পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মধ্যরাতে বিচারপতিকে এসএমএস (খুদে বার্তা) প্রদানের পরদিনই দ্রুততার সঙ্গে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা পৌঁছে গেলো বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে। মুমূর্ষ দশ রোগীর প্রাণ বাঁচাতে সহায়ক হয় এই ক্যানুলা। গতকাল শনিবার ইনকিলাবকে এ তথ্য জানান ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
তিনি বলেন, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সঙ্ককটে ৭ করোনারোগীর মৃত্যু হয়েছে। আরো ১০ জন রোগীর অবস্থা মুমূর্ষ- এমন সংবাদ গণমাধ্যমে দেখে শুক্রবার মধ্যরাতেই রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে অবহিত করি। বিষয়টি এটর্নি জেনারেলকে দেখতে বলেন আদালত। পরে এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন স্বাস্থ্য সচিব ও ডিজির সঙ্গে কথা বলেন। গতকাল শনিবার সকালে রেজিস্ট্রার জেনারেল জানিয়েছেন বগুড়ার সেই হাসপাতালের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সঙ্কটের সমাধান হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, সরকারিভাবে ১০/১৫টি ক্যানুলা লাগানো হবে। তবে শনিবার বেসরকারিভাবে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ২০টি লাগানো হয়েছে।
তিনি জানান, গত ২ জুলাই দুপুর ১২টা পর্যন্ত তার আগের ১৬ ঘণ্টায় চাহিদা অনুযায়ী উচ্চ মাত্রার অক্সিজেন না পাওয়ায় ৭ করোনারোগীর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ২২৩ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। যাদের অধিকাংশেরই উচ্চ মাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু হাসপাতালটিতে বর্তমানে মাত্র দু’টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা থাকায় দু’জনের অতিরিক্ত আর কোনো রোগীকে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে যাদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন (রক্তে ঘনীভূত অক্সিজেনের মাত্রা) ৮৭’র নিচে তাদের জীবন সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েছে। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সঙ্কটরে একই চিত্র জেলার অন্য হাসপাতালেও।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার তিন হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে শ্বাসকষ্ট থাকা রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহের জন্য হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা আছে ২৩টি। এর মধ্যে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ২টি, শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১টি এবং বেসরকারি টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০টি।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, তাদের হাসপাতালে রোগীর যে পরিমাণ চাপ সেখানে অন্তত ২০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা প্রয়োজন, কিন্তু আছে মাত্র দু’টি। এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অধিক শ্বাসকষ্টে থাকা রোগীদের বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।