পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রাজধানীতে চলছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি। মাসব্যাপী টিসিবির পণ্য বিক্রি গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। টিসিবি’র ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান হুমায়ুন কবির বলেন, কঠোর লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয়া এবারের বিক্রয় কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য। টিসিবি নিয়োজিত ডিলাররা ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে দেশব্যাপী তিনটি পণ্য বিক্রি করবেন। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা, মশুর ডাল কেজি ৫৫ ও চিনি (সাদা) কেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। রাজধানীর সোনারগাঁ রোড, কাঁঠালবাগান রাস্তার মুখে টিসিবির খোলা ট্রাকে চিনি, ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রি করছে যাত্রবাড়ীর টিসিবি পরিবেশক মহিম ট্রেডার্সের লোকজন। বিক্রয় প্রতিনিধি রায়হান পারভেজ জানান, সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত করে দেয়া হয়, কোন ডিলার কোন এলাকায় পণ্য বিক্রি করবেন। সে কারণে তারা যাত্রবাড়ী থেকে এখানে ট্রাকে পণ্য নিয়ে এসেছে। তাদের কাছ থেকে একজন মানুষ ১ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি ও ২ লিটার তেল নিতে পারবেন। বর্তমানে ১ ও ৫ লিটার তেল তাদের স্টকে নাই বলে জানান রায়হান।
এর আগে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ জুলাই থেকে সারা দেশের ৪৫০ স্থানে ন্যায্যমূল্যে চিনি, মশুর ডাল ও সয়াবিন তেল ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি করেছে টিসিবি। তারও আগে ৬ জুন টিসিবি সাশ্রয়ী মূল্যে সারা দেশে পণ্য বিক্রি শুরু করেছিল, যা চলেছে ১৭ জুন পর্যন্ত।
রাজধানীর ৮০টি স্থানে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন ডিলারদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে তিনটি পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ট্রাকে ৫০০-৮০০ কেজি চিনি, ৩০০-৬০০ কেজি মশুর ডাল এবং ৮০০-১ হাজার ২০০ লিটার সয়াবিন তেল বরাদ্দ থাকবে। একজন ক্রেতা ২-৪ কেজি চিনি, ২ কেজি মশুর ডাল এবং ২ থেকে সর্বোচ্চ ৫ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। এই বিক্রয় কার্যক্রম চলবে প্রতিদিন (শুক্রবার ছাড়া) সকাল ১০টা থেকে শুরু করে পণ্য শেষ হওয়া পর্যন্ত। বিধিনিষেধে জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে চলমান বিধিনিষেধে সব ধরনের যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলও। শিল্প কল-কারখানাও বন্ধ।
এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে জ্বালানি তেল বিক্রিতে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ার করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সব ধরনের জ্বালানি তেলের প্রতিদিনের চাহিদা গড়ে ১৮ হাজার টন। বিধিনিষেধের কারণে প্রতিদিন পাঁচ হাজার টন কমেছে। এরমধ্যে ডিজেলের চাহিদা কমেছে চার হাজার টন, অকটেনের ব্যবহারের চাহিদা কমেছে ৪০০ টন, ডিজেলের কমেছে ৪৫০ টন আর কেরোসিনের বিক্রি কমেছে ১০০ টন। এছাড়াও ফার্নেস অয়েলের চাহিদা কমেছে এক হাজার টন ও জেট অয়েল ১২০০ টন থেকে বিক্রি কমে ৬৫০ টনে ঠেকেছে। জ্বালানি তেলের বিক্রি ব্যাপক পরিমাণে কমে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল, যমুনা অয়েল এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তি থাকায় লোকসান অতটা গুনতে হবে না।
বর্তমানে ডিজেল প্রতি লিটার ৬৫ টাকা, অকটেন প্রতি লিটার ৮৯ টাকা, পেট্রোল ৮৬ টাকা, কেরোসিন ৬৫ টাকা লিটার। আর জেট- এ ১ (চট্টগ্রাম) স্থানীয় ফ্লাইটের জন্য ৬৩ টাকা লিটার, আর ঢাকার জন্যও এক মূল্য। অন্যদিকে ফার্নেস অয়েল প্রতি লিটারের দাম ৫৩ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।