পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের উত্তরপ্রদেশ বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প বাদ দেওয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। যোগী আদিত্যনাথ সরকার রবিন্দ্রনাথের একটি গল্প নিয়ে আপত্তি তুলে তা বাদ দেওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে নানা মন্তব্য করেছেন সচেতন নাগরিকরা।
পাঠ্যসূচি থেকে রব্রিন্দ্রনাথ, রাধাকৃষ্ণণের লেখা বাদ পড়ায় নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এই বিতর্কের ঢেউ ছড়িয়েছে। অনেকেই বাদ দেওয়ার এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন। আবার অনেকে বাংলাদেশের পাঠ্যসূচি থেকেও রবিন্দ্রনাথের বিতর্কিত লেখাগুলো বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সমালোচকরা বলছেন, লিবারাল লেখা বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদী রচনা ঢোকানো হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের সিলেবাসে। এটাই সত্যিকারের মগজধোলাই। ফলে ছাত্রছাত্রীরা ছোটবেলা থেকেই তৈরি হবে হিন্দুত্ববাদী চেতনা নিয়ে।
এদিকে কিছু দিন আগেই উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী চৌধুরী চরণ সিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের পাঠ্যক্রমে রামদেবের বই ‘যোগ চিকিৎসা রহস্য’ এবং যোগী আদিত্যনাথের ‘হঠযোগ স্বরূপ এবং সাধনা’ অবশ্যপাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ভারতে পাঠ্যসূচি থেকে রবিন্দ্রনাথের গল্প বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশের জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘সেই মহাভারত প্রতিষ্ঠিত তোমার আজন্ম স্বপ্ন ছিল, সেই মহাভারত প্রতিষ্ঠার জন্য সারাজীবন লিখে গেলে, সেই ভারতবর্ষের সিলেবাস থেকে তোমাকে বাদ দিল তোমারি ভাবাদর্শিকরা! আহ্! গুরু আহ্! ’’
ইত্তেহাদুল হক লিখেছেন, ‘‘মোদি বাবু যে কবিগুরু রুপ ধারন করে পশ্চিম বাংলায় বিধান সভার নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিলেন। তার একজন সাথী ছিলেন ভোগী আদিত্য নাথ। নির্বাচনে গোহারা হারের পর আসছে 2022 সালের উত্তর প্রদেশ বিধান সভা নির্বাচনে জেতার ট্রাম কার্ড করতে যাচ্ছে কবিগুরুর কবিতা বাদ দিয়ে রামদেবেকে দেব পুরুষ বানিয়ে কোমলমতি ছাত্রদের ও তাদের অবিভাবকদের ব্রেন ওয়াশ করা শুরু করেছেন মোদি সরকার।’’
শফিকুল ইসলাম শোভনের দাবি, ‘‘বাংলাদেশের সকল পাঠ্য পুস্তক থেকেও বাদ দেওয়া হোক রবি ঠাকুরের গল্প । এই সেই রবি ঠাকুর যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মানে আপত্তি জানিয়েছিলেন, তিনি বলেছিলেন মুর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয় ? এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতায় স্থাপিত হয়।’’
ইসমত চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘এই রকমই হয় এক সময় ঢাকা ইউনিভার্সিটি নির্মান যে ওনার বাধা ছিলো আজকে নাকি ভারতে পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দিয়েছেন রবিঠাকুরের গল্প! আশা করছি ওনার আত্মা দেখছেন মানুষকে বিভাজন করাটা কতটা অপরাধ. প্রকৃতি সব ফিরিয়ে দেয়!’’
রবি ঘোশালের মন্তব্য, ‘‘সাহিত্য সংস্কৃতির প্রভাবে বিস্তারিত করে পাল্টানো ঠিক কাজ নয়, আমরা পুর্বেও দেখেছি অনেক দেশ এমনটি করছে বাট যারা প্রকৃত জ্ঞানী ও উদার তারা কিন্তু পাল্টাবে না, অবশ্য তাদের সংখ্যা কম। সংযোজন ঠিক বাট ঢালাউ বাদ দেওয়া উচিৎ নয়।’’
নাজমুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘ভারতের পাঠ্যসুচি থেকে যখন বাদ পারে রাবিঠাকুর।তখন আমাদের দেশের কিছু মানুষ তাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করে। আমাদের উচিৎ উনার সকল কবিতা, গল্প, উপন্যাস, কাব্য আমাদের পাঠ্যবই থেকে বাদ দিয়া হক। যে লোকটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশে বিরোধিতা করে। তার বাংলাদেশের কোন লেখা থাকতে পারে না।’’
গাজী আম্মান লিখেছেন, ‘‘দেশের অনেক লেখক কবি সাহিত্যিক রয়েছে। প্রার্থমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথের লেখাগুলো বাদ দিয়ে বাংলাদেশি লিজেন্ডদের লেখা কবিতা সাহিত্য উপন্যাস এড করে দেওয়া উচিত।’’
মিজু আহমেদ লিখেছেন, ‘‘সবই ভোট পাওয়া ও ক্ষমতায় টিকে থাকার কৌশল, কারন উত্তর প্রদেশের হয়তো অধিকাংশ মানুষের মস্তিষ্ক এখন কুসংস্কার ও সেকেলে চিন্তাচেতনায় পরিপূর্ণ। জ্ঞান ও বিজ্ঞানের এই যুগে এরা গোমূত্র, গোবর কে মহা ঔষধ মনে করে,এরা এইসব কর্মকাণ্ড করতে ও মানতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ফিল করে,আর যৌগি সরকার সেই কাজটায় করচে,সো অবাক হওয়ার কি আছে? আর বিজেপি র মূল মন্ত্রই তো হিন্দুত্ববাদ ও ধর্মীয় বিদ্বেষ।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।