পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ সফরে আসছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং। কিন্তু তার এ সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর আলোচনা। তবে সবচেয়ে বেশী আলোচনায় রয়েছে কর্নফুলী নদীর নীচ দিয়ে টানেল নির্মাণের বিষয়টি। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে চীনের কাছে বাংলাদেশের কাক্সিক্ষত বিষয়গুলো তুলে ধরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে চীনের আগ্রহ। তারপর সরকারের সিদ্ধান্তের পালা। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ২০ প্রকল্পের মধ্যে ৭/৮টি চীনের কিছু কোম্পানির মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন করেছে। চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরে এই চুক্তি হতে পারে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়।
বাংলাদেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পে ঋণের জন্য চীনের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছে। চীনের পক্ষ থেকেও মৌখিকভাবে ১০, ২০ ও ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরে তার লিখিত স্বীকৃতি পাবে। চীন তাদের অঙ্গীকার রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে দেখা যায়, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৭টি প্রকল্পে তহবিল দিতে আগ্রহ রয়েছে চীনের। এই খাতের বাস্তবায়নে ৭.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার পায়রা সমুদ্রবন্দরের কাছে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত বছর শেখ হাসিনা চীন সফরে গিয়ে এই প্রকল্পের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। সরকার ইতোমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য। আর অন্য একটি প্রকল্প হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় কয়লাভিত্তিক ৩৫০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। গজারিয়ায় চীন ৪৩৩ মিলিয়ন ডলার তহবিল করবে। গজারিয়ায় চীনের ব্যবসায়ীরা গার্মেন্টস কারখানা তৈরিতেও বিনিয়োগ করবেন।
জানা যায়, ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর ইআরডির কর্মকর্তা চীনের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে ২টি প্রকল্পে ঋণ দেয়ার বিষয়ে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ১৮৪ মিলিয়ন ডলারের চীনের কাছ থেকে ৬টি জাহাজ ক্রয় আর দাসেরকান্দিতে ২৮০ মিলিয়ন ডলারের পানি শোধনাগার নির্মাণ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে চীনা সরকার বাংলাদেশের ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পে ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ‘সফট লোন’ দিতে প্রাথমিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ২০১৬-২০ সালের মধ্যে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফরের সময় আগামী ১৩ বা ১৪ অক্টোবর এই উন্নয়ন প্রকল্পের সই হতে পারে।
অর্থ বিষয়ক মন্ত্রিপরিষদ কমিটি চীনের কোম্পানির সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। চুক্তি হলেই আগামী দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে চায়। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুইবার চীন সফর করেছেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের জুনে তিনি চীন সফর করেন।
পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘপথসহ চারটি প্রকল্পে তহবিল দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। এটির ব্যয় হবে ৬.২১ বিলিয়ন ডলার। আরো তিনটি প্রকল্প হচ্ছেÑ জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিং, জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী ও আখাউড়া থেকে সিলেট রেল সংযোগ প্রকল্প। এছাড়া ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-সিলেট ফোর লেন হাইওয়ে ও সীতাকুন্ডু-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ এক্সপ্রেস ওয়ে প্রকল্পে ৬.৬৫ বিলিয়ন ডলার প্রস্তাবনা দিয়েছে বেইজিং।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।