পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে : জন্মভূমির টানেই কুড়িগ্রামে ফিরে এলেন কবি সৈয়দ শামসুল হক। তিনি শায়িত হলেন তার প্রিয় জন্মভূমির কোলে। তার প্রিয় জলেশ^রীর বুকে। যেন শান্তির ঘুম। ঘুমাও কবি ঘুমাও। শান্তিতে ঘুমাও। না ফেরার দেশের এ চিরনিদ্রা দেখতে হাজার-লাখো মানুষের ভিড়। জীবিত কবির চেয়ে আজ মৃত কবি যেন অনেক শক্তিশালী। অনেক জনপ্রিয়। সবার প্রাণের মানুষ। বুধবার শেষ বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠ কানায় কানায় ভরা লাখো মানুষে। যেমনটি ভরা ছিল গত বছর ১৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা এই মাঠে, সেদিন এ কবি ছিলেন তার সফরসঙ্গী। বিকাল সাড়ে ৪টায় মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে কলেজ মাঠের শেষ প্রান্তে ৫টার দিকে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে সমাহিত করা হয়। এর আগে বিকাল ৪টায় সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেকমন্ত্রী নানক, কবিপতœী আনোয়ারা সৈয়দ হক, একমাত্র পুত্র তুর্জোসহ নিকটতাত্মীয়রা হেলিকপ্টারে করে লাশ নিয়ে কলেজ মাঠে অবতরণ করেন। লাশ রাখা হয় একটি মঞ্চে। সবার আগে মহামান্য প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করা হয়। এরপর জেলা পরিষদ প্রশাসক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা জাজশিপ ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, সাংস্কৃতিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো একে একে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। কবির কফিন ফুলে ফুলে ভরে যায়। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসে রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী জেলার শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী ও সাহিত্যমনা মানুষ। এ যেন ছিল এক মিলনমেলা। কবির জন্ম কুড়িগ্রাম শহরের থানাপাড়ায়। তিনি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার পড় নবম শ্রেণীতে ওঠার পর ঢাকায় চলে যান। যিনি তার জীবনের অধিকাংশ লেখায় কুড়িগ্রামকে তুলে এনেছেন। কুড়িগ্রামকে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরেছেন। তার শেষ ইচ্ছা বাস্তবায়নে কুড়িগ্রামে সমাহিত করা হয়।
যে সজনে গাছে লাল রঙের পাখি দেখে কবি এগারো বছরেই কবিতা লিখেছিলেন। সেই কবিতা লাল পাখির মতো ডানা মেলে তাকে নিয়ে গেছে সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই। তিনি বিচরণ করেছেন সংস্কৃতির প্রতিটি পরতে পরতে। তার পায়ের আওয়াজে মুগ্ধ হয়ে গেছেন সাহিত্যপ্রেমীরা। ব্রিটিশবিরোধী নুরলদীনকে তিনি চিনিয়েছেন কাছ থেকে। তার জলেশ্বরী কুড়িগ্রামকে স্থান করে দিয়েছে সাহিত্যাঙ্গনে। এই সব্যসাচী লেখক সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেও তার অমরগাথা তাকে বেঁচে রাখবে চিরদিন।
কবির শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে বিকেলে দাফন করা হয়। তার ইচ্ছার মর্যাদা দেয়ায় কবি ১১ মার্চ ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে লিখে গেছেন, ‘আমার ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে আপনারা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, এতে আমি আনন্দিত এবং আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার জন্মস্থান আমার শেষ ঘর হবে। এটা যে আমার বহু দিনের ইচ্ছা এবং আমার পরিবার-পরিজন সেভাবে প্রস্তুত। তারাও আপনাদের সিদ্ধান্তে আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। আমার সশ্রদ্ধ সালাম রইল।’
কবিপুত্র তুর্জো মরহুমের নামাজে জানাজার আগে বলেন, জলেশ^রী আজ তোমার ছেলে তোমাকে ফিরিয়ে এনেছে তোমার কাছে। হৃদয়ের কাছে। ভালোবাসার কাছে। প্রিয় জন্মভূমির কাছে। আমি গর্বিত। একসাথে গর্বে বুক ফেটে যায় এত মানুষের ভালোবাসা দেখে। প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তার বাবার শেষ ইচ্ছা পূরণে সহায়তা করার জন্য। সেই সাথে কুড়িগ্রামবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমার বাবা খুব খুশি হয়েছে এ মাটিতে শায়িত হতে পেরে।
জেলা প্রশাসক খান মো: নুরুল আমিন জানান, সন্ধ্যার পর পৌরমেয়র আব্দুল জলিলকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মাটি দিয়ে ৩ শতক পরিমাণ ধানক্ষেত ভরাট করার জন্য। এরপর সেখানে কবর খুঁড়ে প্রস্তুত রাখা হয়। এছাড়া অন্যান্য প্রস্তুতি নেয়া হয়। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সাবিহা খাতুনসহ অন্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করা হয়েছে। সেই সাথে ঠিক করা হয়েছে বরেণ্য এই লেখকের শেষ বিদায়ের কর্মপরিকল্পনা। যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের লেখকের শেষ ইচ্ছা পূরণে যেন কোনো ঘাটতি না হয় সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। কারণ গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রাম সফরে এসে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। সে মোতাবেক বুধবার যথাযোগ্য মর্যাদায় কবিকে সমাহিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে কবরস্থানে পুলিশ পাহারা রাখা হয়েছিল।
কুড়িগ্রামে তার ছোট ভাই অ্যাডভোকেট আজিজুল হক পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। এ বাড়িতে দু’দিন থেকে মানুষের ঢল। সবাই খোঁজখবর নিচ্ছেন। অ্যাডভোকেট আজিজুল হক সবার কাছে দোয়া ও মঙ্গল কামনা করেছেন তার প্রিয় বড় ভাইয়ের জন্য। ধন্যবাদ জানান, কুড়িগ্রামের প্রশাসন ও কুড়িগ্রামবাসীকে তার ভাইয়ের শেষ ইচ্ছা পূরণে সহায়তা করার জন্য।
কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাফর আলী জানান, সৈয়দ হক গত বছর ১৫ অক্টোবর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে বক্তব্য রাখেন। কুড়িগ্রামের মানুষের জন্য কাজ করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। তিনি ঐ জনসভায় বলেনÑ ‘কুড়িগ্রামে এখন মঙ্গা নেই। কুড়িগ্রাম এখন চাঙ্গা’। পরে চলতি বছর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে কুড়িগ্রামের মাটিতে শায়িত হওয়ার দ্বিতীয়বারের মতো ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এদিন তিনি কলেজের মাঠসংলগ্ন ধান ক্ষেত দেখে তার পছন্দের কথা জানান। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চেয়ে পত্র পাঠায়। সর্বশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর আবারো প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রাম সফরে এসে এ খবর জানতে পেরে তার শেষ ইচ্ছা পূরণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। এরপর দ্রুত সব নড়াচড়া শুরু করে। এরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ আসে।
যারা শ্রদ্ধা জানান
তার কফিনে ঢল নামে সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ গণমাধ্যম কর্মী, জেলা প্রশাসনের লোকজন, রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী লোকজন। সবার আগে মহামান্য প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর জেলা পরিষদ প্রশাসক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা জাজশিপ ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, সাংস্কৃতিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব, তরুণ লেখক ফোরাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো একে একে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। কবির কফিন ফুলে ফুলে ভরে যায়। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসে রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী জেলার শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী ও সাহিত্যমনা মানুষ। রংপুর বিভাগীয় সাহিত্য পরিষদ, রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, রংপুর শিক্ষক পরিষদ প্রমুখ।
জেলার ৯টি উপজেলা এবং আশপাশের লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা থেকেও মানুষ এসেছেন বাংলা সাহিত্যের ক্ষণজন্মা পুরুষ অগ্রগণ্য কবি সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে এক নজর দেখতে। তিনি কালজয়ী সৃষ্টির মাঝে নিলেন শেষ আশ্রয়।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া
খ্যাতিমান লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে কুড়িগ্রামের সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কুড়িগ্রামকে গৌরবান্বিত করা এই মহান ব্যক্তিত্বকে হারানোয় শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা।
কুড়িগ্রামে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু বলেন, বাংলাদেশকে পুরো বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন যিনি, তিনি আমাদের কুড়িগ্রামের সন্তান। তার মৃত্যুতে আমাদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিক সব্যসাচী এই লেখকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘তিনি ছিলেন মৌলবাদের বিরুদ্ধে উচ্চ কণ্ঠস্বর। তার লেখনীতে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে’।
তার প্রিয় স্কুলে শোকসভা
সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে তার প্রিয় রিভারভিউ স্কুলে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সাথে স্কুলে ছুটি ঘোষণা। নীরবতা পালন, দোয়া, মোনাজাত করা হয়। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যালয় ভবনের সামনে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন আহাম্মেদ, শিক্ষক মো: ফয়েজ উদ্দিন, মো: সাহাদৎ হোসেন এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সফি খান। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিকেলে কলেজ মাঠে কবিকে স্কুলের পক্ষ থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানান হয়।
প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, সৈয়দ শামসুল হক এ বিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ায় আমরা সবাই গৌরবান্বিত। তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি গত বছর এ বিদ্যালয়ের শতবাষির্কী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বিদ্যালয়ের মাটি নিয়ে কপালে ছোঁয়ান। এতেই বোঝা গেছে কুড়িগ্রামের প্রতি ও স্কুলের প্রতি তার ভালোবাসা। তিনি প্রথম শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত এখানে পড়াশোনা করেন।
হেলিকপ্টার অবতরণ
বুধবার বিকাল ৪টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে হেলিকপ্টার নামে কবির লাশ নিয়ে। সঙ্গে ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী, তাঁর স্ত্রী, পুত্রসহ নিকটাত্মীয়। এরপর কলেজ মাঠের পশ্চিম দিকে নির্মিত স্টেজে রাখা হয় কফিন। সেখানে একে একে শ্রদ্ধা জানায় সবাই। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় কফিন। বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে নামাজে জানাজা শুরু হয়। জানাজা পড়ান কুড়িগ্রাম আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুর বখত। এরপর ৫টায় কলেজ মাঠের পশ্চিম দিকের শেষ প্রান্তের ধান ক্ষেতে বালু দিয়ে ভরাট করা স্থানে শায়িত করা হয় তাকে। এরপর সোয়া ৫টায় কবির আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
কবির গ্রামের বাড়ি
সব্যসাচী এই লেখকের বাড়ি কুড়িগ্রাম শহরের থানাপাড়ায়। তার বাবা মরহুম সিদ্দিক হক একজন হেমিওপ্যাথিক ডাক্তার ছিলেন। শহরের ঐতিহ্যবাহী জাহাজ মোড়ে তার মায়ের নামে ছিল নূরজাহান মেডিক্যাল হল। ৫ ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন দুরন্ত। তিনি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার পর ঢাকায় চলে যান। কুড়িগ্রামে তার ছোট ভাই অ্যাডভোকেট আজিজুল হক পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তার সমবয়সী এখন আর কেউ জীবিত নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।