পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাসের চিঠির জবাব ও পায়রা নদীতে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। গতকাল (সোমবার) রাতে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে পটুয়াখালীর সংসদ সদস্য ও চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বিষয়টি উত্থাপন করেন। পরে অধিবেশনে সভাপতির আসনে থাকা ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী ওই শিশুর চিঠির জবাব দিয়ে শুধু পটুয়াখালীর মানুষদের হৃদয় কাড়েনি, সারা দেশের মানুষের হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। সারাদেশের মানুষকে উদ্বেলিত করেছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এর আগে প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ সংসদ সদস্যদের দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পড়ে শোনান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপামর জনসাধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। গতকাল (সোমবার) পটুয়াখালীর চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দুর চিঠির জবাব দিয়ে যে নজির স্থাপন করলেন, তা সত্যিই দেশের মানুষকে উদ্বেলিত করেছে। একমাত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যার পক্ষেই এটা করা সম্ভব। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় সংসদের সকল সংসদ সদস্যদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় উপস্থিত সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে তার বক্তব্যকে সমর্থন জানান। এর আগে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবার। তাঁর কাছে যে কেউ যে কোনো দাবি জানাতে পারেন। তাই সংসদ সদস্যদেরও কারোর কোন চাহিদা থাকলে ইচ্ছা করলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানাতে পারেন। দেখবেন সব হয়ে যাবে। চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের চিঠির জবাব এবং ওই ছাত্রের চাহিদা পূরণের ঘোষণা দিয়ে সত্যিই প্রধানমন্ত্রী দেশে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শীর্ষেন্দু বিশ্বাস তার এলাকা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লেখেন। প্রধানমন্ত্রী সেই চিঠির জবাব দেন এবং শীর্ষেন্দুকে আশ্বস্ত করেন ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।