পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : বিদেশ সফরে মন্ত্রীদের সাথে সরকারের সচিবরাও পিছিয়ে নেই। মন্ত্রিসভার প্রায় অর্ধেক সদস্য বর্তমানে বিদেশ সফরে রয়েছেন। এর পাশাপাশি সরকারের সচিবদের বড় একটি অংশ এখন বিদেশ সফরে। এর ফলে সরকারের বড় দুটি মন্ত্রণালয় এখন অভিভাবকশূন্য। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অর্থ মন্ত্রণালয় এখন মন্ত্রী ও সচিবশূন্য। গতকাল শনিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডসÑএই তিন দেশ সফরে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। ব্যাংকিং বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমানও বর্তমানে বিদেশ সফরে আছেন। আর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ আগে থেকেই বিদেশে আছেন। অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। এ কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় এখন মন্ত্রী ও সচিবশূন্য। এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এখন বিদেশে অবস্থান করছেন। সেইসাথে মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামও দেশের বাইরে। তিনি হজ পালন করতে দেশ ছেড়েছেন। হজ পালন শেষে তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করবেন। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণ করতে বর্তমানে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন। অধিবেশন শেষে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অধিবেশনে অংশ নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নিউইয়র্ক রয়েছেন। তাদের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকও রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগমও রয়েছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল জলিল বর্তমানে সৌদি আরব অবস্থান করছেন। তিনি হজ কার্যক্রম তদারকির জন্য সেখানে অবস্থান করছেন। প্রধান নির্বাহী সচিব দেশের বাইরে থাকায় মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম চলছে ঢিলেঢালাভাবে।
এদিকে ঈদে বিশেষ ছুটি ঘোষণা করায় শর্তমাফিক সরকারি অফিস খোলা রাখা হয়েছিল গতকাল শনিবার। কিন্তু এদিন অফিস শুরু হয়েছে ঢিলেঢালাভাবে। সকাল ৯টায় অফিস শুরুর সময়ে পুরো সচিবালয়ে দেখা মেলেনি কোনো সচিব ও মন্ত্রীর। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিজ নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত হতে দেখা যায়। মন্ত্রী ও সচিবদের অধিকাংশই অফিসে ঢোকেন বেলা ১১টার দিকে। সচিবালয়ের সামনে ও ভেতরে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিন সকাল ১০টা ৩ মিনিটে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল কাদের সরকার। মন্ত্রী ও সচিবরা না এলেও সচিবালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী যথারীতি নির্দিষ্ট সময়েই অফিসে হাজির হয়েছেন।
গতকাল শনিবার কর্মদিবস থাকলেও একটু ঢিলেঢালাভাবেই সবাই অফিসে এসেছেন। প্রথমত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে নেই। দ্বিতীয়ত, যেহেতু গতকাল ছিল রিপ্লেসমেন্ট ওয়ার্কিং ডে, তাই পূর্বনির্ধারিত কোনো মিটিংও আজ নেই। সকাল থেকেই সচিবালয়ের প্রধান ফটকে দর্শনার্থীরদের ভিড়ও খুব একটা ছিল না। কারণ অনেকেই জানে না যে সচিবালয় খোলা আছে।
প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১ সেপ্টেম্বর অফিস বন্ধ রাখার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল অফিস খোলা রাখার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে শনিবার অফিস খোলা থাকার কথা জানানো হয়। এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে ১১ সেপ্টেম্বর রোববার ছুটি ঘোষণা করায় ২৪ সেপ্টেম্বরকে কর্মদিবস হিসেবে ঘোষণা করা হলো। এ কারণে গতকাল শনিবার কর্মদিবস হিসেবে পালিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।