Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

স্বামীকে আসামি করে মামলা

কামরাঙ্গীরচরে স্ত্রী-কন্যাকে শ্বাস রোধে হত্যা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে স্ত্রী ও কন্যাকে শ্বাস রোধ করে হত্যার ঘটনায় মোহন্দ্র চন্দ্র দাসকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত শনিবার গভীর রাতে মামলাটি করেন নিহত ফুলবাসী রানী দাসের বোন বিশাখাবাসী রানী দাস। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোরে স্ত্রী ফুলবাসী রানী দাস (৩৪) ও তার ১১ বছরের মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস। দিনমজুর মোহন্দ্র চন্দ্র দাসও কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মহামারির মধ্যে আর্থিক সংকটে পড়ায় তিনি পরিবারের সবাইকে হত্যা ও আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে সন্দেহ পুলিশের। মোহন্দ্রকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অসুস্থতার কারণে তাকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত শুক্রবার গভীর রাতে কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও এলাকার একটি বাসায় ঘুমের মধ্যে ফুলবাসী ও তার মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস। ঘটনার সময় ফুলবাসীর আরেক মেয়ে জুমা রানী দাস (১৪) ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সে দেখতে পায়, তার বাবা সুমীর মুখে পলিথিন চেপে ধরেছেন। গত শনিবার সকালে ওই বাসা থেকে ফুলবাসী ও তার মেয়ে সুমীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে খুনের কারণ সম্পর্কে এজাহারে বিস্তারিত উল্লেখ নেই।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামলায় একজনকেই আসামি করা হয়েছে। আসামি কীটনাশক পান করেছিলেন। এখনো তিনি সুস্থ হননি। এ কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা যায়নি।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার সকালে ৯৯৯-এ খবর পেয়ে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। বাসায় গিয়ে দেখা যায়, মোহন্দ্র নির্বাক হয়ে বসে ছিলেন। তার বড় মেয়ে জুমা কাঁদছিল। রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। মা ও দুই মেয়ে খাটে ঘুমিয়েছিল। মেঝেতে ঘুমিয়েছিলেন মোহন্দ্র। মধ্যরাতে মোহন্দ্র খাটে ফুলবাসী ও সুমীর মাঝখানে গিয়ে ঘুমান। গভীর রাতে সুমীর পা লেগে জুমার ঘুম ভেঙে যায়। জুমা দেখে, তার বাবা পলিথিন দিয়ে সুমীর মুখ আটকে রেখেছেন। জুমা ঘরের লাইট জ্বালাতে গেলে মোহন্দ্র তাকে নিষেধ করেন। কিন্তু সে উঠে লাইট জ্বালায়। দেখে, বিছানায় তার মা ও বোনের নিথর দেহ পড়ে আছে। তখন সে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে যান। প্রতিবেশীরাই ৯৯৯-এ কল করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্ত্রী-কন্যা হত্যা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ