Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হান্নান শাহ’র ইন্তেকাল

প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মানুষের আদালতে আর হাজির হতে হবে না আ স ম হান্নান শাহকে। রাজনৈতিক হামলা, মামলা, হুলিয়া, কারাগার এবং রিমান্ড নির্যাতন তাকে আর ছুঁতে পারবে না। গণতান্ত্রিক সরকার কিংবা অগণতান্ত্রিক সরকার; কারো নিপীড়ন থেকেই রেহাই পাননি এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আইনি লড়াই অব্যাহত রেখে ৩০ মামলা মাথায় নিয়ে অবশেষে মহান আল্লাহর দরবারে তিনি হাজির হয়ে গেলেন। বিএনপির অন্যতম নীতি-নির্ধারক হান্নান শাহ গতকাল ভোরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন।
তার পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত ভোর রাত ৩টা ৩৭ মিনিটে সিঙ্গাপুরের র‌্যাফেলস হার্ট সেন্টার হাসপাতালে হান্নান শাহ ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী নাহিদ হান্নান, মেয়ে শারমিন হান্নান সুমি এবং দুই ছেলে শাহ রেজাউল হান্নান ও শাহ রিয়াজুল হান্নানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। হান্নান শাহর ইন্তেকালে চারদিনের শোক ঘোষণা করেছে বিএনপি। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শোক বই খোলা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় তার লাশ দেশে আনা হবে। কয়েক দফা জানাজা শেষে শুক্রবার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায় তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর, সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি আদালতে হাজির হবার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বাসা থেকে বের হন। গাড়িটি আর আদালতে যেতে পারেনি। যেতে হয়েছে হাসপাতালের দিকে। হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে জরুরিভাবে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। সেখানে তার সফল অস্ত্রোপচার হয়।
হান্নান শাহ’র ইন্তেকালে পৃথক বার্তায় শোক প্রকাশ ও তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ নেতার মৃত্যুর খবরে দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন তার ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছে।
হান্নান শাহের মৃত্যুর খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে মহাখালী ডিওএইচএসের বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা। মির্জা ফখরুল তার বড় ছেলে শাহ রেজাউল হান্নানসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সমবেদনা জানান।
গতকাল মঙ্গলবার হান্নান শাহ’র সহকারী মোহাম্মদ সাজাহান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আসম হান্নান শাহ্’র মঙ্গলবার বাদ এশা সিঙ্গাপুরে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হান্নান শাহর সংক্ষিপ্ত জীবনী
১৯৪১ সালের ১১ অক্টোবর গাজীপুরের কাপাসিয়ার ঘাগটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হান্নান শাহ। তার বাবা প্রথিতযশা আইনজীবী ফকির আব্দুুল মান্নান ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।
হান্নান শাহ’র ছোট ভাই শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান ছিলেন সুপ্রিমকার্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি। ১৯৫৬ সালে ঢাকা সেন্টগ্রেগরি স্কুল থেকে মেট্রোকুলেশন পাস এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৬০ সালে বিএসসি অধ্যয়নকালে পূর্ব পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন হান্নান শাহ। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া হান্নান শাহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে অন্য বাঙালি সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে দেশে ফিরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি ক্রীড়াঙ্গনে সুনাম অর্জন করেন। ভ্রমণপ্রেমি হান্নান শাহ বিশ্বের ৫০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে রাঙ্গুনিয়া থেকে তার লাশ ঢাকায় নিয়ে আসেন তখনকার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসম হান্নান শাহ। এইচ এম এরশাদ সরকারের সময় তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান। অবসরের পর এরশাদের সময়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পেয়েছিলেন হান্নান শাহ। ১৯৮৩ সালে ওই পদ ছেড়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন।
শুরুতে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) ও ১৯৯৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালের শুরুতে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর দুই বছরের জরুরি অবস্থার মধ্যে খালেদা জিয়া যখন কারাগারে, সে সময় বিএনপিকে সংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন হান্নান শাহ। এরপর ২০০৯ সালে বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয় হান্নান শাহকে, এ বছর অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ কাউন্সিলেও তা বহাল থাকে। হান্নান শাহ ১৯৯১ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ আসন (কাপাসিয়া) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তাকে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বর্তমান সরকারের সময়েও তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে, তার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৩০টির বেশি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন।
প্রেসিডেন্টের শোক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আ স ম হান্নান শাহের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। গতকাল মঙ্গলবার এক শোক বার্তায় প্রেসিডেন্ট বিএনপির প্রয়াত এ নেতার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
হান্নান শাহ’র অবদান থাকবে চির অম্লান : খালেদা জিয়া
আ স ম হান্নান শাহের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশ-জাতির প্রতিটি প্রয়োজনে তার ভূমিকা, অবদান ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে থাকবে। এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, জাতীয় জীবনে বর্তমান ক্রান্তির সময়ে তাকে যখন খুব দরকার, সে সময়ে তিনি চিরতরে চলে গেলেন। তার মৃত্যুতে দল হারালো দেশপ্রেমিক এক সৈনিককে, জাতি হারালো তার সাহসী সন্তানকে। এই ক্ষতি সহজে পূরণ হওয়ার নয়। দেশ-জাতির প্রয়োজনের মুহূর্তে তার ভূমিকা ও অবদান ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে থাকবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে মরহুম হান্নান শাহর সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িত। আমি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি, আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন।
বিভিন্ন মহলের শোক
বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি জেবেল রহমান গানি, এনডিপির সভাপতি খন্দকার গোলাম মূর্তজা, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ-ভাসানী) সভাপতি এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টি আই এম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি জুবেদা কাদের চৌধুরী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) সভাপতি কামরুজ্জামান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশে-এর সভাপতি আল্লামা আব্দুল মুমিন শায়খ ইমামবাড়ী, বাংলাদেশে ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ রশিদ প্রধান, ভাসানী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মমতাজ চৌধুরী, জাগদলের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চৌধুরী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান আলমগীর মজুমদার, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন পৃথক শোক বার্তায় হান্নান শাহ’র ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে তার রুহের শান্তি কামনা করেছেন। এছাড়া বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, যুবদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, উলামা দল, ছাত্রদল, জাসাস, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন, এগ্রিকালচারিস্ট এসোসিয়েশন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে হান্নান শাহের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। পৃথক বার্তায় শোক জানিয়েছে নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক
বিএনপির চারদিনের শোক ঘোষণা
তার ইন্তেকালে বিএনপি চারদিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দলের সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া শোক কর্মসূচি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। এ সময় দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়সমূহে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং শোকসূচক কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। শুক্রবার সারাদেশে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। মরহুম আ স ম হান্নান শাহ’র ইন্তেকালে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শোকবই খোলা হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের স্বাক্ষরের জন্য তা আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উš§ুক্ত থাকবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শোক বইয়ে শোক জানিয়ে স্বাক্ষর করা যাবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। শোক বইতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার স্বাক্ষর করেন।
হান্নান শাহ’র মৃত্যুতে গাজীপুর বিএনপির তিনদিনের শোক
আমাদের গাজীপুর সংবাদদাতা জানান, বিএনপি হান্নান শাহ’র ইন্তেকালে গাজীপুরে তিনদিনের শোক ঘোষণা করেছে। গাজীপুর জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল জানান, আ স ম হান্নান শাহ’র ইন্তেকালে বুধবার থেকে গাজীপুর জেলা বিএনপি জেলায় তিনদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি নেতা হান্নান শাহ-এর স্মরণে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকারের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গীতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাসান উদ্দিন সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, বিএনপি নেতা মীর হালীমুজ্জামান ননী, সফি উদ্দিন খান, মাওলানা আব্দুস সামাদ, আব্দুর রহিম, এজিএস সাজেদুল, মোখলেসুর রহমান বিপ্লব, মনিরুজ্জামান, কিবরিয়া প্রমুখ।
এছাড়া গাজীপুর মহানগর জিয়া পরিষদের উদ্যোগে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে কোরআন তেলাওয়াত করা হচ্ছে। মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে আগামী তিনদিন এ কোরআন তেলাওয়াত অব্যাহত থাকবে।
জানাজা ও দাফন
বড় ছেলে শাহ রেজাউল হান্নান ইনকিলাবকে জানান, সিঙ্গাপুরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বুধবার সন্ধ্যায় তার বাবার লাশ ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মহাখালী ডিওএইচএস মসজিদে, সাড়ে ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এবং বাদ জোহর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার জানাজা হবে। ওইদিন হান্নান শাহ’র লাশ সিএমএইচের হিমঘরে রেখে শুক্রবার সকালে সড়ক পথে গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সকাল ৯টায় জয়দেবপুর রাজবাড়ী মাঠে, সাড়ে ১০টায় কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং বাদ জুমার পর মরহুমের নিজ গ্রাম চালা বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে বাবার কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হবে।



 

Show all comments
  • Shahidul-khan ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১১:৫৩ পিএম says : 0
    We are sad really for this muktijoddha.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হান্নান শাহ’র ইন্তেকাল

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ