পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর আগ্রাবাদ আখতারুজ্জামান স্টোরের স›দ্বীপ জুয়েলার্সের মালিক প্রদীপ বণিকের বিশ্বস্ত কর্মচারী সুদীপ্ত সাহা টিংকু। দুই বছরের বেশি সময় ধরে তার অধীনে চাকরি করছেন। তার এটিএম কার্ডের সব পিন নাম্বার টিংকুর জানা। ১২ লাখ টাকা তোলার জন্য তিনি তার চারটি এটিএম কার্ড টিংকুকে দিয়ে দেন। টাকা তুলে ফেরার পথে তা ছিনতাই হয়ে গেছে টিংকুর এমন কথাও বিশ্বাস করেন তিনি। ছুটে যান থানায়, দ্রæত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সাথে ‘অপহৃত’ টিংকুকে উদ্ধারে পুলিশের সর্বাত্মক সহযোগিতাও চান তিনি।
কিন্তু টিংকুকে ধরে আনার পর জানা গেলো ছিনতাই বা ডাকাতির যে গল্প টিংকু বলেছে তা বানানো। ওই বানানো গল্পের ফাঁক থেকে পুলিশ নিশ্চিত হয়, ঘটনা সাজানো। এক পর্যায়ে টিংকুও তা স্বীকার করেন। আর তার দেখানো মতে তার বোনের বাসা থেকে আত্মসাৎকৃত ১১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। একজন বিশ্বস্ত কর্মচারীর এমন বিশ্বাসভঙ্গের ঘটনায় হতবাক স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রদীপ বণিক।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, শুক্রবার বিকেলে টিংকু আগ্রাবাদ সিএন্ডএফ ভবনের নিচে এটিএম বুথ থেকে ১২ লাখ টাকা তোলেন। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পান ব্যবসায়ী প্রদীপ বণিক। বিকেলে টিংকু তাকে ফোন করে জানায় টাকা নিয়ে ফেরার পথে আগ্রাবাদে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে পুলিশ পরিচয়ে চার থেকে পাঁচজন তাকে তুলে নিয়ে তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাকে ওই মাইক্রোবাসে বান্দরবানের পাহাড়ে ফেলে যায়।
ওসি বলেন, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে। সিসিটিভি ফুটেজে ওই কালো মাইক্রোবাসটি দেখা গেলেও তাতে টিংকুকে তুলে নেয়ার মতে কিছু নেই। আবার ফোনে তার অবস্থানও বান্দরবানে পাওয়া যায়। পুলিশ তাকে বান্দরবান থেকে উদ্ধার করে রাতে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। রাত একটা নাগাদ সে টাকা মেরে দেওয়ার কথা স্বীকার করে। টিংক জানায় ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য করতেই সে বান্দরবান চলে যায়। সুদীপ্ত সাহা টিংকু (৩৫) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৩নং ওয়ার্ড মহাজন বাড়ীর অসীম সাহার ছেলে। তার বিরুদ্ধে প্রদীপ বণিক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
অপরাধী চক্রের ৪ জন গ্রেফতার : কৌশলে বাসায় নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের সাথে জড়িত সংঘবদ্ধ একটি অপরাধীচক্ররের চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জিম্মি থেকে অপহৃত এক জনকেও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পারভেজ হোসেন জুয়েল (২৮), মো. সাইদুল ইসলাম (৩৪), আশরাফুল আলম ওরফে সাগর (২৩), রহিমা আক্তার রুপা (২৫)। উদ্ধারকৃত ব্যক্তি হলেন- মো. জাহেদ (৪৩)। শুক্রবার রাতে ডবলমুরিং থানার মেমগলির একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায় সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের নারী সদস্য রূপা প্রেমের ফাঁদ পেতে মানুষকে বাসায় ডেকে আনতো। বাসায় আনার পর বাকিরা মিলে তাকে জিম্মি করে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে আটক করা হয়েছে বলে বিকাশে টাকা না পাঠালে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়। একই কায়দায় শুক্রবার বাসায় ডেকে নেওয়া হয় জাহেদকে। তাকে জিম্মি করে টাকা দাবি করার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযানে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।