পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বের ক্রীড়া জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার অলিম্পিক লরেল পেলেন নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শুক্রবার জাপানে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির পক্ষ থেকে তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তবে অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন না প্রফেসর ইউনূস। অ্যাথলেটদের প্যারেড শুরুর পূর্বে ভার্চুয়ালি তাকে এই সম্মাননা দেয়া হয়। এরপরই ইউনূস সেন্টারের ফেসবুক পেজ থেকে তার বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। এতে প্রফেসর ইউনূস বলেন, অলিম্পিক লরেল জিতে আমি অভিভূত এবং সম্মানিত বোধ করছি। একইসঙ্গে আমি দুঃখিত যে আমি সশরীরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারিনি।
বিশ্বের অ্যাথলেটদের উদ্দেশ্যে ড. ইউনূস বলেন, আপনারাই পরিবর্তনশীল বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে পারেন। একইসঙ্গে সৃষ্টি করতে পারেন তিনটি জিরো বা শূন্যের। এগুলো হচ্ছে, শূন্য কার্বন নির্গমন, শূন্য দারিদ্র এবং শূন্য বেকারত্ব। প্রত্যেকের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার শক্তি সৃষ্টি করার মাধ্যমেই এগুলো করা সম্ভব। প্রফেসর ইউনূস তার বার্তায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সফলতা কামনা করেন। তিনি ক্রীড়ার মাধ্যমে বিশ্বকে আরও শান্তিপূর্ন স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে আইওসি›র ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমি এই প্রতিযোগিতায় সকলের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি। আমাকে এই সম্মাননা দেয়ায় আবারও ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো দেয়া হলো এই পুরস্কার। অলিম্পিক কমিটি বলেছে, সারা বিশ্বকে অনুপ্রেরণা দিয়ে এক ছাতার তলে আনা বাংলাদেশি নোবেল বিজয়ী এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক আয়োজক কমিটিও ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ায় উল্লাস প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেন, তাদের আগেই টোকিও এই সম্মান জানিয়ে ফেলায় তারা মর্মাহত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।