পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের নদ-নদীসমূহের পানি কোথাও বৃদ্ধি কোথাও হ্রাস পাচ্ছে। আবার কোথাও স্থিতিশীল বা থমকে আছে। উজানে ভারতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভাটির দিকে আসছে ঢল। দেশের অভ্যন্তরেও বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। প্রধান নদ-নদী, শাখা-প্রশাখা ও উপনদীগুলোর কোথাও পানি কমতে না কমতেই আবারো বেড়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি দেশের উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল থেকে ভাটি ও মোহনা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে নদীভাঙন।
নিরূপায় ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের অসংখ্য মানুষ। প্রমত্তা নদ-নদীর করাল গ্রাস ও ঘূর্ণিস্রোতে একের পর ভাঙছে বসতঘর, ফল-ফসলের জমি, খামার, রাস্তাঘাট। বিলীন হয়ে যাচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। প্রতিনিয়তই ব্যাপক ভূমিক্ষয় ঘটছে নদ-নদী সংলগ্ন গ্রাম-গঞ্জ-জনপদে। নদীভাঙন কবলিত ও ঝুঁকিতে থাকা বিভিন্ন এলাকা ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িঘরে অথবা অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে চলে যাচ্ছে অনেকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, প্রধান নদ-নদীসমূহের ১০৯টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল সোমবার ৫২টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি, ৫৪টিতে হ্রাস পায়। দু’টি স্থানে অপরিবর্তিত থাকে। রোববার নদ-নদীর ৬২টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি, ৪০টিতে হ্রাস এবং ৬টি স্থানে অপরিবর্তিত থাকে। শনিবার ৫২টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৪৯টিতে হ্রাস পায়। শুক্রবার ৪০টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৬২টিতে হ্রাস পায়। বৃহস্পতিবার ৩৪ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৬৯টিতে হ্রাস পায়।
নদ-নদীসমূহের সর্বশেষ প্রবাহ পরিস্থিতি এবং পূর্বাভাসে পাউবো জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হ্রাস পাচ্ছে। যমুনা নদের পানি স্থিতিশীল রয়েছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকায় নদ-নদীসমূহের পানি হ্রাস পাচ্ছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করে পাউবো জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল এবং এর সংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এরফলে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। গতকাল বিকালে পাউবোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার কাছে ১০ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় উজানে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে। এরমধ্যে আইজলে ৭৫, জলপাইগুড়ি ৫২, শিলং ৪০, আগরতলায় ৩৯ মিলিমিটারসহ বিভিন্ন স্থানে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। অন্যদিকে এ সময়ে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যে ভৈরববাজারে ৭২, জকিগঞ্জ ও লামায় ৭০, মহেশখোলায় ৫৯, শেওলায় ৫৫, গাইবান্ধায় ৫২ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পাউবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।