পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719378912](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ চাঁদা না পেয়ে চা দোকানের দোকানি বাবুল হাওলাদারকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের মিরপুর বিভাগের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি শাহআলী থানার সাবেক ওসি শাহীন মন্ডলসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে। মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাসুদ আহমদ খানকে প্রধান করে গঠিত দুই সদস্যের এই কমিটি গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার কায়ুমুজ্জামানের কাছে এ রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন, শাহআলী থানার তৎকালীন (ওসি) শাহীন মন্ডল, এসআই মমিনুর রহমান খান, নেয়াজ উদ্দিন মোল্লা, এএসআই দেবেন্দ্রনাথ ও কনস্টেবল জসিম উদ্দিন। এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে। ডিএমপি সদর দফতরের উপ-কমিশনার (শৃঙ্খলা) টুটুল চক্রবর্তী গত রবিবার পুলিশ কমিশনারের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন।
পুলিশের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, গত বুধবার রাতে মিরপুর-১ নম্বরের চিড়িয়াখানা লেকের পাড়ে কিংশুক সমবায় সমিতির পাশে চা দোকানি বাবুলের কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে পুলিশের সোর্স দেলোয়ার ধাক্কা দিয়ে দোকানের কেরোসিনের চুলার ওপর ফেলে দেয়। এতে বাবুলের পুরো গায়ে আগুন ধরে যায়। এসময় টহল পুলিশের এসআই মমিনুর রহমান খান, নেয়াজ উদ্দিন মোল্লা, এএসআই দেবেন্দ্রনাথ ও কনস্টেবল জসিম উদ্দিন বাবুলকে আগুন থেকে নিবৃত করার চেষ্টা না করে দাঁড়িয়ে ছিল। ঘটনার পর পুলিশ অগ্নিদগ্ধ বাবুলকে হাসপাতালের বদলে গাড়িতে করে থানায় নিয়েছিল। থানা থেকে পরে পরিবারের সদস্যরাই দগ্ধ বাবুলকে হাসপাতালে নিয়ে যান। রিপোর্টে আরো বলা হয়, তারা ইচ্ছা করলে এগিয়ে গিয়ে বাবুলকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারতেন। কিন্তু তারা তা করেননি। পুলিশ একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। দায়িত্ব পালনে পুলিশকে আগে মানবিক বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তারা কর্তব্য পালনে অবহেলা ও গাফিলতি করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ঘটনার তিন দিন আগে বাবুল জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনারের কাছে আবেদন করেছিলেন। উপ-কমিশনার ঐ আবেদনটির ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে শাহআলী থানার ওসি শাহীন মন্ডলের কাছে পাঠান। ওসি উপ-কমিশনারের ঐ নির্দেশনা আমলে নেয়নি। এ কারণে তদন্ত কমিটি ঘটনার পর ওসিকে প্রত্যাহার করাও যুক্তিযুক্ত হয়েছে বলে তদন্ত কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।