পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রূপগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৫২জন শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। নিহতদের শনাক্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩৫ লাশের বিপরীতে ৪৮ জন নিকটতম স্বজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেলে হাসপাতালের মর্চুয়ারী সংকট হওয়ায় নারায়ণগঞ্জে দুর্ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ৪৮টি লাশ ৩ভাগে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতেই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা ৪৮টি লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে ১৫টি লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর আটটি লাশ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের মর্গে। বাকি ২৫ লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গেই থাকবে।
ওসি আরও বলেন, নিহতদের স্বজনদের সব ধরনের সহায়তায় আমরা কাজ করছি। এ ছাড়া তাদের যেকোনো প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
এদিকে সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট নুশরাত ইয়াছমিন বলেন, শুক্রবার থেকে লাশের দাবিদারদের নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত ৩৫ লাশের জন্যে ৪৮ জন দাবিদারদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলোর পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আনুমানিক এক মাস সময় লাগতে পারে। এক মাসের মধ্যে এই পরিচয় গুলো আমরা শনাক্ত করতে পারবো । পরবর্তী সময়ে ফলাফল জানা যাবে জেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের মাধ্যমে।
এদিকে নিহত শ্রমিকের লাশ দ্রুত দাফনে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাকসুদ বলেন, জায়গার সংকুলান না হওয়ায় ইতোমধ্যে ১৫টি লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
দ্রুত দাফনের ব্যবস্থা না করা হলে পচে-গলে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষণ ঘটাবে। তিনি জানান, এ ব্যাপারে তারা পুলিশের কাছে প্রস্তাবনা ও পরামর্শ দেবেন। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লাশগুলো কখন দাফন করা হবে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। ভয়াবহভাবে আগুনে পুড়ে লাশগুলো কয়লার মতো হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ৮ জুলাই সন্ধ্যায় রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় আগুন লাগে। এই কারখানার মালিক সজীব গ্রুপ। আগুনে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন লাগার দিন মৃত্যু হয় তিন শ্রমিকের। বাকি ৪৯ জনের লাশ কারখানার ফ্লোর থেকে উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।