পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহসিন রাজু ,বগুড়া থেকে : মরহুম জাতীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী (অবঃ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহ তার চাকুরী জীবনের এক স্মরণীয় অধ্যায় পার করেন বগুড়ায়। ১৯৭৫ সালের ঐতিহাসিক সিপাহী জনতার বিপ্লবের পর তৎকালীন সেনা প্রধান জিয়াউর রহমানের নির্দেশে বগুড়ায় এসে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে বিশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে আনেন। পাশাপাশি সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে সামনে রেখে বগুড়ায় চরম অরাজক পরিস্থিতি দূর করে দক্ষতার সাথে সমাজ জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনেন। ওই সময় তিনি কর্ণেল পদ মর্যাদায় কর্মরত থাকায় বগুড়ায় তিনি সিনিয়র নাগরিকদের কাছে এখনও ‘কর্ণেল শাহ’ নামেই পরিচিত রয়েছেন। মিডিয়ায় হান্নান শাহ’র ইন্তেকালের সংবাদ প্রচারের সাথে সাথে তাই বগুড়া জুড়েই সৃষ্টি হয় শোকার্ত পরিবেশ।
শত শত মানুষ তার ইন্তেকালের খবর শোনা মাত্র ‘‘ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন পড়ার পাশাপাশি তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাঁর জন্য দু’হাত তুলে মোনাজাত করেন আল্লাহর দরবারে!
স্মৃতিচারণ করে বগুড়ার সাবেক ক্রিকেটার একেএম রাজিউল্লাহ ও আম্পায়ার ও ক্রীড়া সংগঠক জলিলুর রহমান জলীল বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে মরহুম হান্নান শাহ বগুড়ায় ক্রীড়াঙ্গনে সৃষ্টি করেছিলেন জাগরণ। ক্রিকেট সহ সব ধরণের খেলা ধুলায় পৃষ্টপোষকতার পাশাপাশি তিনি নিজে ব্যাট হাতে নেমে পড়তেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
সাপ্তাহিক কাঁকন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদিকা সুফিয়া খাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, বগুড়ায় তাঁর সাপ্তাহিক কাঁকন পত্রিকা ও অন্য একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশনার অনুমতিসহ পরবর্তিতে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছিলেন ।
ওই সময়ের একাধিক সাংবাদিককে সরকারি পৃষ্টপোষকতায় বিদেশে পাঠানো সহ ট্রেইনিং এর ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন বলে স্বীকার করলেন একাধিক সাংবাদিক নেতা। ৭৫’থেকে ৭৭ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত বগুড়ায় তাঁর দায়িত্ব পালনকালে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করে ব্যবসায়ী সহ সব শ্রেনী পেশার মানুষেরই শ্রদ্ধা ও ভালবাসা অর্জন করেন তিনি।
জাসদের গণবাহিনী ও অন্যান্য সশস্ত্র গ্রুপকে সুপথে আনা ও সুপথে না আসলে তাদের কার্যকর ভাবে দমন করে অশান্ত ও ভীত সন্ত্রস্ত পরিবেশকে পুরো স্বাভাবিক করতে সফল হয়েছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন সিনিয়র নাগরিক ইনকিলাবকে বলেন, কর্ণেল ফারুক রহমানের সমর্থনে বগুড়ায় বেঙ্গল ল্যান্সারের একদল বিপথগামী বিদ্রোহ করে বগুড়া শহরের স্বর্ণ ও ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেটে ঢুকে লুটপাট করলে তিনি ওই বিদ্রোহ দমনে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।