পয়লা শ্রাবণ আজ শুক্রবার। ঘোর বর্ষা ঋতুর ঠিক মধ্যভাগ। তবে আবহাওয়ার মতিগতি পূর্বাভাস অনুযায়ী, পয়লা শ্রাবণে অঝোরধারায় বর্ষণের সম্ভাবনা কম। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনাই বেশি। আসছে সপ্তাহে ক্রমেই বৃৃষ্টিপাতের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত গুঁড়ি গুঁড়ি হালকা থেকে মাঝারি বৃৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় তেঁতুলিয়ায় ১৩৭ মিলিমিটার। সেখানে আগের ২৪ ঘণ্টায়ও অতিভারী বর্ষণ (১২৯ মি.মি.) হয়।

গতকাল রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টিপাত হয়নি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিরাজগঞ্জে ৩৬.৫ ডিগ্রি সে.। ঢাকার পারদ সর্বোচ্চ ৩৫.৭ ও সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্রি সে.। সারাদেশে তাপমাত্রা মৌসুমের এ সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে স্থানভেদে ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সে. ঊর্ধ্বে।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ ড. মুহম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ুর বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ ভারতের রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।