পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী ব্যুরো ঃ রাজশাহীতে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে গতকাল স্বামীসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মনসুর আলম। রায়ে দ-প্রাপ্ত তিন আসামির প্রত্যেকের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। দ-প্রাপ্তরা হলো, সাথী ইয়াসমিনের স্বামী আরিফ হোসেন, তার দুই ভাবি হানিফা হাসান ইভা ও মাহফুজা জান্নাত লাইবা। এ মামলার অপর আসামি আরিফের মা মর্জিনা বেগমকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলা সূত্র মতে, ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে নগরীর সাধুর মোড় এলাকায় স্বামীর বাড়িতে সাথী ইয়াসমিন টেলিভিশন দেখছিলেন। ওই সময় আসামিরা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। এতে তার শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে যায়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় সাথীর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার আগে সাথী হাসপাতালে জবানবন্দি দিয়ে যান। এ ঘটনায় সাথীর বড় ভাই সুজন বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। সাথী নগরীর সাহাজিপাড়ার সাজ্জাদ হোসেনের মেয়ে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, হত্যার ঘটনার এক বছর আগে নগরীর বোয়ালিয়া রানীনগরের রহমান আলীর ছেলে আরিফ হোসেনের সঙ্গে নগরীর হেতম খাঁ এলাকার সাহাজিপাড়ার সাজ্জাদ হোসেনের মেয়ে সাথী ইয়াসমিনের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে আরিফ হোসেন যৌতুকের জন্য সাথীর উপর নির্যাতন চালাত। এ কারণে বিয়ের কিছুদিন পর সাথী বাবার বাড়ি চলে যান। কিন্তু ঘটনার ৪/৫ মাস আগে আরিফ গিয়ে আবার তাকে নিয়ে আসে। এরপর কয়েকদিন ভালো আচরণ করলেও আবার যৌতুক দেয়ার জন্য চাপ শুরু করে আরিফের পরিবার।
পিপি মর্জিনা খাতুন জানান, ওই ঘটনায় সাথীর বড় ভাই সুজন হোসেন বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ দ-প্রাপ্ত তিনজন ও আরিফের মা মর্জিনা বেগমকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মা মর্জিনা বেগমকে খালাস দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।