পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকায় কর্মরত ১৪টি দেশের কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের কূটনৈতিক কোরের প্রধান ড. আবদুল মঈন খান।
কিছুটা গোপনীয়তা বজায় রেখেই গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীস্থ তার গুলশান-২-এর ৩৬ নম্বর রোডের বাসায় এ বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সরা এই বৈঠকে অংশ নেন। দীর্ঘ তিন ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনসহ রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় বিএনপির তরফে কূটনীতিকদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করা হয়। বৈঠকের কথা স্বীকার করে ড. আবদুল মঈন খান ইনকিলাবকে বলেন, আমি মাঝে মাঝে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে চা চক্রের আয়োজন করি। গত বৃহস্পতিবারও তা করেছি। সেখানে কোন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলেচানা হয়নি। তবে বিদেশী কূটনীতিকরা আমার মেহমান।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, ইইউ, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, জাপান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, ভুটানের রাষ্ট্রদূত ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আমেরিকান সেন্টারের প্রধান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর ও ঢাকাস্থ এনবিআই প্রধানও অংশ নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির কূটনৈতিক কোরের সদস্য ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই নৈশভোজ দলের পক্ষ থেকে নয়, মঈন খানের ব্যক্তিগত দাওয়াতে হয়েছিল। এখানে অনেকেই যেতে পারে।
দলীয় সূত্র জানায়, দলটির কূটনৈতিক কোরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. আবদুল মঈন খান। বরাবরই ঈদের সময় কূটনীতিকদের সঙ্গে নিজের বাসায় নৈশভোজের আয়োজন করেন। বিগত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বরও তার গুলশানের বাসায় কূটনীতিকদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। ওই দাওয়াতে অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড ও কুয়েতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, বাহরাইন ও আরব আমিরাত দূতাবাসের প্রতিনিধিরা থাকলেও এ বছর এই দেশগুলোর কেউ ছিলেন না। এ বছর এ আয়োজনের ব্যাপারটি অনেকের অজানা। কূটনৈতিক কোরের সদস্য ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, নৈশ্যভোজ ছিল। কিন্তু আমি জানি না, যেহেতু আমি দাওয়াত পাইনি। ফলে জানার কোনও সুযোগ নেই। তিনি ব্যক্তিগত নৈশভোজ করতে পারেন। গত বৃহস্পতিবার হজ করে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। এ কারণে অন্য নেতারা হয়তো যেতে পারেননি।
বিএনপির এই নেতার পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র দাবি করে, খান ফাউন্ডেশনের প্রধান ও মঈন খানের স্ত্রী অ্যাডভোকেট রোকসানা খান ফোন করে কূটনীতিকদের দাওয়াত দিয়েছেন। মূলত মঈন খান গত বছর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। হজ পালনে সউদী সফর করার কারণে ঈদে কূটনীতিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারেননি খালেদা জিয়া। এ কারণে মঈন খানকেই উদ্যোগ নিয়ে তার বাসায় নৈশভোজ করানোর কথা বলা হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ভারত-পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা ছিলেন না।
মঈন খানের ঘনিষ্ঠ একজন জানান, বৈঠকে মার্কিন নির্বাচন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন এবং সম্ভাব্য নির্বাচন কমিশন নিয়েও আলোচনা হয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিএনপির কোনও নেতা মুখ খুলছেন না। একজন ভাইস চেয়ারম্যান নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়ে বলেন, মঈন খান আড্ডাপ্রিয় মানুষ। তার দেশে-বিদেশে বন্ধু-বান্ধব আছেন। তাদের সঙ্গে আড্ডা দেন। গত বছরও আড্ডা দিয়েছেন। তিনি একজন প্রযুক্তিবিদ হিসেবেও পরিচিত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর এক সদস্য বলেন, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীনসহ পশ্চিমা দেশগুলো থাকলেও ভারত ও আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশ অনুপস্থিত ছিল। ফলে সুনির্দিষ্ট কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা আন্দাজ করা কঠিন। তবে কূটনীতিক ডেকে তো চা পান করানো বড় বিষয় নয়, কিছু ব্যাপার তো থাকেই। কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে বিএনপিকে কোনও পরামর্শ দেয়া হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।