ছিনতাইয়ের ৫০ দিন পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরিফ নামে একজনের ল্যাপটপে থাকা ছবির সূত্র ধরে মুঠোফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গতকাল সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান ডিএমপি রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান। গ্রেফতারকৃতরা হলো-ছগির, সুমন মিয়া, জাকির, আরিফ ও জীবন।

অন্যদিকে ফোন ফিরে পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমার বিশ্বাস ছিল ফোনটা পাওয়া যাবে। ফোনটি আমি ফিরে পেয়েছি। এই জন্য পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা তারা চমৎকার কাজ করেছেন। তার ফলেই আমি ফোনটি ফিরে পেয়েছি।
ডিসি আরো বলেন, গত ১২ জুলাই ধানমন্ডি এলাকায় একজনের ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ মামলা তদন্ত করতে গিয়ে সগির ও সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসা করে জাকির নামের একজনের নাম জানা যায়। জাকিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরিফের নাম জানা যায়। পরে আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, আরিফের ল্যাপটপ অনুসন্ধান করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এর মুঠোফোনের একটি ছবি পাওয়া যায়। পরে আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জীবনের নাম পাওয়া যায়। আর জীবনকে গ্রেপ্তার করার পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের চুরি হওয়া আইফোনটি উদ্ধার করা হয়।

ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, জীবনের কাছ থেকে আরও কয়েকটি চোরাই মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রীর মুঠোফোনটি কে ছিনতাই করেছিল, এমন প্রশ্নের তিনি বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রীর মুঠোফোনটি উদ্ধারের পর আমরা মিরপুর বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা জানিয়েছে, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এর মুঠোফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজনকে তারা গ্রেপ্তার করেছে। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় আমরা এখনো জানতে পারিনি। তবে আমরা ধারণা করছি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের মুঠোফোন ছিনতাইয়ের সঙ্গে ছগির ও সুমন জড়িত ছিলেন।

ডিসি সাজ্জাদ বলেন, জীবন ও আরিফ জানতেন এটা মন্ত্রীর ফোন। এ জন্যই জীবন ফোনটি আর বিক্রি না করে নিজের কাছে রেখে দেন। মন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি আইফোন। আইফোনের লক খোলা খুবই কঠিন। কিন্তু আরিফ এ ফোনটিও আনলক করেছিলেন। আনলক অবস্থাতেই আমরা মোবাইলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই। ফোনটি ছিনতাইয়ের পর কয়েক দফা হাত বদল হয়ে হাতিরপুলের একটি দোকানে গিয়েছিল। সেই দোকান থেকে একজন ফোনটি ৩০-৩৫ হাজার টাকায় কিনে নেন বলে জানিয়েছিল পুলিশ। উল্লেখ্য গত ৩১ মে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে বের হয়ে বিজয় সরণির ট্রাফিক সিগন্যালের যানজটে আটকা পড়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে বহনকারী গাড়িটি। তখন গাড়ির গøাস খুলে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন মন্ত্রী। এ সময় হঠাৎ এক ছিনতাইকারী ছোঁ মেরে মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ব্যক্তিগত সহকারী কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনার ৫০ দিন পর ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।