পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র ঈদুল আজহা এবং পরবর্তী করোনা বিধিনিষিধে কার্যত টানা ১৯ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়ছে দেশ। তবে সীমিত আকারে খোলা থাকছে ব্যাংক। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হলেও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পশুর হাট সংলগ্ন ব্যাংকগুলোর শাখা-উপশাখা সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকছে।
এছাড়া আজ তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে কেবল ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো খোলা থাকবে।
এদিন ব্যাংকে সকাল ১০টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে। এ ছাড়া কঠোর লকডাউন চলাকালে আগামী ২৫ জুলাই (রবিবার) থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে। লেনদেন পরবর্তী সময়ের কাজ গোছানোর জন্য ব্যাংক খোলা রাখা যাবে দুপুর ৩টা পর্যন্ত।
আগামীকাল বুধবার (২১ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। অর্থাৎ ঈদের তিন দিন (২০, ২১ ও ২২ জুলাই) ছুটি। এরপর ২৩ ও ২৪ জুলাই সাপ্তাহিক (শুক্র ও শনিবার) ছুটি। ফলে ঈদের ছুটি মিলে টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সবাই।
অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকেই শুরু হচ্ছে বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ চলবে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। অর্থাৎ মোট ১৪ দিন থাকছে বিধিনিষেধ। এসময় সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখা হবে। বন্ধ থাকবে সব শিল্প কারখানা এবং গণপরিবহন।
আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার পরদিন শুক্র ও শনিবার (৬ ও ৭ আগস্ট) সাপ্তাহিক ছুটি। সাপ্তাহিক ছুটিতে সরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও অধিকাংশ বেসরকারি অফিস খোলা থাকে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে মূলত ঢাকা ত্যাগ করা মানুষদের আসার সুযোগ রেখে ৮ আগস্ট থেকেই শুরু হবে বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম।
এদিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ঈদের পর বিধি-নিষেধ তথা লকডাউন কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। শিল্প কারখানাও বন্ধ রাখা হবে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের পরের বিধি-নিষিধে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৩ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
করোনা সংক্রমণ রোধে এসব উদ্যোগ নেওয়া হলেও ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরা ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। গত কয়েকদিন থেকে বাড়িমুখী মানুষের স্রোত নেমেছে। গত ১৫ ও ১৬ জুলাই ১৭ লাখ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অন্যদিকে, ২১ জুলাই ঈদ শেষে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে বিধি-নিষেধ আরোপ করায় বাড়ি ফেরত মানুষের অধিকাংশই ঈদের দিন এবং পর দিন ঢাকায় ফিরবেন, ফলে ঢাকা ছাড়ার সময় যে সংক্রমণের আশঙ্কা তা ফেরার সময় আরো মারাত্মক হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ঈদে পশুরহাট বসানোয় এই শঙ্কা আরো বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।