পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লকডাউনের দিন যত যাচ্ছে ততই রাজধানীর সড়কে যান চলাচল বাড়ছে। মানুষের সমাগমও অন্যদিনের তুলনায় গতকাল সোমবার ছিল বেশি। সরকার ঘোষিত লকডাউন শেষ হতে এখনো আরও দুই দিন বাকি থাকলেও ঢাকার রাস্তাঘাট স্বরূপে ফিরতে শুরু করেছে। রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়কে গত কয়েক দিনের তুলনায় অধিক সংখ্যক রিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, জিপ, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান ও প্যাডেলচালিত রিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন বেশি চলাচল করতে দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও রাস্তাঘাটে বিপুল সংখ্যক মানুষকে চলাচল করতে দেখা যায়। লকডাউন শুরুর প্রথম সপ্তাহখানেক বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনের কাগজপত্র তল্লাশি, গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার কারণ এমনকি রাস্তাঘাটে বের হওয়া মানুষকে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাসদদ্যের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। গতকাল ডিএমপি ৬০৪জনকে গ্রেফতার করেছে। মোবাইল কোর্ট ১৬৮জনকে প্রায় তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়া ৭২৭টি গাড়ির জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ১৬ লাখ টাকা।
গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে অধিকাংশ মানুষকে রিকশায় চলাচল করতে দেখা যায়। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গণপরিবহন না চলার সুযোগ নিয়ে রিকশাচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন।
রাজধানীর মিরপুর, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, আসাদগেট, গ্রিন রোড, নিউমার্কেট, গুলিস্তান, তেজঁগাও, কাকরাইল, বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে মূল সড়কে বাধাহীনভাবে প্রায় সব ধরনের পরিবহন চলাচল করছে। শুধু গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। অনেক সিএনজি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট ও মাইক্রোবাসে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। তাদের রোধ করতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হলেও অধিকাংশ স্থানে তা ফাঁকা দেখা গেছে।
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, ভোলা জেলায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা/নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে পরিচালিত সরকার ঘোষিত লকডাউন অমান্য করায় ১৪০৬টি মামলা ও ১৪৮৭জন আসামীকে জেল জরিমানা করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, মুন্সীগঞ্জে সর্বাত্মক লকডাউনের ১২তম দিন ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি পৌর মেয়র আলহাজ ফয়সাল বিল্পবের নেতৃত্বে কাউন্সিলররা গত দুই দিন মাঠে থাকায় কঠোরভাবে পালিত হয়। গতকাল যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকায় দোকান পাট খোলা ছিল। চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিস্ক্রিয় দেখা যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারাঃগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন এলাকা ঢিলেঢালেভাবে চলছে লকডাউন ও কঠোর বিধি নিষেধ। গতকাল সকাল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের ডেমরা-আদমজী-নারায়নগঞ্জ রোডে চলছে ব্যাটারিত চালিত রিক্সা, অটো রিক্সা, সিএনজি,ব্যক্তিগত গাড়ী । অন্যদিনের তুলনায় গতকাল বেশি চলছে যান বাহন। মাঝে মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। অন্যদিনের তুলনায় পুলিশের তদারকি ছিল কিছুুটা কম। তাছাড়া মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক। অনেকে খুশমেজাজেই চলাচল করছে।
সোমাবার দুপুর ১২টায় সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, থানায় পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে গাড়ী তল্লাশি চালাচ্ছে। উপযুক্ত কারণ ছাড়া গাড়ী আসলে আটক করছে বা জরিমানা করতে দেখা গেছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিত্রই একই । অন্যদিনের তুলনায় ব্যাক্তিগত গাড়ী বেশিই চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে ঢাকা –চট্টগ্রাম মহা সড়কে যাত্রীদের তেমন ভীড় চোখে পড়েনি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান ইনকিলাবকে জানান, সিদ্ধিরগঞ্জে মার্কেট বন্ধ রয়েছে তবে মহল্লার ভিতরে মুদীর দোকান ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ৫টার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায় সিদ্ধিরগঞ্জে সবই দোকান শার্টার নামানো থাকে।
সিলেট ব্যুরো: লকডাউনে আইনশৃংখলা বাহিনী রাস্তায় সক্রিয়। রয়েছে কড়াকড়ি অভিযান। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানা করা হচ্ছে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে। রাস্তায় রিকসা সিএনজি দেখা মিললেও গণ পরিবহন বন্ধ। তারপরও করোনার প্রকোপ কমছে না সিলেটে। লাফিফে লাফিয়ে অতীতের রেকর্ড ভাঙ্গছে করোনা পরিস্থিতি। রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। এদিকে সিলেটের অধিকাংশ হাসপাতালে খালি নেই আইসিইউ শয্যা। সেই সাথে রয়েছে অক্সিজেনের সংকট। সোমবার র্যাব-৯ এর এএসপি ওবাইন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় র্যাব ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছে ১২ জনকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।