পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছালাহউদ্দিন, আরব আমিরাত থেকে : দেশের নদ-নদীগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়া ইলিশ দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পেয়ে বেজায় খুশি প্রবাসী বাংলাদেশীরাও। দেশটির বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশী হাইপার ও সুপার মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা গেল ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে এমনই খুশির চিত্র।
ক্রেতা-বিক্রেতারা ইনকিলাবকে জানান, আমিরাতে বার্মার ইলিশ পাওয়া গেলেও বাংলাদেশী ইলিশ পাওয়া ছিল খুবই দুর্লভ। এখন পাওয়া যাচ্ছে বড় আকারের দেশীয় ইলিশ। যা ক্রেতা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতারও মধ্যে। দোকানদাররা আরো জানান, মাঝে-মধ্যে তারা বিশেষ মূল্যছাড় দিয়েও বিক্রি করছেন ইলিশ। বিশেষ করে শুক্রবার মূল্যছাড় দেয়ার প্রবণতাটা একটু বেশি বলেও জানান তারা।
বাংলাদেশী মালিকানাধীন হাইপার ও সুপার মার্কেটগুলোতে দেখা গেছে, ৮শ’ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত প্রতি ইলিশ কেজিপ্রতি ৩৭ দিরহাম, ১ কেজি থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত প্রতি কেজি ৫৩ দিরহাম এবং দেড় কেজি থেকে ২ কেজি পর্যন্ত প্রতি কেজি ৬৫ দিরহাম। যা বাংলাদেশী যথাক্রমে ৭৮৮, ১১৩০ ও ১৩৮৫ টাকায় এসে দাঁড়ায়। বিক্রেতাদের মতে, বিক্রি করা হচ্ছে অনেকটা বাংলাদেশের বাজারমূল্যের মতোই। কারণ এখানে নেই অসাধু কোনো তৎপরতা। তাছাড়া ব্যবসায়ীদেরও রয়েছে এদেশটির আইন-কানুনের প্রতি অপার শ্রদ্ধাবোধ।
আমিরাতের আজমানে বাংলাদেশী সানসিটি হাইপার মার্কেটের বিক্রয় প্রতিনিধি আনিস মল্লিক এবং ক্রেতারা জানান, ইলিশ উৎপাদনে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে মা ইলিশ ধরা বন্ধ রাখায় এই সফলতা। তাদের মতে, বাংলাদেশ থেকে ব্যাপকভাবে ইলিশ রফতানি করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলে এ খাত থেকেও সরকারের আয় হবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। উল্লেখ্য, আমিরাতে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন ১০ লক্ষাধিক বাংলাদেশী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।