পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর পাথরঘাটায় ঐহিত্যের মাটির মটকার উপর তিনশ’ বছর দাঁড়িয়ে থাকা সেই ভবনটি প্রত্নসম্পদ হিসাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবনটি আর কোনো ধরনের ভাঙাভাঙি না করে যেভাবে আছে ঠিক ওভাবেই মটকাসহ প্রত্নসম্পদ হিসেবে সংরক্ষণের নির্দেশনা দেয়া হয়।
ইতোমধ্যে বিভাগী কমিশনার কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রহমানসহ কর্মকর্তারা বাড়িটি পরিদর্শন করে তা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তার আগে ইউএসটিসির ভিসি ও চুয়েটের সাবেক ভিসি এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও প্রকৌশলী ও স্থপতিরা ভবনটি পরিদর্শন করেন।
প্রায় তিনশ’ বছর আগে দ্বিতল ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন চট্টগ্রামের বনেদি ব্যবসায়ী হাজী শরিয়ত উল্ল্যাহ। ওই সময়ে পঁচিশ হাজার টাকা ব্যয় করে তিনি ভবনটি নির্মাণ করেন। নিজস্ব দুইটি জাহাজে মিয়ানমারের রেঙ্গুন আনা বিপুল সংখ্যক মাটির মটকা ভবনের ভিটির তলায় উপুড় করে স্থাপন করার পর ইট সুরকির ঢালাই দেয়া হয়েছিল। জমিদার বাড়ির আদলে তৈরি বাড়িটি তিন শতাব্দী দাঁড়িয়ে ছিলো মটকার ওপর।
সম্প্রতি ভবনটি ভাঙা শুরু হলে মাটির নিচ থেকে সারি সারি অক্ষত মটকা বের হয়ে আসার ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। প্রকৌশলী, প্রত্নগবেষকরা বলছেন বাড়িটি মোগল আমলের শেষ দিকের এবং বয়স আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ বছর। মাটির মটকার উপর এর আগে দেশের কোথাও আর কোনো ভবন আবিষ্কৃত হয়নি। তাই এ ধরনের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনাকে প্রত্নসম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করা খুবই জরুরি বলেও মতামত ব্যক্ত করেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।