Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাভাবিক জীবনে ফেরার মতো অবস্থায় পৌঁছাতে পারিনি

সাংবাদিকদের খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনায় আমরা পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার মতো অবস্থায় এখনো পৌঁছাতে পারিনি বলে মনে করেছেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ঈদের আগে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে গণপরিবহন চলবে কিনা এক প্রশ্নে জবাবে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল রোববার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌ সেক্টরে করোনা টিকা দেওয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ঈদ উপলক্ষে চলমান বিধিনিষেধে শিথিলতা আসবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধের সময়মীমা রয়েছে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটিতে যারা আছেন তাদের পরামর্শে সরকার যদি মনে করে বিধিনিষেধ এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সেটিও হতে পারে। সবকিছুই এখন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। একটা কথা বার বার বলেছি আমাদের জীবনে ঈদ অনেকবার আসবে যদি আমরা বেঁচে থাকি। আমাদের এ অবস্থা থেকে বের হতেই বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে, সেটি সবার মানা উচিত।
নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিধিনিষেধ চলমান থাকলে গণপরিবহন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। আর বিধিনিষেধ যদি প্রত্যাহার হয় সেটা কীভাবে প্রত্যাহার হবে, যদি সীমিত আকারে হয়, সীমিত আকারেই চলবে। যদি পুরোপুরি উঠে যায় পুরোপুরিই চলবে। আমার মনে হয় যে পরিস্থিতি আছে সেখানে আমাদের পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছাতে পারিনি।
বিধিনিষেধের মধ্যে ফেরিতে যাওয়ার ভিড় দেখা গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফেরিতে মানুষ চলে যাচ্ছে, সেখানে ব্যাপক সমাগম হচ্ছে। আমাদের গণতান্ত্রিক দেশ, আমরা তো এ মানুষগুলোর ওপর আক্রমণাত্মক হতে পারি না। পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার সেটিই নিচ্ছে। এর বাইরে আমাদের একটি বিষয়ই বলার আছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য এবং সরকারের বিধিনিষেধ মানার জন্য। এটাকে ঘিরে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য না দেওয়ার জন্য আমি সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানাবো।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, বিধিনিষেধে যেটা আছে গণপরিবহন, ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারের জন্য ফেরি চলবে না। ফেরি চলবে অ্যাম্বুলেন্স, সরকারি কার্যক্রম, গণমাধ্যম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ প্রয়োজনে। কিন্তু এ বিশেষ প্রয়োজনের জন্য আমাদের ফেরিগুলো যখন ঘাটে ভিড়ে তখন মানুষগুলো হুমড়ি খেয়ে পড়ে। সেই মানুষগুলোর ওপর তো আমরা আক্রমণাত্মক হতে পারি না। সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, সচিবালয় থেকে সেই সিদ্ধান্ত দেওয়া কঠিন। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। ঈদে ফেরি চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ফেরি কখনো বন্ধ করিনি, ফেরি এখনও চালু আছে। আমাদের বিশেষ ক্ষেত্রে আমরা এটাকে ব্যবহার করেছি। আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে, অ্যাম্বুলেন্স, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিশেষ প্রয়োজনে কিছু মুভমেন্ট দরকার হয় সেজন্য ফেরি সচল ছিল।
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু সরকারের বিধিনিষেধের বিষয়ে কঠোর ছিলাম। সর্বসাধারণকে আমরা বিধিনিষেধ মেনে চলার আহবান জানিয়েছি। অনেকগুলো দেশ রেড জোনে আছে, দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকলে আমরা পিছিয়ে যাবো। তাই সব নাগরিকের সচেতন হতে হবে। আমরা জানি ঘরে থাকা কঠিন, যুদ্ধক্ষেত্রেও মানুষ ঘরে থাকতে চায় না। কিন্তু এটাও একটা যুদ্ধ, এটাকে না মানার পরিস্থিতি কিন্তু ভয়াবহ হয়ে গেছে।
গ্রামে অনেকে করোনা টেস্ট করছে না, অনেকে মারা যাচ্ছেন, আমরা জানতেই পারছি না। এটি এখন ছড়িয়ে গেছে। সেজন্য সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চললে আমরা তার সুফল পাবো, গতবারও কিন্তু সেটি পেয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাভাবিক জীবন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ