পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এমেরিটাস অধ্যাপক আবদুল মতীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরায় শিন শিন জাপান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর এ কে এম হারুন রশীদ।
মৃত্যুকালে প্রফেসর আবদুল মতীনের বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তার স্ত্রী অধ্যাপক হাসিনা মতীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। দুই ছেলে রয়েছে তাদের।
প্রফেসর হারুন রশীদ বলেন, শ্বাসকষ্টসহ শরীরের নানা জটিলতা নিয়ে এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রফেসর আবদুল মতীন। মৃত্যুর তিন দিন আগে কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। প্রফেসর মতীনের লাশ ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে দর্শন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ গভীরভাবে শোকাহত। আমরা শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেষর ড. মো. আখতারুজ্জামান এক শোকবার্তায় বলেন, প্রফেসর ড. আবদুল মতীন ছিলেন একজন খ্যাতিমান দার্শনিক ও গবেষক। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ, বিনয়ী, নম্র ও সজ্জন চরিত্রের অধিকারী। মৌলিক দার্শনিক চিন্তার অধিকারী এই গুণী শিক্ষক দর্শন বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নতুন চিন্তা-ভাবনার খোরাক যোগাতেন। দর্শন বিষয়ক অনেক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থসহ তিনি কাব্যগ্রন্থও রচনা করেছেন।
১৯৩৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার ধিতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল মতীন। ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতক এবং ১৯৫৭ সালে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। ১৯৬০ সালের ১ জুলাই তিনি নিজের শিক্ষায়তনে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে যোগ দেন এবং ২০০০ সালে প্রফেসর হিসেবে অবসরে যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এমেরিটাস অধ্যাপক ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।