পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাজারে নিত্য পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় কিছুটা কম দামে টিসিবির পণ্য কিনতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে টিসিবির ট্রাক সেল শুরু হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে মানুষ পণ্য কিনতে এসব ট্রাকে দীর্ঘ লাইন দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে আছে। তবে মানুষের চাহিদার চেয়ে টিসিবির পণ্যের পরিমাণ কম থাকায় লাইনে দাড়িয়েও অনেকে পণ্য কিনতে পাচ্ছেনা।
খিলগাঁও রেলগেইট এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে টিসিবির ট্রাকে পণ্য কিনতে আসা ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ রইছ উদ্দিন গতকাল বলেন, গত মঙ্গলবারও তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে খালি হাতে ফিরে গেছি। যে লম্বা সিরিয়াল, কিছু কিনতে পারি কিনা আল্লাই জানেন।
টিসিবির পণ্য বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনাকালে মানুষের চাহিদার তুলনায় টিসিবির পণ্য কম সরবরাহ করা হচ্ছে। তাছাড়া টিসিবির পণ্যের ট্রাক দুপুরের আগে আসছে না। কিন্তু অসংখ্য নারী ও পুরুষ সকাল থেকেই লম্বা সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষা করেন। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজেও অপেক্ষার প্রহর যেন তাদের ফুরায় না।
খিলগাঁওয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রেতা জানান, তাদের প্রতিদিন মাত্র ২০০ জনের পণ্য দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু ক্রেতা কমপক্ষে তিন চারগুণ অর্থাৎ সাত থেকে আটশ’ জনের দীর্ঘ লাইন থাকে। ফলে যারা সিরিয়ালে আগে থাকেন তারা পণ্য কিনতে পারেন।
ট্রাক থেকে ক্রেতারা চিনি ৫৫ টাকা কেজি (একজন সর্বোচ্চ চার কেজি ), প্রতিকেজি মসুর ডাল ৫৫ টাকা (সর্বোচ্চ দুই কেজি ) এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা করে (দুই থেকে সর্বোচ্চ ৫লিটার) কিনতে পারছেন।
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যে টিসিবির ট্রাকে মানা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। ট্রাকের দুই পাশে নারী ও পুরুষের দীর্ঘ লাইনে কোন সামজিক দূরত্বের কোন বালাই নেই। একে অন্যের গা ঘেষে গাদাগাদি করে দাড়িয়ে আছে। এদের অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই।
ক্রেতাদের অনেকেই বলছেন, টিসিবির পণ্য কিনতে এসে কাছাকাছি দাঁড়িয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। সকাল থেকে পণ্য বিক্রি শুরু হলে এতটা ভিড় ও ভোগান্তি হতো না।
করোনামহামারি ও সারা দেশে চলমান লকডাউনে ভোক্তাদের অপেক্ষাকৃত কম দামে পণ্য দিতে ৫ জুলাই থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। আগামী ২৯ জুলাই (ঈদুল আজহার ছুটি ব্যতিত) পর্যন্ত পণ্য বিক্রি প্রতিদিন চলবে।
টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, মহানগরসহ সারা দেশে টিসিবির ৪৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৮০টি ও চট্টগ্রাম সিটিতে ২০টি ট্রাক রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মহানগর ও জেলা শহরেও ট্রাকসেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে দৈনিক ৬০০-৮০০ কেজি চিনি, ৩০০-৬০০ কেজি মসুর ডাল এবং ৮০০-১২০০ লিটার সয়াবিন তেল বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।