঁচ নম্বর সড়কের জাহাজ বিল্ডিং নামে ৫ম তলায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সেখানে থাকা ৯ জঙ্গি সদস্যের সবাই নিহত হয়।
গতকাল বেলা ১১টায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে লাশগুলো হস্তান্তর করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সেখান থেকেই আঞ্জুমানের মুগদা জোনের ডিউটি অফিসার মোস্তফা কামালের কাছে লাশগুলো হস্তান্তর করেন। এরপর আঞ্জুমানের লাশবাহি গাড়িতে করে তা নিয়ে যাওয়া হয় জুরাইন কবরস্থানে। মোস্তফা কামাল বলেন, বেলা দেড়টার দিকে লাশগুলো দাফন করা হয়।
লাশগুলোর ময়না তদন্তকারি চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, লাশগুলো থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্য কোনো সংস্থার প্রয়োজন হতে পারে, সেটা মাথায় রেখে অতিরিক্ত নমুনাও রাখা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান জানান, নিহত ৯ জঙ্গির মধ্যে আটজনের আঙ্গুলের ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভা-ারের সঙ্গে মিলিয়ে তাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এরা হলেন- ঢাকার গুলশানের আকিফুজ্জামান খান (২৪), বসুন্ধরার সেজাদ রউফ অর্ক (২৪), ধানমন্ডির তাজ-উল-হক রাশিক (২৫), রংপুরের পীরগাছার রায়হান কবির ওরফে তারেক, সাতক্ষীরার মতিউর রহমান (২৪), দিনাজপুরের আব্দুল্লাহ (২৩), পটুয়াখালীর আবু হাকিম নাইম (২৪) এবং নোয়াখালীর জোবায়ের হোসেন (২২)। মাসুদুর রহমান আরো বলেন, বাকি একজনের পরিচয় সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে যাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তাদের পরিবারও লাশ নিতে যোগাযোগ করেনি। তাই বেওয়ারিশ হিসেবেই এসব লাশ দাফন করা হয়।
দাবিদার না থাকায় জুলাইয়ে গুলশানের ক্যাফেতে নিহত পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জনের লাশও গত ২২ সেপ্টেম্বর আঞ্জুমানের মাধ্যমে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছিলেন, স্বজনদের কেউ লাশের দাবি নিয়ে না এলে হাসপাতালে থাকা বাকি জঙ্গিদের লাশও একইভাবে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।