পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিগত দিনে শেয়ারবাজারে ধসের পর ‘স্বচ্ছতার সঙ্গে’ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র পুনর্গঠন হয়নি মন্তব্য করে বিষয়টিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ।
সরকার পুঁজিবাজারের ডিমিউচুয়ালাইজেশনের কাজটিও ‘কার্যকরভাবে’ করতে পারেনি মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, এ দুটি কাজ ঠিকভাবে না হলে বাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে না।
গতকাল ঢাকায় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “এ ধরনের (ধসের) পরিস্থিতিতে লোকের (বিনিয়োগকারীদের) আস্থা থাকবে না। বিএসইসিকে অবশ্যই পুনর্গঠন করা দরকার ছিল। যেখানে চেয়ারম্যান, সদস্য ও অন্যরা বসবেন সেটা আরও স্বচ্ছ করা দরকার ছিল। সেটা তারা বললেই হবে না। তা মানুষের বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। দুর্ভাগ্য সেটা হয়নি। এটা শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রথম শর্ত।”
২০১০ সালের শেষ দিকে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে কৃষি ব্যাংকের তখনকার চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খালেদের নেতৃত্বে একটি কমিটি করে সরকার। ওই কমিটি কারসাজি হয়েছে মনে করে সে বিষয়ে আরও অনুসন্ধানের সুপারিশ করে।
ইব্রাহীম খালেদের কমিটির সুপারিশ বিভিন্ন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে বলে সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ২০১১ সালের মে মাসে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পুনর্গঠন করা হয়, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান আইসিবির সাবেক প্রধান এম খায়রুল হোসেন। মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা করে ২০১৪ ‘ডিমিউচুয়ালাইজড’ স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ কাজ শুরু করে।
ইব্রাহীম খালেদ বলেন, “সরকার শেয়ার বাজারের ডি-মিউচুয়ালাইজেশন বলতে যা বোঝায় তা করতে পারেনি। তারা ৬০ ভাগ ডিমিউচুয়ালাইজ করেছে। আর বাকি ৪০ ভাগ ট্রেডাররা বোর্ডে আছেন।”
তার মতে, সরকারের বসানো ৬০ শতাংশ সদস্য বেসরকারি ৪০ শতাংশের সঙ্গে কোনো ‘ঝামেলায় যান না’।
“সরকার ৬০ ভাগের মধ্যে বিচারক ও কর্মকর্তাদের বসালেন, তারা আসলে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন না। ফলে ৪০ শতাংশ যারা আছেন তারাই বড় বড় পদক্ষেপ নেন। আর সরকারের বসানো কর্মকর্তারা সময় পার করেন।”
কাজ করার মত ‘কমিডেট’ লোক কোথায় পাওয়া যাবে- তা নিয়েও আক্ষেপ করেন তিনি।
‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর ব্যাংকার্স অ্যান্ড অ্যাকাডেমিকস’ এর ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং সেশনে সভাপতির বক্তব্য দিচ্ছিলেন ইব্রাহীম খালেদ। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভর্সিটির স্কুল অব বিজনেসের ডিন সারওয়ার উদ্দিন আহমেদ এবং এক্সিম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়াও উপস্থিত ছিলেন এই সেশনে।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে ভারতে পুঁজিবাজার ডি-মিউচুয়ালাইজেশন নিয়ে একটি ঘটনার কথা তুলে ধরেন ইব্রাহীম খালেদ। ভারতের অর্থমন্ত্রী তখন কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং। তিনি মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জের ডি-মিউচুয়ালাইজেশনের প্রস্তাব দিয়ে সে সময় ব্যবসায়ীদের বিরোধিতার মুখে পড়েন। মনমোহন তখন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ নামে শতভাগ ডি-মিউচুয়ালাইজড একটি শেয়ার বাজার গড়ে তোলেন। সেই বাজার সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে এবং বিনিয়োগকারীরা সেখানেই ভিড় জমাতে থাকেন। বেকায়দায় পড়ে মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জের উদ্যোক্তারাও তখন ডি-মিউচুয়ালাইজেশনের সিদ্ধান্ত নেন।
“এই গল্প আমি মুহিত সাহেবকে (অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত) অনেকবার শুনিয়েছি। তিনি আমার কথা শোনেননি। উনি পারেন নাই। তিনি মনমোহন সিংয়ের রোল প্লে করতে পারেন নাই। যে কারণে এখানে ডি-মিউচুয়ালাইজেশনও হয়নি।”
তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জের শতভাগ ডি-মিউচুয়ালাইজেশন করা গেলে এবং এসইসিকে ‘ভালো লোক দিয়ে’ পুনর্গঠন করা সম্ভব হলে বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে।
“আদারওয়াইজ এখানে কনফিডেন্স আসবে না। আমি তো পথ দেখি না।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।