Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোগীদের সেবা দিচ্ছে বিএনপির করোনা হেল্প সেল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২১, ৫:৫০ পিএম

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শহর থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ঘটেছে বিস্তার। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কয়েকদিন পরপরই গড়ছে নতুন রেকর্ড। এমন অবস্থায় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটছেন স্বজনরা। সাতক্ষীরা ও বগুড়ায় অক্সিজেনের অভাবে কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে- গ্রামের মানুষরা ঔষধ পাচ্ছে না, তারা অক্সিজেন পাচ্ছে না, জেলা শহরের হাসপাতালগুলো শয্যা সংখ্যা থাকায় তারা দুর্ভোগে পড়ছে। যার ফলে সারাদেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে হ-য-ব-র-ল অবস্থার মধ্যে আছে।

এই পরিস্থিতিতে মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সারাদেশে করোনা হেল্প সেল চালু করেছে বিএনপি। প্রত্যেক জেলায় দলের কার্যালয়ে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর সহযোগিতায় এসব সেন্টারে করোনা আক্রান্ত ও করোনা উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

পাশাপাশি হেল্প সেন্টারগুলো থেকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা, অক্সিজেন বাসায় পৌঁছানোর ব্যবস্থাও থাকবে। বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে জনগণ স্বাস্থ্য-চিকিৎসা সেবা, ঔষধ সরবারহসহ বিভিন্ন সেবা পাবেন। যেকোন ব্যক্তি চাইলে হেল্প সেলে যোগাযোগের জন্য যে মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছে সেটিতে যোগাযোগ করতে পারেন। আক্রান্ত ব্যক্তি বা তাদের স্বজনরা এসব নাম্বারে ফোন করে তাদের প্রয়োজন জানলে (অক্সিজেন, ওষুধ) বাড়িতে পৌঁছে দেবেন হেল্প সেলের সদস্যরা। আর চিকিৎসকের পরামর্শ চাইলে মোবাইল ফোনেই নিতে পারবেন তারা।

ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, দেশের প্রায় সবকটি জেলাতেই জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ড্যাবের সহযোগিতায় করোনা হেল্প সেল চালু করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি উপজেলাতেও এই সেল কাজ শুরু করেছে। এসব সেন্টারে করোনা উপসর্গ আছে কিংবা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তি চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।

করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার জন্য সরকারকে দায়ী করে করোনা ভাইরাস সংক্রমন পর্যবেক্ষণ কমিটির আহবায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, সরকারের পরিকল্পনাবিহীন উদ্যোগ, ঈদ উপলক্ষে লকডাউন উঠিয়ে দিলো এবং মানুষকে বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলো। এবার কিন্তু করোনার বিস্তার ঢাকা না, গ্রামে। এই ঈদে সবাই বাড়ি যাবে আবার ওইখান থেকে যখন ঢাকায় ফেরত আসবে তখন করোনা নিয়ে সারা দেশে বিস্তার করার ব্যবস্থা করবে। তিনি বলেন, ডেল্টা ভাইরেন্ট খুবই সিরিয়াস ৭০% বেশি স্পিডে ছড়ায়। সুতরাং করোনাকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যে ব্যবস্থা সরকার গ্রহন করেছে আমাদের দেশে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত না হয়- এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত।

দলের উদ্যোগে সারাদেশে জনগণকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে জানিয়ে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা প্রতিটা জেলায় দলের কার্যালয়ে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন-ড্যাবের সহযোগিতায় করোনা হেলপ সেল খুলেছি। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা জনগণের পাশে থাকবো।

তিনি বলেন, জেলার হেল্প সেলগুলো থেকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা, অক্সিজেন বাসায় পৌঁছানোর ব্যবস্থাও থাকবে। বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে জনগণ স্বাস্থ্য-চিকিৎসা সেবা, ঔষধ সরবারহসহ বিভিন্ন সেবা পাবেন বলে জানান টুকু।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা হেল্প সেল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ