Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে জনসচেতনা বাড়াতে হবে

ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি প্রফেসর ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সময়মতো শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করলে ওই সকল শিশুরা কানে শুনতে পারে, কথা বলতে পারে, এমনকি তারা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে। তাই কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বিষয়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবকদের মাঝে আরো সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। বিএসএমএমইউতে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সেবা চালু রয়েছে। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই মহতী চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় বিনামূল্যে প্রদান করছে। এরফলে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা সমাজে বোঝা না থেকে তারা সমাজের মূল স্রোতাধারার অংশ হিসেবে জনসম্পদে পরিণত হচ্ছে। শনিবার (৩ জুলাই) বিএসএমএমইউ ভিসি’র কার্যালয়ে স্কুল ছাত্র অপূর্ব চক্রবর্তীকে ব্যয়বহুল সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সাউন্ড প্রফেসর বিনামূল্যে প্রদানকালে ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

অপূর্ব চক্রবর্তীকে ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস প্রদান ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করা হয়। বর্তমানে সে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে এবং স্কুলে লেখাপড়া করছে।

কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কর্মসূচীর পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান গলা বিভাগের প্রফেসর ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার জানান, বিএসএমএমইউ থেকে পর্যন্ত পর্যন্ত ৫৪৭ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি সম্পন্ন করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই শিশু। তিনি জানান, শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্যই কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট অধিকমাত্রায় কার্যকরী। তবে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু ছাড়াও ক্ষেত্র বিশেষে কিশোর ও তরুণ বয়সের শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্যও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যকরী হতে পারে যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করে থাকেন। অপূর্ব চক্রবর্তীকে ব্যয়বহুল সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সাউন্ড প্রফেসর বিনামূল্যে প্রদানকালে আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, প্রফেসর ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সিন্ডিকেট মেম্বার ও অটোল্যারিংগোলজি হেড এন্ড নেক সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ডা. এ এইচ এম জহুরুল হক সাচ্চু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কান লাল সাহা প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএসএমএমইউ

৫ মার্চ, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ