Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুর্বল আইন-বিলম্বিত বিচার

ঝুলছে জাল টাকার সাড়ে ৬ হাজার মামলা অর্ধযুগ লালফিতায় আটকা আইনের খসড়া : কারামুক্ত হয়ে একই অপরাধ করে জালিয়াতরা

সাঈদ আহমেদ | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

পৃথক আইন না থাকাসহ আইনের নানা দুর্বলতায় আদালতগুলোতে ঝুলছে অন্তত সাড়ে ৬ হাজার জাল টাকা তৈরির মামলা। আইনি দুর্বলতার পাশাপাশি রয়েছে লঘু শাস্তির বিধান, মামলা পরিচালনায় মনিটরিং না থাকা, সাক্ষী হাজির করতে না পারা, সাজার সময়সীমা সুনির্দিষ্ট না থাকা, সরকারি আইন কর্মকর্তাদের গাফলতি এবং বিচার কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতা। এর ফলে টাকা জালিয়াত চক্র দ্রুত জামিনে কারামুক্ত হয়ে একই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে টাকা জালিয়াত চক্রের ডেরায় হানা দেয়া হলেও পরবর্তী সময়ে আসামিরা বেরিয়ে আসছে দ্রুত। মামলাগুলোর ফলাফলও যাচ্ছে আসামিদের অনুকূলে। ফলে টাকা জালিয়াতির মামলায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া যাচ্ছে না অপরাধীদের। তবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার জানিয়েছেন, টাকা জালিয়াতকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সালের এ পর্যন্ত জাল টাকা তৈরি করে সরবরাহ ও বাজারজাতকরণে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মামলা রয়েছে। এগুলো কোনোটি চার্জশিট প্রদান পর্যায়, অভিযোগ গঠন, সাক্ষ্যগ্রহণ এবং কোনোটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। এসব মামলায় ব্যতিক্রম দু’একটি বাদে সব আসামিই এখন জামিনে মুক্ত। আইনের ফাঁক-ফোকড় দিয়ে বেরিয়ে তারা নবউদ্যোমে লেগে যাচ্ছে টাকা জালিয়াতিতে।
মামলা হলেও হয় না শাস্তি
এ বছর জানুয়ারি থেকে চলতি মাস পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ৩৫৬টি মামলা হয় জাল টাকা তৈরির অভিযোগে। এসব মামলায় হাতেনাতে আসামি ধরা হলেও অধিকাংশই জামিনে বেরিয়ে আসে। অনেক ক্ষেত্রে প্রধান আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় টাকা জালিয়াতি আরও বিস্তৃতি লাভ করে।
অন্যদিকে যে হারে জাল টাকার মামলা হচ্ছেÑ সে তুলনায় নিষ্পত্তির হার নগণ্য। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি না হওয়ায় শাস্তি হচ্ছে না। এতে অপরাধীদের মধ্যে কোনো ভীতির সঞ্চার হচ্ছে না। প্রচলিত আইনে (১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-ক ধারা) রয়েছে বড় ধরনের দুর্বলতা। আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।
সূত্র জানায়, জাল টাকা তৈরি চক্রের নিজস্ব কিছু আইনজীবী রয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো কোনো পাবলিক প্রসিকিউটরের রয়েছে ঘনিষ্টতা। তারা পরস্পর জোগসাজশে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জালিয়াত চক্রের সদস্যদের চুক্তিতে কারামুক্ত করেন।
টাকা জালিয়াতির মামলাগুলো অনেক সময় র‌্যাব-পুলিশের তত্ত্বাবধানে থাকতেই পরিকল্পিতভাবে দুর্বল করে দেয়া হয়। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অপরাধীর জামিন লাভের সুবিধার্থে এজাহার দায়ের করা হয় দুর্বলভাবে। চার্জশীট দেয়ার ক্ষেত্রে আসামিদের স্থায়ী ঠিকানা সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় না। যে নামে গ্রেফতার করা হয়, সে নাম ও বর্তমান ঠিকানা থানায় রেকর্ড করা হয়। আসল নাম, পরিচয় ও স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ না থাকায় জামিনে বেরিয়ে ঠিকানা পরিবর্তন করে ফেলে আসামিরা। ফেরার হয়ে গেলে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। পরে সাজা হলেও আর সাজা কার্যকর হয় না। এতে রাতারাতি ধনী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে যায়। অপরাধী ধরা পড়ে, মামলা হয়। শাস্তি হয় না। আবার শাস্তি হলেও কার্যকর হয় না সেটি।
দ্রুত কারামুক্তি জালিয়াতদের
ঘটনা গত বছর ১২ জুলাইয়ের। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ রাজধানীর বাড্ডা নুরেরচালা এলাকায় জাল নোট তৈরির কারখানা থেকে গ্রেফতার করে আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে। দম্পতিসহ জাল টাকার মামলায় ৫ আসামিকে ১৩ জুলাই আদালতে হাজির করা হয়। আদালত দম্পতির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্য আসামি হেলাল খান, আনোয়ার হোসেন ও ইসরাফিল আমিনকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কারখানা থেকে মাসে তারা কোটি টাকার জাল নোট তৈরি করতেন। কারখানা থেকে ১ হাজার টাকা ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের অন্তত ৪৩ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে কারখানায় জাল নোট ছাপানোর কার্যক্রম বাড়িয়ে দেন। তারা প্রতিমাসে কোটি কোটি জাল টাকা ছাপিয়ে মার্কেটে ছাড়তেন। রিমান্ড শুনানির জন্য আসামিদের আদালতে তোলা হলে তাদের পক্ষে দাঁড়িয়ে যান কয়েকজন আইনজীবী। ডিবি পুলিশের আবেদনের বিপরীতে তাদের জামিন প্রার্থনা করেন আইনজীবীরা। যদিও আদালত সেটি নাকচ করে দিয়েছেন।
এর আগের কয়েকটি ঘটনা। থানা পুলিশ সেকশন-৭, ব্লক-বি, রোড-৮, বাসা-৪৪ থেকে মো: মাসুদ রানা ওরফে নান্নুর কাছ থেকে ১০০০ টাকার ৩৭১টি জাল নোট, ১৭টি ৫০০ টাকার জাল নোট , ১০০টি ১০০ টাকার জাল নোট, ২০ পিস ১০০০ টাকা প্রিন্ট সংবলিত নোটের কাগজ এবং ১০০ টাকার প্রিন্ট দেয়া ৭ পিস, ১০০০ টাকা নোট তৈরি করার কাগজ ৬৪০ পিস যাতে ১০০০ টাকার নিরাপত্তা সুতা লাগানো ছিল। ১ বান্ডিল বাংলাদেশ ব্যাংক লেখা নিরাপত্তা স্টিকার যুক্ত জাল নোট তৈরির কাগজ জব্দ করা হয়। এ ছাড়া জাল নোট তৈরিতে ব্যবহৃত ১০০ গ্রাম সোনালি রংয়ের কেমিক্যাল, ২০০ গ্রাম সিলভার রং , ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ লেখা নোট ছাপানোর স্ক্যানার, জাল নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত দুটি প্রিন্টার ও একটি সিপিইউ, একটি কী বোর্ড ও একটি মাউস, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড লেখা পাঁচটি অ্যাকাউন্টের চেক বই জব্দ করা হয়। মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। কিন্তু পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর হয়। পরবর্তীতে মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার জামিন মঞ্জুর হয়। আদেশে বলা হয়, আসামির মায়ের দুটি কিডনি নষ্ট অথচ চিকিৎসার জন্য কেউ নেই। আসামির মায়ের চিকিৎসার বিষয় বিবেচনা করে ১ মাসের জন্য ১০ হাজার ঢাকা মুচলেকায় জামিন প্রদান করা হলো।
মামলায় সরকারপক্ষের কৌসুলি বলেন, আসামির পিতা ও অন্যান্য স্বজন আছে, এজাহার ও এফআইআরে পিতার নামের জায়গায় ‘মৃত’ লেখা নেই। চিকিৎসার জন্য অন্য কেউ নেই এ কথা সঠিক নয়। আসামি মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন নিয়েছে।
সূত্রমতে, শুধু একজন নান্নু নয়Ñ এভাবেই কোনো না কোনোভাবে জামিনে বেরিয়ে ফেরার হয়ে যাচ্ছে জালিয়াতির কারিগররা।
বিলম্বিত মামলার বিচার
ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী জাল টাকা সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রজ্ঞাপন জারি বা আইন সংশোধনের মাধ্যমে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা হত্যা, ধর্ষণ, আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য ও মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে। এর আগে জরুরি ক্ষমতা বিধিমালা অনুযায়ী সরকার কিছু মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে জরুরি বিধিমালার কার্যকারিতা না থাকায় এসব মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর সুযোগও ছিল না। পরে মামলাগুলো ট্রাইব্যুনালের পরিবর্তে সাধারণ আদালতে নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর ফলে সাধারণ আদালতে মামলাগুলোর নিষ্পত্তি হতে সময় লাগছে বছরের পর বছর। জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানিতে আইন কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। কিন্তু মামলা রুজুর ক্ষেত্রে দুর্বলতা থাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আসামিরা এ সুযোগটি গ্রহণ করে।
ঢাকা বারের সিনিয়র এডভোকেট মাহবুবুর রহমান জানান, জাল নোট প্রতিরোধে দেশে পৃথক কোনো আইন নেই। বর্তমানে দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ৪৮৯(ক)-(ঘ) ধারা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর ২৫(ক) ধারা অনুযায়ী এ সংক্রান্ত অপরাধের বিচার চলছে। অনুসৃত আইনে অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যেমন : জাল নোট সংক্রান্ত মামলার শুনানির নির্ধারিত দিনে সাক্ষী প্রায় ক্ষেত্রেই উপস্থিত থাকেন না। এ কারণে মামলার কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। জাল নোটের বাহক অনেক ক্ষেত্রে নিরপরাধ হয়ে থাকেন। ফলে অনেক সময় সাধারণ মানুষও অজ্ঞতাবশত জাল টাকা বহন করার দায়ে ফেঁসে যান। জাল নোটের সংখ্যা মাত্র কয়েক পিস হওয়া সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তি ভোগ করা এবং জাল নোট প্রতিরোধে সমন্বিত কার্যক্রম না থাকায় বিদ্যমান আইনে বিচার বিঘ্নিত হচ্ছে।

আইনের খসড়া ঝুলছে অর্ধযুগ
আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, টাকা জালিয়াতির বিচারে পৃথক আইনের খসড়া ঝুলে আছে ৬ বছর ধরে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে জাল নোট প্রচলন প্রতিরোধ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সিআইডি, এনএসআই ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ৬ সদস্যের একটি উপকমিটি করা হয়। এ কমিটি একবছর ধরে যাচাই-বাছাই করে একটি খসড়া আইন করে। খসড়া অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যত বেশি নকল মুদ্রা তৈরি বা সরবরাহের অভিযোগ প্রমাণিত হবে তার দণ্ড হবে ততো বেশি। এ ছাড়া একই ব্যক্তি একাধিকবার এই আইনে অপরাধী হলেও দণ্ড বেড়ে যাবে। এতে সর্বনিম্ন ২ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়। আইনের খসড়ায় মুদ্রা জালকরণ, জাল মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়, জাল মুদ্রাকে খাঁটি বলে প্রচার করা, প্রতারণার উদ্দেশে জাল মুদ্রা রাখা, জাল মুদ্রা বিদেশ থেকে দেশে আনা বা দেশ থেকে বিদেশে নেয়া, অসৎ উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত মুদ্রা বিকৃতকরণ, লেনদেন অযোগ্য মুদ্রা প্রতারণা করে লেনদেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বাতিলকৃত বা বিকৃত মুদ্রা বাজারজাতকরণ, জাল মুদ্রা তৈরির যন্ত্র, উপাদান বা দ্রব্যাদি প্রস্তুত সরবরাহ বা আমদানি-রফতানি বা মেরামত, বহন, হেফাজত বা ক্রয়-বিক্রয়, জাল মুদ্রা তৈরি সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান, এ সংক্রান্ত ফাইল, ক্লিপিংয়ের হার্ডকপি বা সফট কপি দখলে রাখা, জাল অথবা আসল মুদ্রা সম্পর্কিত কোনো মিথ্যা গুজব ছড়ানো, এই আইনের আওতায় অপরাধ বলে গণ্য করা হয়।



 

Show all comments
  • ssanto ১৮ জুলাই, ২০২১, ৯:১৮ এএম says : 0
    অসাধু উকিলদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে জামিন পাচ্ছে আসামীরা।
    Total Reply(0) Reply
  • Dadhack ১৮ জুলাই, ২০২১, ১:০১ পিএম says : 0
    আল্লাহর আইনে দেশ চলে প্রতিটা মুসলিম হয়ে যেত পুলিশ কেননা আল্লাহ সোবহানা তালা বলেছেন তোমরা সর্বশ্রেষ্ঠ জাত কারণ তোমরা অন্যায় কে প্রতিহত করা এবং ন্যায় কাজের আদেশ দাও ................
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্বল আইন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ