পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পবিত্র ঈদুল আযহার আগে সারা দেশের ৫০ হাজার প্রান্তিক পরিবারের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও পুষ্টিকর খাদ্য-পণ্য বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম নিত্য-ব্যবহার্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান-সেনা কল্যাণ সংস্থা (এসকেএস) এর সাথে যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
মহামারিকালে সরকারের চলমান ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমকে আরো জোরাল করতে এই যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে সেনা কল্যাণ সংস্থা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৫০ হাজার হত-দরিদ্র পরিবারের কাছে ত্রাণের পণ্য পৌঁছে দিবে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে করোনা ভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণের কারণে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য পরিবারের জীবন-জীবিকা। এ অবস্থায় করোনার সংক্রমণ রোধের জাতীয় প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করার অংশ হিসেবেই বিস্তৃত পরিসরে নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ। করোনা মহামারি মোকাবিলায় জাতিকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে সেনা কল্যাণ সংস্থার ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির মাধ্যমে পণ্য অনুদানের এই উদ্যোগটি ইউনিলিভার বাংলাদেশের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমেরই বর্হিপ্রকাশ।
অনুদানকৃত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও পুষ্টিকর খাদ্য সহায়তার মধ্যে রয়েছে- লাইফবয় লিক্যুয়িড স্যুপ। করোনা মহামারিতে দেশে সবে হ্যান্ড ওয়াশ, লাক্স সাবান, হুইল পাউডার, ডোমেক্স, ক্লোজআপ টুথপেস্ট, হরলিক্স ও নর চয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে ঈদের আগেই এসব পণ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাজধানীতে সেনা কল্যাণ সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির ডিরেক্টর জেনারেল (ওয়েলফেয়ার) এয়ার কমোডর মোহাম্মদ মঈনুদ্দীনের কাছে এসব ত্রাণ সহায়তা পণ্য হস্তান্তর করেন ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশন্সের প্রধান- শামীমা আক্তার। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- এসকেএস এর ডিরেক্টর জেনারেল অব মার্কেটিং ডিভিশন কমোডর মাহমুদ হোসেন, এসকেএস এর ডিরেক্টর জেনারেল অব বিজনেস ডিভিশন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মির্জা মো. এনামুল হক, এসকেএস এর ডিরেক্টর জেনারেল অব হিউম্যান রিসোর্স ডিভিশন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাখাওয়াত হোসেন; এসকেএস এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল অব বিজনেস ডিভিশন-২ কর্নেল আরশাদুজ্জামান খান, এসকেএস এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল অব কো-অর্ডিনেশন অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্নেল মো. আনোয়ারুল ইসলাম এবং ইউবিএল এর পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ম্যানেজার- তৌহিদ আহমেদ।
ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম প্রসঙ্গে ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাভেদ আখতার বলেন, কঠিন এই সময়ে যতবেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছানো এবং করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সহায়তা করা আমাদের কর্তব্য। কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জের ভয়াবহতা এবং বিভিন্ন পর্যায়ে এই সমস্যা মোকাবিলা করার লক্ষ্যে আমরা সরকার, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ, বাস্তবায়নকারী সংগঠন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে একসাথে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছানোর মাধ্যমে সহায়তার করার সময়োপযোগী এমন উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আমি সেনা কল্যাণ সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জীবন রক্ষায় এটি একটি নতুন অংশীদারিত্বের সূচনা এবং করোনা মহামারির প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সেনা কল্যাণ সংস্থার এমন প্রচেষ্টায় আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সহযোগিতার লক্ষ্যে গত সপ্তাহে অনুদান হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে (ডিজিএইচএস) ১০০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিয়েছে ইউবিএল। এছাড়া চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ের পাশাপাশি দু’টি হাসপাতালের অবকাঠামোর উন্নয়নে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।