পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্টাফ রিপোর্টার : কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে জার্মানীর জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান লাইকা ক্যামেরা এজি’র সঙ্গে মিলে গবেষণা ও উদ্ভাবন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করল আইটি জায়ান্ট হুয়াওয়ে। সেন্টারটি পরিচালনায় হুয়াওয়ে ও লাইকা ক্যামেরা এজি মিলিতভাবে কাজ করবে। ‘ম্যাক্স ব্যারেক ইনোভেশন ল্যাব’ নামে সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জার্মানীর ওয়েট্জলার শহরে অবস্থিত লাইকা ক্যামেরা এজি’র গ্লোবাল হেডকোয়ার্টারে। মূলত মোবাইল ডিভাইসে ছবির মান, ক্যামেরার অপটিক্যাল সিস্টেম ও সফটওয়্যার সংক্রান্ত প্রযুক্তি নিয়ে কৌশলগত কাজের উদ্দেশ্যেই এই ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। এছাড়া কম্পিউটেশনাল ইমেজিং, অগম্যান্টেড রিয়ালিটি (এআর) এবং ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (ভিআর) নিয়ে কাজ করবে ‘ম্যাক্স ব্যারেক ইনোভেশন ল্যাব’। হুয়াওয়ে ও লাইকা’র গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রগুলো আরো বেশি তথ্যসমৃদ্ধ করতে জার্মানীসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করবে। অপটিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররিং সংক্রান্ত কাজের অগ্রগতির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে ও লাইকা ক্যামেরা এজির অংশীদারিত্বের সাত মাস পর দীর্ঘমেয়াদী ‘ম্যাক্স ব্যারেক ইনোভেশন ল্যাব’ পরিকল্পনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠান দুটি। উল্লেখ্য, উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তির পুরস্কারপ্রাপ্ত ফ্ল্যাগশীপ স্মার্টফোন হুয়াওয়ে পি নাইন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ার পাঁচ মাস পর মোবাইল ফটোগ্রাফিকে অভিনব উচ্চতায় নেয়ার লক্ষ্যেই ‘ম্যাক্স ব্যারেক ইনোভেশন ল্যাব’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেন ঝেংফে এবং লাইকা ক্যামেরা এজির উপদেষ্টা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. অ্যান্ড্রিয়াস কফম্যানের দূরদর্শীতার ফলাফল হচ্ছে এই ল্যাব প্রতিষ্ঠা। এ প্রসঙ্গে হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “ইমেজ ও ভিডিও ক্যাপচারের মান আরো উন্নত করতে হুয়াওয়ে ও লাইকা ক্যামেরা এজি আগের চেয়ে অনেক বেশি নিবিড় পর্যবেক্ষণের সঙ্গে কাজ করতে পারবে ‘ম্যাক্স ব্যারেক ইনোভেশন ল্যাব’-এ। ফলাফল হিসেবে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা স্মার্টফোনের ক্যামেরায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন সফলভাবে করতে সক্ষম হবো।” “হুয়াওয়ে ও লাইকার মিলিত হয়ে কাজ করার ফলে শুধু শক্তিশালী ও অভিনব উদ্ভাবনই হবে না বরং উচ্চতর মান বজায় রাখার ব্যাপারে আরো দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হবে। উক্ত ইনোভেশন ল্যাবে দুটি প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞ জনশক্তি মিলে স্মার্টফোন খাতের নতুন দাঁড় উন্মোচন করবে বলে আমার বিশ্বাস”-এই বলে নিজের অভিমত ব্যক্ত করলেন লাইকা ক্যামেরা এজির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও একই সঙ্গে ‘ম্যাক্স ব্যারেক ইনোভেশন ল্যাব’-এর পরিচালক মার্কাস লিমবার্গার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।