পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এটা আন্তর্জাতিক এভিয়েশন নীতিমালা পরিপন্থী -হাব সভাপতি
শামসুল ইসলাম : সাউদিয়া এরাবিয়ান এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইটের অব্যবস্থাপনায় অনেক হাজীরা এবার চরমভাবে ক্ষুব্ধ। ৭৭ জন হাজীকে দেশে পৌঁছানো হলেও গত ১১ দিনেও তাদের লাগেজ দেশে পৌঁছানো হয়নি। দেশে ফেরত আসা হাজীদের প্রায় ৫শ’ লাগেজ জেদ্দা আন্তর্জাতিক হজ টার্মিনালে স্তূপ দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে।
সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা ও গাফলতির দরুন হাজীদের এসব ফেলে রাখা লাগেজ আদৌ দেশে পৌঁছানো হবে কি না তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের হাজীদের লাগেজ জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ মিশনকে বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। বাংলাদেশ মিশন সাউদিয়ার এয়ারলাইন্সের হাজীদের লাগেজ কেন দেশে আনার দায়িত্ব নিবে তা’ বুঝে আসছে না। হাবের একজন শীর্ষ নেতা এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। হাবের সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাহার বলেছেন, সাউদিয়া এয়ারলাইন্স গত ১১ দিন যাবত জেদ্দা হজ টার্মিনালের হাজীদের বিপুল সংখ্যক লাগেজ ফেলে রেখে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে।
হাব সভাপতি বলেন, হজযাত্রী পরিবহনে থার্ড ক্যারিয়ার চালু না থাকায় সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের স্বেচ্ছাচারিতা বেড়ে গেছে। তারা হাজীদের কাছে টিকিট বিক্রি করেছে, তাদের মালামাল (লাগেজ) তাদেরই বহন করার দায়িত্ব। হাব সভাপতি ইব্রাহিম বাহার হাজীদের লাগেজ দেশে না এনে জেদ্দায় ফেলে রাখায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ অনৈতিক কর্মকা-ের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইট (এসভি-৮০৮) যোগে টপ মোস্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন (২১৭) হজ এজেন্সির ৭৭জন হাজী ঢাকায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছেন। কিন্তু সাউদিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এসব হাজীর ৫৫টি লাগেজ ঢাকায় না এনে জেদ্দা আন্তর্জাতিক হজ টার্মিনালে অন্যান্য হাজীদের লাগেজের সাথে স্তূপ দিয়ে রেখেছে। জেদ্দাস্থ হজ টার্মিনালে দায়িত্বরত সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা হাজীদের বিমানে ওঠার তাগিদ দিয়ে বলেন, তোমাদের লাগেজে ওজন করতে ও ট্যাগ লাগাতে হবে না, তোমাদের লাগেজ যথা সময়েই ঢাকায় পৌঁছে দেয়া হবে। এদিকে, ঢাকায় বিমান বন্দরে পৌঁছার পর হাজীদের লাগেজ না পৌঁছায় তারা হতবাক হন। হাজীরা লাগেজ না পেয়ে বিমান বন্দরে সাউদিয়ার স্থানীয় অফিসে লাগেজ পাওয়ার দাবীতে হৈ চৈ শুরু করেন। পরে তাদের সান্ত¦না দিয়ে বলা হয়, আপনাদের মাল (লাগেজ) পরের ফ্লাইটে আসবে। হজ এজেন্সি টপমোস্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনের মুনাজ্জেম রুহুল কুদ্দুস গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের চরম অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশী হাজীরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, জেদ্দা আন্তর্জাতিক হজ টার্মিনালে হাজীরা পৌঁছার ৪/৫ ঘন্টা আগে হাজীদের লাগেজ পৌঁছেছে। তার পরেও সাউদিয়ার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের চরম উদাসীনতার দরুন হাজীদের লাগেজ গত ১১ দিনেও দেশে পৌঁছানো হয়নি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, লাগেজ নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হাজীদের জবাবদিহিতার ভয়ে এখনো গ্রামের বাড়িতে যেতে পারছি না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেদ্দা আন্তর্জাতিক হজ টার্মিনালে সাউদিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের বিভিন্ন হজ এজেন্সি’র হাজীদের প্রায় ৫শ’ ল্যাগেজ জমা করে ফেলে রেখেছে। তিনি বলেন, ঢাকা বিমান বন্দরে সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের অফিসের সার্ভিস অপারেটর মিজানুর রহমান ধমকের সুরে বলেছেন, যেসব হাজীর মালামাল (লাগেজ) আসেনি তা’ জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কাউন্সিলরের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা এসব লাগেজ আনতে পারবো না। রুহুল কুদ্দুস ট্রাভেল এজেন্ট সান-সাইন-এর মালিক মিজানুর রহমানকে লাগেজ আনার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের কান্ট্রি ম্যানেজার রিয়াদ আল হোতাইফকে হাজীদের লাগেজ জেদ্দায় ফেলে রাখার বিষয়টি অবহিত করে তা’ দ্রুত ঢাকায় পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তার পরেও এ বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় হাজীদের মাঝে হতাশা বাড়ছে। হাজীদের লাগেজে আত্মীয়-স্বজনদের জন্য আনা খেজুরসহ উপহার সামগ্রী জেদ্দায় পড়ে থাকায় তারা কাউকে কিছু দিতে পারছেন না। পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানার হাজী মজিবুর রহমান গতকাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাউদিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশী হাজীদের কোনো মূল্যায়ন করেন না। তিনি বলেন, লাগেজ না পাওয়ায় আমরা চরম ভাবে উদ্বিগ্ন। রাতে সাউদিয়ার কর্মকর্তা ওমর খৈয়ামের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।