পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও রোগী শনাক্তের নতুন রেকর্ডে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। টানা লকডাউনের মধ্যেও করোনা নিয়ন্ত্রণ না আসায় ক্ষোভ জানানোর পাশাপাশি শতভাগ ভ্যাকসিন নিশ্চিতের দাবি তুলেছেন অনেকেই। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন কেউ কেউ।
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল আটটা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ১৯২ জন। আজ দেশে প্রথমবারের মতো একদিনে ১৫ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে সবচেয়ে বেশি, ৫০ হাজারের ওপরে। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর হয়েছিল গত ১৯ জুলাই, ২৩১ জনের। আর একদিনে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল গত ১২ জুলাই।
জাবির আহমেদ বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘ছেলে খেলা নয় শক্ত হাতে দমন করুন, দেখিছি নিজের চোখে কি পরিস্থিতি হাসপাতালে। কসাইয়ের মত লাভ করছে ঔষধদের দোকান সহ অন্যেরা।কোন প্রকার অক্সিজেনের অভাব দেখিনি কিন্তু বেড একটু সমস্য।’’
তামান্না রহমান লিখেছেন, ‘‘লকডাউন কঠোর কোথায় তাই তো বুঝিনা। রাস্তায় প্রাইভেটকার চলে। সরকারি হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যাটা দেখি তা ছাড়া উপসর্গ নিয়ে যেভাবে মারা যাচ্ছে সেটার খবর আছে কোথাও? এমন কোন দিন নেই যে পরিচিত কেউ মারা যাচ্ছে না। হসপিটালের অবস্থাও তো সবাই দেখছেন তবুও কারো হুশ নেই। আশ্চর্য মানুষ আমরা দুই সপ্তাহ ঘরে থাকার টাকা নেই কিন্তু ডাবল ভাড়া দিয়ে ঈদ পালন করতে সর্বত্র ছুটতে পারি।’’
রিয়াদ আহসান রানা লিখেছেন, ‘‘ঈদের ছুটিতে স্যাম্পল জমে যাওয়ার জন্যই বেশি টেস্টে সনাক্তও বেশি। মৃতের সংখ্যাটা ক্রমান্বয়ে বাড়তেছে।খুবই উদ্বেগজনক।চেষ্টা করা ছাড়া আসলে কিছু করারও নাই।অন্তত অক্সিজেন সাপোর্টটা পর্যাপ্ত হওয়া দরকার।অক্সিজেন সাপোর্টসহ আইসোলেশন সেন্টার বেশি বেশি হওয়া দরকার।’’
রকিব রকির দাবি, ‘‘আমি বাংলাদেশ সরকার এর কাছে অনুরোধ করছি যে আপনারা বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোর এর অবসরপ্রাপ্ত সকল ডাক্তারদের কল করে জরুরি ভিত্তিতে কাজে যোগদান এর জন্য ডাকুন এতে জাতীয় এই দুর্যোগের সময় আমাদের ডাক্তার সংকট নিরসন হবে।’’
হাবিবরু রহমানের দাবি, ‘‘যতো টাকা খরচ হোক না কেন সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হোক এটা সরকারের দায়িত্ব! এভাবে লকডাউন দিয়ে মুখে কুলুপ এটে বসে থাকার কোন মানেই হয় না। সরকারের উচিৎ খুব দ্রুত সকলের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা..!’’
মনির হোসাইন লিখেছেন, ‘‘অন্যন্যা দেশে সব নিয়ম কানন মানার পরেও যে হারে মানুষ মারা গিয়েছে।। সেই তুলনায় বাংলাদেশে খুবই নগন্য হারে মানুষ মারা যাচ্ছে।। বাংলাদেশে যেভাবে নিয়ম অমান্য করে।। সেই তুলনায় প্রতিদিন গড়ে এক হাজার মানুষ মারা যাবার কথা।। কিন্তু তা হচ্ছে না।। এটাও আল্লাহর একটা রহমত।। আল্লাহ আমাদের সবাইকে অনেক রহমত দান করেছেন।। আসুন আমরা সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি।। তিনি যেন আমাদের কে এই বিপদ থেকে রক্ষা করেন এবং মাফ করে দেন।। আমিন।’’
গাজী আসাদুজ্জামন মিলন লিখেছেন, ‘‘জনপ্রশাসন মন্ত্রী মহোদয়, ঠিক কথাই বলেছেন। আসলে আমরা কি পারিনা মাত্র ১৪ টা দিন নিহাত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বের হতে। জাতি হিসাবে আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত,এই মহামারিতেও আমরা থেমে নেই ঘর থেকে বের হয়ে আনন্দ উল্লাস করতে।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।