পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে নিরাপদ দেশ হিসেবে তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, কয়েকটি জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে দেশ আর জঙ্গিবাদের হাত থেকে রক্ষা পাবে না বলে বিশ্ববাসীর অনেকে ধারণা করেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের এ ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দেশকে বিশ্ববাসীর কাছে নিরাপদ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের একটি অভিজাত হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন এবং গণসংবর্ধনা সফল করার জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অসামান্য ভূমিকা পালনের জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে এ গণসংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, সারাবিশ্ব যখন জঙ্গিবাদে আক্রান্ত ও বিপর্যস্ত তখন আমাদের দেশের মতো একটি দেশে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বের জন্যই সম্ভব হয়েছে।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংস করে দেয়া দেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করায় তাকে এ গণসংবর্ধনা দেয়া হবে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সময় দেশকে দুর্নীতি আর জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য বানিয়েছিল। পশ্চিমা বিশ্ব এ জন্য দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল।
হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সে জায়গা থেকে বিশ্বের কাছে মর্যাদাপূর্ণ জায়গায় নিয়ে গেছেন, বিশ্বের অনেক দেশ এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে।
নেপালের ভূমিকম্পের সময় ত্রাণসহায়তা দানের কথা উল্লেখ করে হানিফ বলেন, এক সময়ের বিদেশী সাহায্যনির্ভর দেশ এখন বিভিন্ন দেশকে সাহায্য প্রদান করে এবং খাদ্য ঘাটতির দেশ বর্তমানে খাদ্য রফতানির দেশে পরিণত হয়েছে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্যানার ও ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি ছাড়া আর কারো ছবি থাকবে না। গত জাতীয় শোক দিবসে সব ব্যানার ও ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের ছবি ছাড়া কোনো ছবি ব্যবহার না করায় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে মুরাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনাকে ব্যাপকভাবে সফল করার জন্য হাতি-ঘোড়া যেমন থাকবে, তেমনি বাদ্যযন্ত্রেরও ব্যবস্থা করা হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু আহম্মেদ মন্নাফী, নজিবুল হক সরদার, আওলাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন ও উপ-প্রচার সম্পাদক মামুনুর রশিদ শুভ্র।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা সফল করার লক্ষ্যে শনিবার রাজধানীর মিরপুর ১০ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, যারা ক্ষমতায় থাকাকালীন আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে সমালোচনা করার অধিকার তাদের নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হলে প্রেসিডেন্ট সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী স্বচ্ছভাবে সবার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী কমিশন গঠন করবেন।
হানিফ বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র থেমে নেই, চক্রান্ত চলছে। সরকারের পতন ঘটাতে বিএনপি এবং জামায়াত এখনো তৎপর। প্রতিকূলতা এবং বারবার ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।