পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : ঢাকার সাভারে ওয়ালটন ও যমুনা ইলেকট্রনিকসের নাম ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে ভোল্ট স্ট্যাবিলাইজার ও আইপিএস। আর এসব নামী-দামি কোম্পানির নকল সামগ্রী কিনে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা।
সোমবার সাভার পৌর এলাকার দক্ষিণ বক্তারপুর এলাকায় ‘মাদার কর্পোরেশন’ নামের ওই নকল কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।
কারখানাটিতে ছোট ছোট শিশু শ্রমিকদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাজ করতে দেখা গেছে। যেকোনো সময় ওই কারখানায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
কারখানাটির শিশু শ্রমিক আলেক মিয়া জানায়, গত দেড় বছর আগে মাদার কর্পোরেশন নামের ফ্রিজের ভোল্ট স্ট্যাবিলাইজার তৈরির কারখানাটি চালু করেন এনামুল হক শামীম ও আসাদুজ্জামান সোহাগ নামের দুই ব্যক্তি। ওই কারখানাটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে প্রায় ১৫ জন শিশু শ্রমিক কাজ করে। শ্রমিকরা ওই নকল কারখানায় ফ্রিজের ভোল্ট স্ট্যাবিলাইজার তৈরি করে নামী-দামি কোম্পানি ওয়ালটন ও যমুনা ইলেকট্রনিকসের মোড়কে ভরে তা বিভিন্ন শোরুমে বিক্রি করেন।
সাধারণ ক্রেতারা ওয়ালটন ও যমুনার পণ্য মনে করে তা কিনে নেন। সকাল ৯টা থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কাজ চলে এ কারখানায়।
নকল পণ্য তৈরির কারখানা মাদার কর্পোরেশনের মালিক এনামুল হক শামীম নামী-দামি কোম্পানি ওয়ালটন ও যমুনা ইলেকট্রনিকসের নাম ব্যবহার করে নকল পণ্য তৈরি করার কথা স্বীকার করে বলেন, তাদের নাম ব্যবহার করা অপরাধ। তবে বিভিন্ন শোরুমের মালিকরা আমাদের কাছে স্ট্যাবিলাইজার ও আইপিএস তৈরির অর্ডার দেয় আমরা তৈরি করে দেই। তবে কোন কোন শোরুমের মালিক তৈরির অর্ডার দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি তা বলতে পারেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।