পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় কোনো সাংবাদিককে নিগৃহ করা হয়নি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, এ ধারাটি সাংবাদিকদের মাথার ওপরে নেই। ৫৭ ধারা যেখানে আছে সেখানে তথ্য প্রকাশ করা সাংবাদিকদের জন্য স্বাধীন কিনা? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সঠিক তথ্য প্রকাশ করার জন্য কোনো সাংবাদিক নিগৃহীত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। বরং সাংবাদিকের নামে যারা কারাগারে গিয়েছেন তারা রাজনৈতিক দুষ্কর্ম করার জন্য গেছেন। আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।
‘ইস্টিশন’ নামের একটি ব্লগ ও সাম্প্রতিককালে ৩৫টি ওয়েব পোর্টাল বন্ধ করা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এগুলো সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে, আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। সেই সব পত্রিকাকে ডাকা হচ্ছে, বহুতজনে হাজিরও হচ্ছে না। তাদের আমরা জিজ্ঞাস করছি যে খবরটা দিয়েছেন ঠিক করে বুঝিয়ে বলেন। যদি তারা সঠিক তথ্য দিয়ে বোঝাতে পারে তাহলে তাদের ওয়েবপোর্টাল চালু হয়ে যাবে।
ইনু বলেন, দেশের আইন ও সিআরপিসি অনুযায়ী ৩৪টি আইন আছে যেখানে আপনি প্রাথমিক গ্রেফতারের পর জামিন পাবেন না। সুতরাং, আপনারা আরও তথ্য জানবেন, দ-বিধি জানবেন এবং ৫৭ ধারাতে যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের কেউই আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলতে পারেননি যে নিরপরাধ। তারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন, তার সঙ্গে গণমাধ্যমের তথ্য প্রকাশের কোনো সম্পর্ক নেই।
একটি অনলাইন সংবাদ পোর্টালের সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও সাংবাদিক শিপন হাবিবকে গ্রেফতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দেড় কোটির বেশি মানুষ সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহার করে। সামাজিক গণমাধ্যমের জন্য ক’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে? ‘দেশে আটাশশ’ পত্রপত্রিকা, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, কমিউনিটি রেডিও; সব কিছু মিলে কত হাজার ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট ফিল্ডে কাজ করছে। তারপরও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সংবিধানে আইন আছে, দেশের আইন আছে। এই সাড়ে সাত বছরে কতিপয় হাতেগোনা সাংবাদিকদের; আমাদের সমালোচনা করার জন্য বা সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রশ্নে কোনো রিপোর্ট করার জন্য কাউকে নিগৃহীত হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
মন্ত্রী বলেন, দু’একজন সাংবাদিক জেলা উপজেলায় নিগৃহীত হচ্ছে, সেখানে আমরা সরাসরি হস্তক্ষেপ করছি, পুলিশ সুপারদের জিজ্ঞাস করেছি, কেন সাংবাদিকের গায়ে হাত দিয়েছে, মামলা কেন নেয়া হয়নি।
ইনু বলেন, গত সাড়ে সাত বছরে আমাদের সমালোচনা করার জন্য, সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করা নিয়ে রিপোর্ট করার জন্য কেউ নিগৃহীত হয়েছে বলে আমার জানা নাই। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অপরাধসংক্রান্ত কারণে। বহুতজন একাধারে সাংবাদিক, আরেকধারে রাজনৈতিক নেতা। রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনার সময় বা বক্তব্য-বিবৃতি দেয়ার সময় অপরাধজনিত কারণে তথ্য মন্ত্রণালয় বা আমাদের তরফ থেকে বা গণমাধ্যমের নীতি-নৈতিকতা ভঙ্গের জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ইন্টারনেটে সামাজিক গণমাধ্যমে লেখার জন্য দু-একজন সাংবাদিককে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক গণমাধ্যমে দেড় কোটির বেশি সদস্য, এদের কয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে?
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অনলাইন নীতিমালার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছি। খসড়া নীতিমালা বিবেচনার মধ্যে রয়েছে, এটা যখন চলে আসবে আশা করি সমগ্র ওয়েব পোর্টাল-অনলাইন পরিচালনা করতে পারে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার বিগত সাত বছরে নীতিগতভাবে প্রসার ও বিকাশে বিশ্বাসী, তা না হলে বেসরকারি খাতে এতগুলো টেলিভিশন ও এফএম রেডিও দিতাম না।
এই মুহূর্তে রাষ্ট্র গণমাধ্যমের কোনো শত্রু নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জঙ্গি, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতার উস্কানির বিরুদ্ধে আমরা যারা ভূমিকা রাখছি এই ভূমিকা গণমাধ্যম ও আমাদের রক্ষা করতে হবে। এই মুহূর্তে জঙ্গি-সন্ত্রাস, মাফিয়াচক্র গণমাধ্যম ও সরকারের শত্রু। এটা মোকাবেলা করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান তথ্য কমিশনার ড. মো. গোলাম রহমান, তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ ও তথ্য কমিশনার এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা একেএম শামীম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।