Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বল্পোন্নত দেশে অধিকতর বিনিয়োগের প্রয়োজন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতিসংঘে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রশংসা

প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উন্নয়ন প্রচেষ্টায় বেশি সহায়তা দিতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ৭১তম সভার সাইড লাইনে অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বার্ষিক মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় সভাপতির বক্তব্য দানকালে তিনি এ আহ্বান জানান। এসময় জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসিত হয়।
গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত শনিবার জাতিসংঘের সদর দফতরে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের এই সভায় স্বল্পোন্নত দেশ, তাদের উন্নয়ন সহযোগী উন্নত, মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা এবং জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষতা বাড়াতে অধিকতর বিনিয়োগের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মাহমুদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘ভিশন-২০২১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলছে।
জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মি. ইয়ান ইলিয়াসন বলেন, শরণার্থী ও অভিবাসী মোকাবেলায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর গৃহীত নিউইয়র্ক ডিক্লারেশনের বাস্তবায়নে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাহায্য করতে হবে।
জাতিসংঘের ৭১তম অধিবেশনের সভাপতি মি. পিটার থমসন সব সরকারকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহকে জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। সভায় অংশগ্রহণকারী স্বল্পোন্নত দেশগুলো ২০৩০ এজেন্ডা এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উন্নয়ন সনদ ‘ইস্তাম্বুল প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন’ (আইপিওএ) বাস্তবায়নে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো বৈদেশিক সাহায্য, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি সরবরাহের ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সাহায্য অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আশ্বাস দেন তিনি।
সভায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কিছু সুপারিশ সম্বলিত একটি ‘মিনিস্টারিয়াল ডিক্লারেশন’ গৃহীত হয়। সভাশেষে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উন্নয়নের জন্য আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা, ‘টেকনোলজি ব্যাংক’ চালুকরণ ও রেমিট্যান্সের ওপর জোর দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সভায় ‘স্টেট অব দ্য লিস্ট ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রিস ২০১৬’ শীর্ষক জাতিসংঘের একটি রিপোর্টের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের কার্যবিবরণী সভায় দেড় ঘণ্টা সভাপতিত্ব করেন। সভাপতি হিসেবে তিনি ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট, হাইতির প্রেসিডেন্ট, লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান এবং সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখার আহ্বান জানান। তিনি কমোরস ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টকে তার বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানান। সভাশেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার চেয়ারম্যানশিপ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সভাপতি ফিজির পিটার থমসনের কাছে হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জাতিসংঘের জেনারেল কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বল্পোন্নত দেশে অধিকতর বিনিয়োগের প্রয়োজন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ