পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের সাথে এত উত্তেজনা এবং শত্রুতা সত্ত্বেও ভারতের নিরাপত্তার জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ যে দেশটি তা কিন্তু পাকিস্তান নয়! এমনটাই দাবি ব্রিটিশ একটি থিংকট্যাংক প্রতিষ্ঠানের। গতকাল টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (আইআইএসএস) তাদের ‘স্ট্র্যাটেজিক সার্ভে ২০১৬ : দ্য অ্যানুয়াল রিভিউ অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স’ শীর্ষক রিপোর্টে বলেছে, সীমান্ত সমস্যার কারণে চীনই ভারতের প্রধান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ।
সম্প্রতি পাকিস্তান এবং নেপালের সাথে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কিন্তু দিল্লীর কাছে তার চেয়েও বড় উদ্বেগ সীমান্তে চীনের সক্রিয়তা নিয়ে। রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, ‘এর ফলে দিল্লীর নীতিনির্ধারকদের মধ্যে চারদিকে ঘেরাও হয়ে পড়ার ভয় সৃষ্টি হয়েছে এবং বেইজিংয়ের প্রতি তারা শক্ত মনোভাব পোষণ করছেন। যদিও চীন ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক পার্টনার এবং মোদি চাচ্ছেন ব্যবসা আরো বাড়াতে।’
সীমান্তে পাক সেনার বিপুল সমাবেশ, প্রস্তুত বিএসএফও
এদিকে পাক-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা এখনো কমছে না। গতকাল আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাজস্থান সীমান্তে বিপুল সৈন্য সমাবেশ পাকিস্তানের। জয়সলমেরের খুব কাছে পাক স্থলবাহিনী এবং বিমানবাহিনী যৌথভাবে বিরাট সমাবেশ করেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সীমান্ত থেকে মাত্র ১৫-২০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের এই সামরিক জমায়েতের খবর পেয়েই রাজস্থান সীমান্তে শক্তিবৃদ্ধি শুরু করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পাকিস্তানের দাবি, এই জমায়েত আসলে স্থলবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর যৌথ মহড়া। কিন্তু উরি হামলার পর ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনার পারদ যখন তুঙ্গে, তখন সীমান্তে এসে বৃহত্তম মহড়া আয়োজন করাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। মরুভূমির মাঝে জয়সলমের সীমান্তের ঠিক ওপারে কী ধরনের সামরিক সমাবেশ করেছে পাকিস্তান?
করাচি থেকে ফাইভ কোর এবং মুলতান থেকে টু স্ট্রাইক কোরকে নিয়ে আসা হয়েছে রাজস্থান সীমান্তের কাছে। নিয়ে আসা হয়েছে ২০৫ ব্রিগেডকেও। সব মিলিয়ে পাক স্থলবাহিনীর প্রায় ১৫ হাজার জওয়ান এখন জয়সলমেরের সীমান্তের ওপারে অবস্থান করছে। পাক বিমানবাহিনীও হাজির হয়েছে এই সামরিক কর্সূচিতে। বিমানবাহিনীর ৩০০ সদস্য এই তথাকথিত মহড়ায় যোগ দিয়েছেন। যুদ্ধবিমানের ওড়াউড়ির খবরও এসেছে। এতেই শেষ নয়। বেশ কিছু নতুন সামরিক সরঞ্জাম মরুভূমির মধ্যে পরীক্ষা করতে শুরু করেছে পাকিস্তান। মহড়ায় যোগ দেয়ার নামে সীমান্তে হাজির করা হচ্ছে বড়সড় ট্যাঙ্ক বাহিনী। ভারী গোলাবর্ষণের উপযুক্ত সরঞ্জাম এবং সাঁজোয়া গাড়িও ঘোরাফেরা করছে রাজস্থান সীমান্তের ঠিক ওপারে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর জয়সলমেরের কিষণগড় বুল্জ এলাকার ঠিক উল্টো দিকে পাক স্থলবাহিনী ও বিমানবাহিনীর এই কর্মসূচি চলছে। ২২ সেপ্টেন্বর থেকে শুরু হয়েছে পাক বাহিনীর এই বৃহত্তম মহড়া। চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। যত বড় সামরিক মহড়াই আয়োজিত হোক, এত দীর্ঘ সময় ধরে মহড়া চলা বেশ বিরল বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত।
রুশ-পাক সামরিক মহড়া শুরু, বিপাকে মোদি সরকার
শীতল যুদ্ধের পর ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে পাকিস্তান ও রাশিয়ার সেনাবাহিনী। উরির ঘটনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যখন যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে ঠিক তখনই এই সামরিক মহড়া শুরু হল। ফ্রেন্ডশিপ ২০১৬ নামে পরিচিত এই মহড়া চেরাই নামক স্থানে একটি বিশেষ বাহিনী একাডেমিতে শুরু হয়। মহড়ায় ৭০ জন রুশ এবং ১৩০ জন পাকিস্তানী সৈন্য অংশ নিচ্ছে। মহড়া চলাকালীন, রাশিয়ান বাহিনী পাকিস্তানী সৈন্যদের ভিএসএস ভিনটোরেজ নামক স্নাইপার রাইফেল এবং এনআর এস-২ যুদ্ধ ছুরিসহ অস্ত্রসম্ভার প্রদর্শন করে। গত সোমবার মহড়ার প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ফ্রেন্ডশিপ-২০১৬ সামরিক মহড়া ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। সঙ্গত কারণে এই মহড়ায় পাকিস্তান সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে এবং বিপাকে পড়েছে ভারতের মোদি সরকার। কারণ এটাকে পাকিস্তানের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার। ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের দৃষ্টিতে এটি ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতা। এছাড়াও মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মহল। সূত্র : বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার। (আরো খবর ৬-এর পৃষ্ঠায়)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।