পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ওয়ার্ড বয়ের (বহিরাগত) দেয়া ইনজেকশনে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হয়েছেন, ঢামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. খাজা আব্দুল গফুর। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, হাসপাতালের এডি ডা. মো. মোজাম্মেল হক ও আরএস ডা. মাহাবুবা আক্তার। গতকাল শনিবার এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে পাঁচ থেকে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে ঢামেক হাসপাতালের ২০০ নম্বর ওয়ার্ডের এক্সট্রা বেডে চিকিৎসাধীর বিপ্লব মন্ডলকে ইনজেকশন পুশ করেন ওয়ার্ড বয় সুমন (বহিরাগত)। এর কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মাত্র ২৫ বছর বয়সি যুবক বিপ্লব। রোগীর সাথে থাকা লোকজন প্রথমে ভেবেছিলেন সুমন একজন চিকিৎসক। কিন্তু তার মূল পরিচয় বেরিয়ে পড়ে। এ ঘটনায় হাসপাতালের ঘটনাস্থলে উপস্থিত উত্তেজিত লোকজন গণপিটুনি দেয় সুমনকে। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ ৫৪ ধারায় সুমনকে গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল আদালতে পাঠায়। আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে হাসপাতালের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. খাজা আব্দুল গফুর বলেন, আমরা তদন্ত করবো। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি খালেক টাকার বিনিময়ে ওয়ার্ডে কাজ করার সুযোগ দেয় সুমনকে। সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ওষুধ চুরিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়েন। সহজ সরল রোগী ও তাদের স্বজনদের কাছে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয়ে টাকা-পয়সাও হাতিয়ে নেয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।