পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কিছুদিন বিরতির পর রাজধানীতেও সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। গতকাল সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে করে তেল, চিনি, ডাল এসব পণ্য বিক্রি করা হয়।
বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম চড়া। সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউনে আরেকদফা পণ্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। সংসার চালাতে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তরা দিশেহারা। এ অবস্থায় টিসিবির ট্রাক সেল নিম্ন আয়ের নগরবাসীর কাছে অনেকটাই ভরসা হয়ে দেখা দিয়েছে। কিন্তু তাতেও ভোগান্তি। রয়েছে মহামারি করোনার ভয়! পরিবারের সামান্য প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে এসব নিম্ন আয়ের মানুষকে। অনেকে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন সাধারণ মানুষ।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর খিলগাঁও রেলগেট সংলগ্ন ফ্লাইওভারের নিচে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। কিন্তু তখনও টিসিবির পণ্যবাহী ট্রাক আসেনি। দুপুর ১২টার পর দেখা যায়, লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সামাজিক দূরুত্ব বলতে কিছুই নেই। গাদাগাদি করে লাইন দাঁড়িয়ে আছেন ক্রেতারা। কারও কারও মুখে মাস্ক থাকলেও অনেকের মুখেই তা দেখা যায়নি। টিভি ক্যামেরা দেখে কেউ কেউ জামার পকেটে ভাজ করে রাখা মাস্ক বের করে পরেছেন।
টিসিবির পণ্য বিক্রেতা নাসির বলেন, কিছুক্ষণ আগ থেকে আমরা বিক্রি শুরু করেছি। অনেক মানুষ রয়েছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। কিন্তু, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে চান না। এখন নিজেরা যদি নিজেদের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন না হন, তাহলে আমরা কতবার বলে সচেতন করতে পারবো? যার চিন্তা তাকেই করতে হবে।
একই চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর রামপুরা বাজারের কাছে। এখানেও লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির ট্রাক থেকে ন্যায্য মূল্যে পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। তবে দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
রামপুরা বাজারের কাছ থেকে চিনি, সয়াবিন তেল কিনে বাসায় ফিরছেন সাবিনা। একজন রিকশা চালকের স্ত্রী। তিনি নিজেও ওই এলাকায় বিভিন্ন বাসায় কাজ করেন। করোনার জন্য এখন বাসায় কাজ করতে মানা করেছে সবাই। তাই বসে বসে খেতে হচ্ছে। এদিকে লকডাউনের কারণে স্বামীর রিকশা চালানোও বন্ধ। তাই খুব কষ্ট করে দিন যাচ্ছে। টিসিবির ট্রাকে চিনি ও তেলের দাম বাজার থেকে অনেক কম। এজন্য অনেক কষ্টে লাইনে দাড়িয়ে থেকে এক কেজি চিনি ও এক লিটার তেল কিনেছি।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ট্রাক থেকে একজন সাধারণ ক্রেতা ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি, ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল, ১০০ টাকা দরে দুই থেকে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল কোম্পানি ভেদে বিক্রি হচ্ছে লিটারপ্রতি ১৪০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা এবং পাঁচ লিটার ৬২০ টাকা থেকে ৬৬০ টাকা দরে। খুচরায় প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা দরে।
উল্লেখ্য এর আগে গত ৬ জুন টিসিবি সাশ্রয়ী মূল্যে সারাদেশে পণ্য বিক্রি শুরু করেছিল। যা গত ১৭ জুন পর্যন্ত চলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।