পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, সম্প্রতি স্কুলের শিশু ও নারী হত্যার প্রবণতা বেড়েছে। এ সমস্ত নরপশুদের ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলা উচিত। এই ধরনের নরপশুদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। এরা জঙ্গির চেয়ে ভয়ঙ্কর।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে তিনি এ দাবি করেন। এর আগে তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এ ফ্লোর নিচ্ছি। সম্প্রতি স্কুলগামী শিশু হত্যার প্রবণতা বেড়েছে। উইলস লিটল স্কুলের রিশা, মিরপুরের আফসানাসহ প্রতিদিন অসংখ্য নারী-শিশু বখাটের দ্বারা খুন হচ্ছে। প্রতিদিন নিউজ পেপারে ছাত্র-ছাত্রী হত্যার নিউজ দেখতে হচ্ছে। এটা কিসের আলামত? এ সমস্ত নরপশুদের ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলতে হবে। এই ধরনের নরপশুদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। ওই সংসদ সদস্য বলেন, বাচ্চারা আজ স্কুলে যেতে পারছে না। হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে অনেক সময় ব্যয় হয়। অনেক সময় ভুক্তভোগীর ন্যায় বিচার পায় না। তিনি আরো বলেন, জঙ্গির চেয়ে ভয়ঙ্কর হচ্ছে, এই সকল সমাজবিরোধীরা। এদের হাত থেকে সমাজকে কলুষমুক্ত করতে হবে।
ফিরোজ রশীদের বক্তব্যের জবাবে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, আপনি যে বক্তব্য রেখেছেন তা আমরা সমর্থন করি। তবে আপনি ক্রস ফায়ারের যে কথা বলেছেন, এটা সমর্থনযোগ্য নয়। আজ ক্রস ফায়ারের আদেশ দিলে মানবাধিকার কর্মীরা প্রশ্ন তুলবেন। তখন সরকার যাবে কোথায়? তবে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যাখ্যা দিবেন বলে আশা করি।
পয়েন্ট অব অর্ডারের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আমরা ক্রস ফায়ার বিশ্বাস করি না। আমরা অপরাধীদের গ্রেফতার করেছি। এরই মধ্যে আমরা অনেক ঘটনার আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় অনেককে ধরাও হয়েছে। অনেকগুলোর বিচার শুরু হয়েছে। সংসদ সদস্য যে কথা বলেছেন, আমি ৩০০ বিধিতে সবগুলোর বক্তব্য দিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।