পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন- নির্মাণাধীন, পরিত্যক্ত বা যেকোনো ভবনে পানি জমিয়ে রেখে ডেঙ্গু প্রজননে সহায়ক ভ‚মিকা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দু-একদিনের মধ্যেই ঢাকা উভয় সিটি করপোরেশনে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জোরালোভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। আগামী সোমবার এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন ও পরিত্যক্ত ভবন অথবা বাসার ছাদ, আঙিনা, ফুলের টব, ফ্রিজ-এয়ারকন্ডিশনে কোনো অবস্থাতেই যেন জমা পানি না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ তিনদিনের বেশি জমানো পানিতে মশা প্রজনন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নির্মাণাধীন ও পরিত্যক্ত ভবনই হচ্ছে এডিস মশার প্রধান উর্বর জায়গা। এসব জায়গায় জমানো পানিতে লার্ভিসাইড অথবা ১০ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গায় আড়াইশ’ গ্রাম কেরোসিন ঢেলে দিয়ে মশার প্রজনন ধ্বংস করা সম্ভব।
তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষকে বারবার এসব বিয়য়ে সচেতন করার পরেও অনেকে আমলে নিচ্ছেন না। তাই উভয় সিটি করপোরেশনে ১০ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার থেকে তারা অভিযান পরিচালনা করবে। যারা নির্দেশনা অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বা জরিমানা করবেন। সরকারি নির্দেশনা অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানও মানছে নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সরকারি বা বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক নির্মাণাধীন বা পরিত্যক্ত অথবা ব্যবহার করা ভবন যেখানেই হোক পানি জমিয়ে রেখে এডিস মশা প্রজননে ভ‚মিকা রাখলে আইন আনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, ২০১৯ সালের ডেঙ্গুর মারাত্মক ভয়াবহতার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ায় ২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছিল। এবছরও মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত লোকবল, কীটনাশক, ফগিং মেশিন ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করা হয়েছে।
এবছরের জানুয়ারি থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সর্বমোট ৫৩৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর সিটি করপোরেশনের তুলনায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এডিস মশার প্রকোপ একটু বেশি বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।